প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি)

এসএসসি(ভোকেশনাল) - ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন-২ - | NCTB BOOK
764
764
Please, contribute by adding content to প্রথম পত্র (নবম শ্রেণি).
Content

প্রথম পত্র, তাত্ত্বিক

268
268
Please, contribute by adding content to প্রথম পত্র, তাত্ত্বিক.
Content

ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন ট্রেডের ব্যাপ্তি (প্রথম অধ্যায়)

459
459
Please, contribute by adding content to ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন ট্রেডের ব্যাপ্তি.
Content

ওয়েল্ডিং (Welding) (১.১)

185
185

ওয়েল্ডিং হলো ধাতব পদার্থের মধ্যে স্থায়ী জোড় পদ্ধতি। লোহার গ্রিল তৈরির কারখানায় হরেক রকমের গ্রিল তৈরি হয়; যেখানে একাধিক ধাতু খণ্ডকে জোড়া লাগানো হয়। আবার কামারশালায় ধাতু খণ্ডকে উত্তপ্ত করে অর্ধগলিত অবস্থায় এনে হাতুড়ির সাহায্যে পিটিয়ে শিকল বা চেইন তৈরি করা হয়। উভয় ক্ষেত্রে জোড়া হয় স্থায়ী। তবে গ্রিল তৈরির কারখানায় জোড়া লাগানোর জন্য জোড়া স্থানে চাপ প্রয়োগ করতে হয় না। কিন্তু কামারশালায় শিকল বানাতে জোড়া স্থানে হাতুড়ির আঘাত বা চাপ প্রয়োগ করতে হয় ।

সুতরাং একই ধাতুর তৈরি বা ভিন্ন ধাতুর তৈরি দুটি বা ততোধিক ধাতব খণ্ডের একটি উপর আরেকটিকে রেখে বা পাশাপাশি অবস্থানে রেখে, উত্তাপের সাহায্যে গণিত বা অর্ধগলিত অবস্থায় এনে, চাপ প্রয়োগ করে বা বিনা চাপে, ফিলার মেটাল ছাড়া বা ফিলার মেটাল সহযোগে, স্থায়ীভাবে জোড়া দেয়ার পদ্ধতিকে ওয়েল্ডিং(Welding) বলে। যেমন- আর্ক ওয়েল্ডিং, গ্যাস ওয়েন্ডিং ইত্যাদি । 

Content added By

ফেব্রিকেশন (Fabrication) (১.২)

415
415

ফেব্রিকেশন এমন একটি পদ্ধতি যেখানে বহুমুখী ওয়েন্ডিং কর্ম প্রক্রিয়ার সমাহারে বাস্তবভিত্তিক ধাতব কাঠামো তৈরি করা হয়। অতএব, ধাতব কাঠামো তৈরির কাজে যে সমস্ত ধাতব পদার্থ যেমন- লোহা বা ইম্পাজের প্লেট, অ্যাঙ্গেল, চ্যানেল, এইচ বিম, রড প্রভৃতি ধাতু খণ্ডকে প্রয়োজনীয় টুলস ও ইকুইপমেন্ট-এর সাহায্যে নকশা অনুসারে কেটে ওয়েল্ডিং করে জোড়া (joint) দিয়ে ইন্দিত কাঠামো বা স্ট্রাকচার গঠন করার প্রক্রিয়াকে ফেব্রিকেশন (Fabrication) বলা হয়। যেমন- গাড়ির বড়ি, চেসিস, আলমিরা, জানালার গ্রিল ইত্যাদি কাঠামো তৈরি করাই ফেব্রিকেশন । 

ওয়েল্ডিং করে সহজেই স্থায়ী জোড়া তৈরি করা যায়। ফেব্রিকেশন কাজে স্থায়ী জোড়া তৈরির জন্য ওয়েন্ডিং অপরিহার্য। ওয়েল্ডিং ক্ষুদ্র পরিসরে আর ফেব্রিকেশন বৃহৎ পরিসরে ব্যাপৃত দুটি পরিভাষা যা স্থায়ী জোড়া তৈরিতে অধিক সমাদৃত।  

Content added || updated By

শিল্প উৎপাদনে ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশনের ভূমিকা (Role of Welding and Fabrication for Industrial production) (১.৩)

182
182

শিল্প উৎপাদনে এমন কোনো মেশিন বা যন্ত্রাংশ খুঁজে পাওয়া যাবে না, যা ওয়েল্ডিং কর্মবিহীন তৈরি হয়েছে । প্রকৃত অর্থে আধুনিক প্রযুক্তিবিদ্যা বর্তমান সভ্যতায় যে সমস্ত অবদান রেখেছে তার মধ্যে ওয়েন্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বর্তমান যান্ত্রিক যুগে লৌহ, ইস্পাত ও বিভিন্ন ধাতব পদার্থের ব্যবহার ব্যাপক বৃদ্ধির সাথে সাথে ওয়েন্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন-এর ব্যবহার দিন দিন সমহারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শিল্পকারখানা ও বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ধাতব খণ্ডের স্থায়ী জোড়া তৈরি অত্যাবশ্যক । ধাতব খণ্ডের স্থায়ী জোড়া তৈরির অন্যতম উপাদানই হচ্ছে ওয়েল্ডিং। এরূপ নির্মাণ অবকাঠামো, কলকারখানায় যন্ত্রপাতির ফাটল বা ভাঙা অংশ মেরামতের কাজে ওয়েল্ডিং প্রয়োজন। আজকাল উন্নততর ওয়েল্ডিং যন্ত্রপাতি ও ওয়েল্ডিং কৌশল আবিষ্কৃত হওয়ায় অল্প সময়ে ও অল্প ব্যয়ে উত্তম ও শক্তিশালী জোড়া তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।  

Content added By

ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন ট্রেডের কর্মক্ষেত্র ( Working Field of Welding and Fabrication Trade) (১.৪)

212
212

নিম্নে ওয়েন্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন ট্রেডের কর্মক্ষেত্র উল্লেখ করা হলো :

  •  ১. মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ শিল্প।
  • ২. বস্ত্র ও পাটশিল্প ।
  • ৩. খনিজ এবং তেল উৎপাদনের কারখানা।
  • ৪. মেশিন টুলস কারখানা ।
  • ৫. ভারী যন্ত্রপাতি তৈরি শিল্প।
  • ৬. উড়োজাহাজ তৈরি শিল্প।
  • ৭. সেতু নির্মাণ ।
  • ৮. অটোমোবাইল শিল্প।
  • ৯. জাহাজ তৈরির কারখানা।
  • ১০. বিল্ডিং নির্মাণ ।
  • ১১. পাইপ লাইন তৈরির কার্যক্ষেত্র ।
  • ১২. শিপ ইয়ার্ড বা জাহাজ তৈরী কারখানা ডক ইয়ার্ড
  • ১৩. কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরির কর্মক্ষেত্র
  • ১৪. রেলওয়ে কারখানা ।
  • ১৫. ধাতব আসবাবপত্র তৈরির শিল্প ও কারখানা।
  • ১৬. ইলেকট্রনিক শিল্প ।
  • ১৭. রসায়ন শিল্প ।
  • ১৮. স্ট্রাকচারাল শিল্প।
  • ১৯. ঔষধ শিল্প।
  • ২০. খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প।
  • ২১. সাবান ও প্রসাধনী শিল্প ।
  • ২২. নভোযান তৈরি শিল্প। 
  • ২৩. ছাপাখানা, ইত্যাদি ।
Content added By

প্রশ্নমালা-১

214
214

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি : 

১. ওয়েল্ডিং কী ?

২. ফেব্রিকেশন বলতে কী বোঝায়?

৩. ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশনের মূল পার্থক্য কী?

৪. দু'টি ওয়েল্ডিং পদ্ধতির নাম লেখ ?

৫. ওয়েল্ডিং-এর দু'টি কর্মক্ষেত্রের নাম লেখ ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন ট্রেডের প্রয়োজনীয়তা লেখ ।

২. ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন ট্রেডের ৫টি কর্মক্ষেত্র উল্লেখ কর ।

৩. ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন ট্রেডের উদ্দেশ্য লেখ।

৪. ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশনের মধ্যে পার্থক্য দেখাও।

৫. ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশনের ভূমিকা বিবৃত কর ।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি :

১. ধাতব পদার্থের মধ্যে স্থায়ী জোড় তৈরিতে ওয়েল্ডিং-এর ভূমিকা ব্যাখ্যা কর ।

২. ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশনের গুরুত্ব আলোচনা কর ।

৩. ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশনের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এমন আসবাবপত্রের নাম লেখ ।

৪. ওয়েল্ডিং ও ফেব্রিকেশন পদ্ধতির বর্ণনা দাও।

৫. ওয়েল্ডিং অ্যান্ড ফেব্রিকেশন ট্রেডের কর্মক্ষেত্র উল্লেখ কর ।

৬. এমন কোনো ধাতু নেই যা ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে জোড়া দেওয়া যায় না'- কথাটি ব্যাখ্যা কর ।

Content added || updated By

ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের সতর্কতা (দ্বিতীয় অধ্যায়)

192
192
Please, contribute by adding content to ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের সতর্কতা.
Content

ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের সতর্কতার উদ্দেশ্য (Purpose of Precaution of Fabrication Work Field) (২.১)

180
180

ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্র বলতে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্ষেত্রকে বোঝায়, যেখানে যন্ত্রের সাহায্যে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী (Product) তৈরি করে বা ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি মেরামত করে। এরূপ কর্মক্ষেত্রে মানুষ তথা কারিগর এবং মেশিন পাশাপাশি থাকে, সেই সাথে থাকে প্রয়োজনীয় কাঁচামাল এবং অন্যান্য সাহায্যকারী মালামাল ও যন্ত্রাংশ। কারিগরকে কোনো না কোনো মেশিন চালাতে হয়। যদি কারিপর সতর্কতার সাথে মেশিন চালনা না করে তাহলে বিভিন্ন প্রকার দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। কর্মক্ষেত্রের এই দুর্ঘটনার ফলে কারিগরের অঙ্গহানি, স্থায়ী পঙ্গুত্ব এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে অথবা কর্মশালার মালামাল বা যন্ত্রপাতি ধ্বংস হতে পারে।

কর্মশালার দুর্ঘটনা কারো কাম্য নয়, কারণ এটি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ কিংবা জাতির জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। একজন কারিপর যখন দুর্ঘটনায় পতিত হয় তখন যেমন শারীরিক কষ্ট ভোগ করে, পাশাপাশি তার পরিবারের সদস্যও সে সময় মানসিক কষ্ট পায়। সে যতদিন আঘাতের কারণে কাজ করা হতে বিরত থাকে ততদিন তার গোটা পরিবার অর্থনৈতিক কষ্টে দিন কাটায়। তাছাড়া উক্ত কারিগরের চিকিৎসার জন্য ব্যয় হয় প্রচুর অর্থ। 

কারিগর যতদিন কাজ করতে পারে না ততদিন দেশ তার কাজ হতে বঞ্চিত হয়। এতকিছু ক্ষতির মূলে যে দুর্ঘটনা, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘটে কর্মীর ব্যক্তিগত সতর্কতার অভাবে। আর অতি অল্প সংখ্যক দুর্ঘটনা ঘটে যন্ত্রপাতি ও পরিবেশ পরিস্থিতির দোষে। তাই ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে কাজ করার প্রথম শর্তই হলো নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর কর্ম সম্পাদন (Safety First than Work)। চিত্র-২.১ ও টিম-২.২ তে দু'টি নিরাপত্তা পোর্টার দিয়ে বিষয়টি আরও পরিষ্কার করা হয়েছে।

অতএব, ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে ( Safety first than work) অর্থাৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পর কর্ম-এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে নিম্নরূপ সতর্কতাগুলি পালনে মনোযোগী হওয়া একান্ত কর্তব্য :

১. ফেব্রিকেশন যন্ত্রপাতি ও আনুষঙ্গিক সরঞ্জামগুলো নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে সাজিয়ে রাখতে হবে ।

২. নিরাপত্তামূলক কর্মক্ষেত্রের ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে ।

৩. ফেব্রিকেশন-মেশিন ও যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে ধারাবাহিক নিয়ম রয়েছে, তা জেনে নিতে হবে ।

৪. গ্যাস বা আর্ক ওয়েল্ডিং-এর সময় যে ধোঁয়া বের হয় তা যেন শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে দেহে প্রবেশ না করে সেজন্য নিরাপত্তা মুখোশ (Safty Mask) মাক্স ব্যবহার করতে হবে ।

৫. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে কাজ করার সময় দাহ্য তৈলাক্ত পদার্থ দূরে রাখতে হবে।

৬. প্রত্যেকটি টুলস, মালামাল ও যন্ত্রপাতি নির্দিষ্ট জায়গায় সাজিয়ে রাখতে হবে। 

৭. শরীরের কোনো অংশ কেটে বা পুড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে হবে এবং প্রয়োজনে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে । 

৮. কর্মক্ষেত্রে ধারালো টুলস নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে।

৯. উত্তপ্ত ধাতব পদার্থ হাত দিয়ে স্পর্শ না করে টংস (Tongs) ব্যবহারের অভ্যাস করতে হবে যাতে হাত বা শরীরের কোনো অংশ পুড়ে না যায়।

Content added By

ফেব্রিকেশন-এ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Safety and Healthy Environmental Work in Fabrication) (২.২)

151
151

ফেব্রিকেশন বলতে আর্ক, বিদ্যুৎ ও অর্ধগলিত বা গলিত ধাতু নিয়ে কাজকর্ম বোঝায়। তিনটিই শরীরের পক্ষে বিশেষ ক্ষতিকারক বিষয়। এ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশের একান্ত প্রয়োজন। নিচের কাজগুলো নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ বজায়
রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে :

১. ফেব্রিকেশন যন্ত্রপাতি ব্যবহারের নিয়মকানুন সঠিকভাবে জেনে এবং মেনে কর্ম করা ।

২. ওয়ার্কশপে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের সুব্যবস্থা নিশ্চিত করা ।

৩. তেল বা তেল জাতীয় পদার্থ যেখানে সেখানে ফেলে না রাখা।

৪. যেখানে সেখানে কফ বা থুথু না ফেলা।

৫. কারখানার মধ্যে কখনও বিকট শব্দ না করা।

৬. অসুস্থ বা তন্দ্রাভাব নিয়ে কাজ না করা।

৭. কাজের সময় গল্পগুজবে লিপ্ত না হওয়া।

৮. কাজ শেষে কাজের জায়গা অবশ্যই পরিষ্কার রাখা।

এসব নিয়ম সঠিকভাবে মেনে চললে কর্মস্থল নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত হবে এবং সুস্থ দেহ-মনে কাজকর্ম করতে পারার ফলে কারখানার উৎপাদন ও সর্বোপরি লভ্যাংশ বৃদ্ধি পাবে ।

Content added By

ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে বিপজ্জনক অবস্থাদি শনাক্তকরণ (Identification of Danger situation Fabrication working) (২.৩)

163
163

ফেব্রিকেশন উত্তাপ ও উত্তপ্ত ধাতব পদার্থ এবং ওয়েন্ডিং জনিত বিষাক্ত গ্যাসের উৎপত্তিস্থল। যে কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে নিরাপদ থাকতে হলে পূর্বাহে বিপজ্জনক অবস্থাদি শনাক্তকরণ প্রয়োজন। নিম্নে ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে বিপজ্জনক অবস্থাদি প্রদত্ত হলো- 

১. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত আলো-বাতাস শারীরিক ক্ষতির আশঙ্কা হতে পারে।

২. আর্ক ওয়েল্ডিং ধোঁয়া ফুসফুসে প্রবেশের দরুন শরীরের ক্ষতি হতে পারে ।

৩. ওয়েন্ডিং পরিবেশ দূষণ করে।

৪. আর্ক রশ্মি থেকে চোখের ক্ষতি হতে পারে।

৫. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে গ্যাস দ্বারা আগুন লাগতে পারে। 

৬. ঢিলা জামাকাপড় পরিধান করে কাজ করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৭. চিপিং করার সময় চিপস চোখে এসে চোখের ক্ষতি করতে পারে। 

৮. লম্বা চুল ড্রিল মেশিন বা কোনো ঘূর্ণায়মান মেশিনে আটকে গিয়ে তা থেকে বিপদ ঘটতে পারে ।

৯. ভিজা বা স্যাঁতসেতে জায়গায় দাঁড়িয়ে ওয়েল্ডিং করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হতে পারে।

১০. গ্যাস সিলিন্ডার অসতর্কভাবে ব্যবহারে বিস্ফোরণসহ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 

১১. আংটি বা ঘড়ি পরে কাজ করলে তা মেশিনে আটকে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

১২. ভেন্টিলেশন-এর অভাবে ওয়েল্ডিংজনিত বিষাক্ত গ্যাস শরীরকে নিস্তেজ করতে পারে।

Content added By

ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তির বিপজ্জনক কাজকর্মসমূহ (Danger situation of Fabrication Work Field) (২.৪)

126
126

ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিকে তাপ-বিদ্যুৎ ও উত্তপ্ত ধাতব পদার্থ নিয়ে কাজকর্ম করতে হয়। ব্যক্তিকে যে কোনো দুর্ঘটনার হাত থেকে নিরাপদ থাকতে হলে পূর্বাহ্ণে বিপজ্জনক অবস্থাদি সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকা প্রয়োজন । নিম্নে ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তির বিপজ্জনক অবস্থাদিসমূহ উল্লেখ করা হলো-

১. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে উত্তপ্ত ধাতব পদার্থের সংস্পর্শে পুড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

২. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে কোনো ভারী মালামাল পরিবহন করার সময় তা পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । 

৩. চিপিং কালে চিপস বা ধাতব কণা চোখে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

৪. ড্রেন এর মাধ্যমে মালামাল সরানোর সময়ও অসতর্ক মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৫. ভিজে স্যাঁতসেঁতে জায়গায় দাঁড়িয়ে ওয়েল্ডিং করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । 

৬. ফেব্রিকেশন কাজে কোনো বস্তু কাটার সময় গ্যাস ব্যবহার করা হয়, তাতেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

৭. মেশিনে কাজ করার সময় অন্যমনস্ক বা অহেতুক কথাবার্তার জন্য দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

৮. মেশিনে কাজ করার সময় অসাবধানতা অবলম্বন করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

৯. ফেব্রিকেশন কাজের শেষে যে ময়লা হয় তা পরিষ্কার না করলে তা হতেও দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Content added By

ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের হাউজকিপিং এর বিষয়াদি বিবৃতকরণ (House keeping of Fabrication Work Field) (২.৫)

134
134

উত্তম হাউজকিপিং যে কোনো কর্মক্ষেত্রের সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ গড়ার পূর্বশর্ত। তাই ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে হাউজকিপিং একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জরুরি বিষয়। কাজের শেষে কর্মস্থল ঠিকমতো পরিষ্কার না করলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। অপরিচ্ছন্নতার জন্য রোগজীবাণু ছড়াতে পারে। অপরিষ্কার জায়গায় কাজ করলে কাজের বিঘ্ন ঘটে। ফলে কাঙ্ক্ষিত মানের কার্যবস্তু তৈরি হয় না। তাই কাজের শেষে অবশ্যই প্রতিদিন যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল নির্দিষ্ট স্থানে কার্যোপযোগী করে রাখতে হবে। উত্তম হাউজকিপিং উন্নতমানের জব তৈরি নিশ্চিত করে এবং নিরাপদ কর্মপরিবেশ বজায় রাখে।

অতএব ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে হাউজকিপিং-এর প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।

Content added By

প্রশ্নমালা-২

218
218

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে কাজ করার প্রথম শর্ত কী ?

২. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে বিপজ্জনক অবস্থা কী?

৩. ফেব্রিকেশনে নিরাপদ কর্মপরিবেশ বলতে কী বোঝায় ? 

৪. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের হাউজকিপিং (House Keeping) বলতে কী বোঝায় ?

৫. শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে কী ব্যবস্থা নিতে হবে?

৬. ফেব্রিকেশন যন্ত্রপাতি কী উপায়ে রাখতে হবে ?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের সতর্কতার উদ্দেশ্য লেখ ।

২. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের ব্যক্তির বিপজ্জনক কাজকর্ম উল্লেখ কর ।

৩. ফেব্রিকেশনে স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশের প্রয়োজনীয়তা লেখ ।

৪. ফেব্রিকেশনে কী উপায়ে দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হয় ?

৫. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে কেন নিরাপদ কর্মপরিবেশের প্রয়োজন হয়?

রচনামূলক প্রশ্নাবলি :

১. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের বিপজ্জনক অবস্থাদির বর্ণনা দাও।

২. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের হাউজকিপিং বিষয়গুলো আলোচনা কর ।

৩. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রের ব্যক্তির বিপজ্জনক কাজকর্মের বর্ণনা দাও।

৪. ফেব্রিকেশন-এ নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর।

৫. ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে Safety First than work' কথাটির আলোকে নিরাপত্তামূলক সতর্কতার বর্ণনা দাও।

Content added By

ফেব্রিকেশন মেশিনসমূহের পরিচিতি (তৃতীয় অধ্যায়)

320
320
Please, contribute by adding content to ফেব্রিকেশন মেশিনসমূহের পরিচিতি.
Content

ফেব্রিকেশন মেশিনসমূহের নাম (Name of Fabrication Machines ) (৩.১)

239
239

ফেব্রিকেশন কর্মক্ষেত্রে নানাবিধ ধাতব কাজের সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের মেশিনপত্র ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নিম্নে ফেব্রিকেশন
কর্মক্ষেত্রে ব্যবহৃত প্রধান প্রধান মেশিনসমূহের নাম উল্লেখ করা হলো : 

১. স্লিপ রোল ফরমিং মেশিন (Slip Roll Forming Machine )

২. রোটারি মেশিন (Rotary Machine)

৩. কর্নিক ব্রেক মেশিন (Cornic Brake Machine) 

৪. হ্যান্ড লিভার শিয়ার (Hand Lever Shear )

৫. স্কয়ার শিয়ার মেশিন (Square Shear Machine) 

৬. বক্স অ্যান্ড প্যান ব্রেক মেশিন (Box and Pan Brake Machine)

৭. সার্কেল শিয়ার্স (Circle Shears )

৮. বার ফোল্ডিং মেশিন (Bar Folding Machine)

৯. সেটিং ডাউন মেশিন (Setting Down Machine) 

১০. ডবল সিমিং মেশিন (Double Seaming Machine)

১১. গ্রুভিং মেশিন (Grooving Machine)

Content added By

ফেব্রিকেশন মেশিনসমুহ শনাক্তকরণ (Identification of Fabrication Machines) (৩.২)

125
125

ফেব্রিকেশন মেশিন কাজের ধরনের উপর ভিত্তি করে শনাক্ত করা হয় । নিম্নে ফেব্রিকেশন মেশিনসমূহ শনাক্ত করা হলো:

(১) স্লিপ রোল ফরমিং মেশিন (Slip Roll Forming Machine ) : স্লিপ রোল ফরমিং মেশিন ফেব্রিকেশন কাজে ব্যবহৃত অন্যতম মেশিন। এটি প্রধানত তিনটি রোলার নিয়ে গঠিত। সামনের দুটি কাজের ধরন অনুযায়ী ফাঁক করা হয় এবং পিছনেরটি অলসভাবে মেটালের আকৃতি দিতে সাহায্য করে।

(২) রোটারি মেশিন (Rotary Machine) মূলত দুই প্রকার রোটারি মেশিনের সাহায্যে ওয়্যার এল কাজ করা হয়। একটি টার্নিং মেশিন অন্যটি ওয়্যারিং মেশিন। একমাত্র রোলার ছাড়া উত্তর মেশিনের অন্য কোনো পার্থক্য নেই। রোটারি মেশিন অ্যাডজাস্টিংকু, জাংক ফু এবং ফ্লু হ্যান্ডেল নিয়ে পঠিত ।

(৩) কর্ণিক ব্রেক মেশিন (Cornic Brake Machine) কর্নিক ব্রেক মেশিন পিটকে সরু আকৃতির বেড করতে ব্যবহার করা হয়। বেশি চওড়া যেমন- বাক্সের পার্শ্ব বেস্ত করতে ব্রেক মেশিন বা হাতে করা যেতে পারে। এই মেশিন দুই প্রকার কর্নিক ব্রেক মেশিন এবং বক্স অ্যান্ড প্যান ব্রেক মেশিন। কর্নিক ব্রেক টপ-লিফ এবং লোয়ার বেন্ডিং লিফ, ফ্ল্যাপিং হ্যান্ডেল, হ্যান্ডেল, ব্যালেন্স ওয়েট, বেন্ডিং এজবার ইত্যাদি অংশ নিয়ে গঠিত।

(৪) হ্যান্ড পিতার পিয়ার ( IIand Lever Shears) হ্যান্ড পিতার শিয়ার হস্তচালিত মেশিন। এতে দুটি ব্রেড বর্তমান। একটি স্থির অপরটি চলমান। হাতলটি চেপে নিচের দিকে নামালে চলমান ব্লেডটি নেমে এসে শিটকে কেটে ফেলে। এর সাহায্যে পুরু পিটকে সরল রেখা বরাবর অল্প চাপে সহজেই কাটা যায় এবং সময় ও শ্রম কম লাগে।

(৫) স্কয়ার শিয়ার মেশিন (Square Shear Machine) ক্ষয়ার শিল্পার মেশিন বেড (Bed), ফুট ট্ৰেডল (Foot Treadle), দুটি কাটিং ব্লেড (Cutting Blade ফ্রন্ট গেজ (Front gauge), ব্যাক পেজ (Back gauge) এবং দুটি গাইড গেজ (Guide Gauge) নিয়ে গঠিত। ব্লেডের সম্মুখে পরিমাপের জন্য একটি স্কেল আছে, যার প্রতি ইঞ্চিতে ১৬ ভাগে ভাগ করা আছে। উক্ত স্কেল দিয়েই শিট কাটার পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। ব্রেডের প্রত্যেক পার্শ্বে স্টিল বারে নির্মিত গাইড গেজগুলি বোল্ট দ্বারা আবদ্ধ। গাইড গেজের যে কোনো পার্শ্ব দিয়ে পিটের প্রান্তে স্থাপন করে মেশিনের কাটিং এজ-এর সমান্তরালে ইহা কাটা যায় ।

(৬) বক্স অ্যান্ড প্যান ব্রেক মেশিন (Box and Pan Brake Machine) বক্স অ্যান্ড প্যান ব্রেক এবং কর্ণিক ব্রেকের মধ্যে প্রাথমিক পার্থক্য হবে উপরের 'ছ' (Jaw) এর ডিজাইনের প্রকৃতি। কর্নিক ব্রেকের একটি মাত্র উপরের ৰেভিং ৰায় থাকে, কিন্তু বন্ধ অ্যান্ড প্যান ব্রেক মেশিন অনেকগুলো ছোট ছোট পৃথক বারের সমন্বয়ে গঠিত এবং যা ফিগার নামে পরিচিত।

(৭) সার্কেল পিয়ার্স (Circle Shears) এটা হস্তচালিত মেশিন। হাতলটিকে খুৱালে চালু করা কাটার দুটির মাধ্যমে নিট অতি অল্প সময়ে সহজেই এবং কম পরিশ্রমে বৃত্তাকারে কর্তিত হয়ে যায়।

(৮) বার ফোল্ডিং মেশিন (Bar Folding Machine) এটি শিট মেটাল কাজে প্রায়ই ব্যবহার করতে হয়। এই মেশিনের সাহায্যে শিট যে কোনো কোণে বেড করা, জ্যানেল তৈরি, হেমের ভাঁজ করা এবং তার এক্স উৎপন্ন করা হয়। এই মেশিনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সতর্কতার বিষয় হলো ক্যাপাসিটির অতিরিক্ত গুরু শিট ব্যবহার না করা। বার ফোল্ডিং মেশিনে 20 না 22 সেজ (SWG) পর্যন্ত পুরু শিট ব্যবহার করা যেতে পারে।

(১) সেটিং ডাউন মেশিন (Setting Down Machine) সাধারণত সেটিং ডাউন মেশিনের সাহায্য নিলে লিম এ উৎপন্ন করা যায়। পিটের প্রাপ্তকে রোলের মধ্যে স্থাপন করে ক্র্যাংক হ্যান্ডেলকে ঘুরানো হয়। মেশিনের উপর অবস্থিত ক্র্যাংক ভূ-এর সাহায্যে উপরের রোলারের মাধ্যমে চাপ নিয়ষণ করে মেটালের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়।

(১০) ডবল সিমিং মেশিন (Double Seaming Machine) ডবল সিমিং মেশিন হর্ন, নিচের রোল, উপরের রোল, হ্যান্ড হইল, ক্র্যাংক ব্লু. অ্যাজুলার সারফেস, ছোট হুইল এবং ব্যাংক হ্যান্ডেল প্রভৃতি নিয়ে গঠিত। ডবল সিমিং করার জন্য কার্যবস্তুকে হর্নের উপর দিয়ে নিচের রোলারে স্থাপন করতে হবে। উপরে রোলারকে হ্যান্ড হুইল-এর সাহায্য বাইরের দিকে সরাতে হবে। জাংক ফুকে ঘুরিয়ে, অ্যাঙ্গুলার সারফেসকে উপরের রোল-এর বিপরীত সীমার উপরের এতো আনতে হবে। এই কাজে ছোট হুইল মেটালকে ধারণ করতে সহায়তা করে। এখন ফ্ল্যাংক হ্যাডেলকে ঘুরাতে হবে। এতে পিটের প্রাপ্ত বাঁকা হয়ে চ্যাপ্টা অবস্থার সৃষ্টি হবে। 

(১১) এন্ডিং মেশিন (Grooving Machine) মূলত এন্ডিং মেশিনের সাহায্যে সিম জয়েন্টকে দৃঢ় ও নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করা যায়। প্রথমে কার্যকরকে নিয়ম মোতাবেক প্রাপ্ত ভাঁজ করে আটকিয়ে (Hook) শিল্পে নিম তিং মেশিনে সেট করতে হবে। এই মেশিন ব্যবহার করতে প্রথমে কর্নকে অ্যাডজাস্ট করতে হবে। যদি সিম কার্যবস্তুর উপর তলে থাকে, তাহলে বর্নকে ঘুরাতে হবে যেন সমতল সারফেস উপরে থাকে। সিম কার্যবস্তুর ভিতরের দিকে থাকলে সঠিক মাপের এন্ড নির্বাচন করে হর্নকে এরূপে খুৱাতে হবে যেন নির্ধারিত গ্রস্ত উঠে আসে।

(১২) পাইপ ব্লেন্ডিং মেশিন

 

Content added By

ফেব্রিকেশন মেশিনের ব্যবহার (Uses of Fabrication Machine) (৩.৩)

206
206

ফেব্রিকেশন মেশিন ধাতব কাঠামো তৈরির কাজে অর্থাৎ ধাতব পদার্থ যেমন- লোহা বা ইস্পাতের প্লেট, অ্যাঙ্গেল, চ্যানেল, এইচ বিম, রড প্রভৃতি ধাতু খণ্ডকে প্রয়োজনীয় টুলস ও ইক্যুইপমেন্ট-এর সাহায্যে নকশা (Drawing) অনুসারে কেটে ওয়েল্ডিং করে জোড়া (joint) দিয়ে ইন্সিত কাঠামো বা স্ট্রাকচার গঠন করার ক্ষেত্রে সর্বাধিক ব্যবহৃত হয়।

নিম্নে বিভিন্ন প্রকার ফেব্রিকেশন মেশিনের ব্যবহার সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো :

শিয়ার কাটিং মেশিন কোনো ধাতব খণ্ডকে বা পাতকে কাটার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এর দ্বারা রড, ফ্লাট বার, রাউন্ড বার, অ্যাঙ্গেল বার ইত্যাদি কাটা যায় ।
রাউন্ড বার বা পাইপ বেন্ডিং মেশিন রাউন্ড বার বা পাইপ বেল্ডিং করার কাজে এ জাতীয় মেশিন ব্যবহার করা হয় । এর মাধ্যমে পাইপের বা রাউন্ড বারের বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল ও আকৃতি দেওয়া যায় ।

শিট ব্লেন্ডিং মেশিন কোনো শিট ব্লেন্ডিং বা অ্যাঙ্গেল করার কাজে এই মেশিন ব্যবহার করা হয়। 

অটো প্লেট কার্টার : এটি সাধারণত ধাতব প্লেট কাটার কাজেই বেশি ব্যবহৃত হয়। এটি ইলেকট্রিসিটির মাধ্যমে চলে। এটি বড় কলকারখানার ব্যবহৃত হয়।
প্লেট বা পিট রোলিং মেশিন কোনো ধাতব প্লেট বা শিট রোলিং করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়। এর
মাধ্যমে রাউন্ড, হাফ রাউন্ড রোলিং করা যায়।

গ্রাইন্ডিং মেশিন : গ্রাইন্ডিং মেশিনের সাহায্যে টেপার, সিলিন্ড্রিক্যাল, অভ্যন্তরীণ, সেন্টারলেস ইত্যাদি সকল প্রকার তলকে সহজেই প্রাইভিং করা হয়।

পাওয়ার 'স' : বড় ব্যাস বিশিষ্ট পাইপ, স্কয়ার বার, রাউন্ড বার, রড, মোটা ধাতব প্লেট ইত্যাদি কাটার জন্য এই মেশিন ব্যবহার করা হয় । পাওয়ার ড্রিল মেশিন : কোনো বস্তুর উপর ছিদ্র করার কাজে এই ড্রিল মেশিন ব্যবহার করা হয়।

প্লেট বেন্ডিং মেশিন এই জাতীয় মেশিন খুবই ভারি। এটি সাধারণত বড় বড় কলকারখানায় ব্যবহৃত হয়। বিশেষ করে শিপ ইয়ার্ড বা ডক ইয়ার্ডে এর ব্যবহার বেশি দেখা যায়। এটি হাইড্রোলিক চালিত হওয়ায় মোটা বা পুরু সাইজের প্লেটকে বেন্ডিং করা সহজ হয়।

Content added By

ফেব্রিকেশন মেশিনের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের বর্ণনা (Care and Maintenance of Fabrication Machines) (৩.৪)

188
188

ফেব্রিকেশন মেশিনের সর্বাধিক ব্যবহার এদের যথাযথ যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের উপর নির্ভরশীল। ফেব্রিকেশন মেশিনের সর্বাধিক ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এর যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণে নিম্নলিখিত ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন- 

১. ওয়েল্ডিং মেশিনের সুইচ, ইনপুট এবং আউটপুট লাইনের ক্যাবলের ইন্সুলেশন ঠিকমতো আছে কি না, দেখে নিতে হবে । যদি না থাকে তাহলে মেরামত করতে হবে।

২. ধুলাবালি, কার্বনের গুঁড়া জমে মেশিনের কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে, তাই পরিষ্কার করে নিতে হবে। 

৩. যেসব মেশিনে তেল বা গ্রিজ দিতে হয়, তা ভালো করে পরীক্ষা করে নিয়ে তারপর মেশিন চালু করতে হবে।

৪. মেশিন চালনার সময় শব্দ বেশি হলে তা খুলে চেক করে নিতে হবে এবং প্রয়োজনবোধে মেরামত করে নিতে হবে ।

৫. মেশিনে কাজ করার আগে চালুকরণ পদ্ধতি জেনে নিতে হবে । 

৬. ঘূর্ণায়মান ও চলমান মেশিনের উপর ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে।

৭. ব্রাশ দিয়ে মেশিন ও চারপাশ পরিষ্কার করে রাখতে হবে ।

৮. কাজ শেষে মেশিন পরবর্তী কাজের উপযোগী করে রাখতে হবে।

Content added By

প্রশ্নমালা-৩

163
163

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. ফেব্রিকেশন মেশিন ব্যবহার করার মূল কারণ কি ? 

২. ফেব্রিকেশন মেশিন বলতে কী বোঝায়?

৩. তিনটি প্রয়োজনীয় ফেব্রিকেশন মেশিনের নাম লেখ ।

৪. ফেব্রিকেশন মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ কী ?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি 

১. ফেব্রিকেশন মেশিন কিসের উপর ভিত্তি করে শনাক্ত করা হয়?

২. পাঁচটি ফেব্রিকেশন মেশিনের নাম উল্লেখ কর।

৩. দুটি ফেব্রিকেশন মেশিনের ব্যবহার লেখ। 

৪. সার্কেল শিয়ার মেশিনের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ লিখ ।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি 

১. একটি ফেব্রিকেশন মেশিনের কার্যপদ্ধতি বর্ণনা কর ।

২. ফেব্রিকেশন মেশিনের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের বর্ণনা দাও। 

৩. পাঁচটি ফেব্রিকেশন মেশিনের ব্যবহার লেখ ।

Content added By

ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস (চতুর্থ অধ্যায়)

403
403
Please, contribute by adding content to ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস.
Content

ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের নাম (Name of the Fabrication Hand Tools) (৪.১)

1.1k
1.1k

ফেব্রিকেশন কাজে নানাবিধ হ্যান্ড টুলস ব্যবহৃত হয়। তাদের মধ্যে নিম্নলিখিত হ্যান্ড টুলসসমূহ অন্যতম-

  • ১. স্টিল রুল (Steel Rule)
  • ২. ট্রাই-স্কয়ার (Tri-square)
  • ৩. ব্লাকস্মিথ টং (Blacksmith Tongs)
  • ৪. অ্যাডজাস্ট্যাবল রেঞ্জ (Adjustable Wrench
  • ৫. চিপিং হ্যামার (Chipping Hammer)
  • ৬. ওয়েন্ডিং ক্ল্যাম্প (Welding Clamp ) 
  • ৭. ওয়্যার ব্রাশ (Wire Brush )
  • ৮. সেন্টার পাঞ্চ (Center Punch)
  • ৯. হাতুড়ি ( Hammer)
  • ১০. সি-ক্লাম্প (C-Clamp
  • ১১. স্টিল বার ক্ল্যাম্প (Steel Bar Clamp )
  • ১২. ভাইস (Vice)
  • ১৩. ক্ল্যাম্প (Clamp) 
  • ১৪. চিজেল (Chisel)
  • ১৫. ফাইল (File)
  • ১৬. ড্রিল বিট (Drill bit)
  • ১৭ হ্যাকস (Hack Saw)
  • ১৮. পাইপ কাটার (Pipe Cutter)
  • ১৯. হ্যান্ড গ্রাইন্ডার (Hand Grinder)
  • ২০. স্লিপ (Snip )
  • ২১. স্টিল টেপ (Steel Tape )
  • ২২. ক্রু-ড্রাইভার (Screw Driver)

এছাড়াও ফেব্রিকেশন কার্যে নিম্নলিখিত টুলগুলি ও ব্যবহৃত হয়ে থাকে

১. রেঞ্চ (Wrench)

২. স্লিপ (Saip)

৩. গ্যাস হিটার টর্চ (Gas Heater Torch) 

৪. সেফটি গগলস্ (Safety Goggles )

৫. ট্যাপ (Tap) এবং ডাই (die)

৬. রিভেট গান / Rivet gun

৭. প্লায়ার্স (Pliers)

৮. হেলমেট (Helmet )

৯. হ্যান্ডশিল্ড (Hand Shield)

১০. ওয়েল্ডিং গগলস্ / Welding Goggles

Content added By

ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস শনাক্তকরণ (Identification of Fabrication Hand Tools) (৪.২)

207
207

ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস ধাতব কাঠামো তৈরির কাজে অর্থাৎ ধাতব পদার্থ যেমন- লোহা বা ইস্পাতের প্লেট, অ্যাঙ্গেল, চ্যানেল, এইচ বিম, রড প্রভৃতি ধাতু খণ্ডকে প্রয়োজনীয় নকশা অনুসারে কেটে ওয়েল্ডিং করে জোড়া (joint) দিয়ে ইন্সিত কাঠামো বা স্ট্রাকচার গঠন করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে ।
নিম্নে বিভিন্ন প্রকার ফেব্রিকেশন কাজে ব্যবহৃত হ্যান্ড টুলসসমূহ দেখানো হল : 

Content added By

ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলনের ব্যবহার (Uses of Fabrication Hand Tools) (৪.৩)

167
167

ধাতব কাঠামো তৈরির কাজে অর্থাৎ ধাতব পদার্থ যেমন- লোহা বা ইস্পাতের প্লেট, অ্যাঙ্গেল, চ্যানেল, এইচ বিম, রড প্রভৃতি ধাতু খণ্ডকে প্রয়োজনীয় নকশা অনুসারে কেটে ওয়েল্ডিং করে জোড়া (joint) দিয়ে ইশিত কাঠামো বা স্ট্রাকচার গঠন করার কাজে ফ্রেবিকেশন হ্যান্ড টুলস-এর ব্যবহার সর্বাধিক।

নিম্নে বিভিন্ন প্রকার ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস-এর ব্যবহার সংক্ষেপে উল্লেখ করা হলো।

১. হ্যামার কোনো বস্তুর উপর আঘাত করার মতো সাধারণ কাজে হ্যামার ব্যবহৃত হয়। 

২. হ্যান্ড বাইভার : সাধারণত প্রাইডিং এবং কাটিং-এর কাজে বিশেষ করে জোড়া এবং পার্শ্বদেশ ও রুট প্রয়াত করার কাজে ব্যবহার করা হয়। 

৩. স্টিল রুল কোনো বস্তুর দৈর্ঘ্য, গ্রন্থ, উচ্চতা মাপার কাজে ব্যবহার করা ।

৪. নিল পাতলা ধাতব শিট কাটার কাজে ব্যবহৃত হয়। 

৫. স্টিল টেপ বড় এবং ছোট আকারের কোনো বস্তুকে মাপার জন্য স্টিল টেপ ব্যবহার করা হয় ।

৬. ক্রু-ড্রাইভার কার্যবস্তুকে ক্রু দ্বারা আটকানো ও খোলার জন্য ব্যবহৃত হয়।

৭. হ্যান্ড গ্যাস কাটার ফেব্রিকেশন কাজে কোনো গুরু মেটাল, অ্যাঙ্গেল বার, ফ্লাট বার, প্লেট ইত্য কাটার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। হ্যান্ড গ্যাস কাটার-এর মাধ্যমে মেটাল কাটলে কাটা স্থান খুব মসৃণ হয় না ।

৮. পাইপ কাটার পাইপ কাটার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।

৯. ডাইস কোনো বস্তুকে হ্যাকস' বা পাইপ কাটারের সাহায্যে কাটার সময় জব বা কার্যবস্তুকে দৃঢ়ভাবে আটকানোর কাজে এটি ব্যবহার করা হয় ।

১০. হ্যাক 'স' বা মালামাল কাটার জন্য হ্যাকস ব্যবহার করা হয়। 

১১. পাঞ্চ এ ধাতব জাবের পায়ে সুক্ষ্ণ অথচ সুস্পষ্ট চিহ্ন অঙ্কন করতে পাঞ্চ ব্যবহার করা হয়।

১২. চিলে সাধারণত ফেব্রিকেশন কাজে ৰাতু চিপিং করা এবং বাড়তি মেটাল কাটার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।

১৩. ক্লাম্প ফেব্রিকেশন কাজে ওয়ার্কপিসকে আটকানোর জন্য ক্ল্যাম্প ব্যবহার করা হয়।

১৪. বিভেল প্রোট্রোক্টর প্রধানত জবের কোণ মাপার জন্য বা বস্তু সমতল আছে কি না তা দেখার জন্য বিভেল প্রোট্রোক্টর ব্যবহার করা হয় ।

Content added By

ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ (Care and Maintenance of Fabrication Hand Tools) (৪.৪)

130
130

নিম্নে ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ উল্লেখ করা হলো।

১. ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস ব্যবহারের পর নির্দিষ্ট জায়গায় সঠিক নিয়মে রাখতে হবে। 

২. টুলস যত্রতত্র নিক্ষেপ করা বা না রাখা। এতে টুলস ভেঙে যেতে পারে অথবা টুলসের আঘাতে কেউ আহত বা নিহত হতে পারে এবং টুলস-এর কাটিং এজ মট হতে পারে।

৩. টুলস ব্যবহারের পর ভালো করে পরিষ্কার করে রাখতে হবে।

৪. টুলস ব্যবহারের নিয়মকানুন জেনে ব্যবহার করতে হবে।

৫. টুলসকে মরিচা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে রং, গ্রিজ ইত্যাদির প্রলেপ দিতে হবে। 

Content added By

প্রশ্নমালা-৪

156
156

অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস বলতে কী বোঝায়?

২. ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস রক্ষণাবেক্ষণ বলতে কী বোঝায় ?

৩. তিনটি ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের নাম লিখ ।

৪. হ্যান্ড গ্রাইন্ডারের ব্যবহার লিখ।

৫. সারফেস প্লেট কী কাজে ব্যবহৃত হয়?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি 

১. ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের নাম শ্রেণিবিন্যাস কর।

২. ৫টি ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের ব্যবহার লেখ।

৩. ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের ৫টি যত্ন উল্লেখ কর ।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি 

১. ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণের বর্ণনা দাও।

২. ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলসের ব্যবহার লিখ।

৩. ফেব্রিকেশন হ্যান্ড টুলস শনাক্তকরণ উল্লেখ কর।

Content added By

ফেব্রিকেশন কাজে লেয়িং আউট অ্যান্ড মার্কিং (পঞ্চম অধ্যায়)

207
207
Please, contribute by adding content to ফেব্রিকেশন কাজে লেয়িং আউট অ্যান্ড মার্কিং.
Content

ফেব্রিকেশন কাজে লেয়িং আউট অ্যান্ড মার্কিং (Laying out and Marking off Fabrication Works) (৫.১)

154
154

ফেব্রিকেশন কাজে লেয়িং আউট অ্যান্ড মার্কিং (Laying out and Marking off Fabrication Works): সেয়িং আউট। কেব্রিকেশন কাজে জব তৈরি করতে হবে তার মাপ অনুযায়ী শিটের উপর দাগাঙ্কিতকরণ কৌশলকে লেয়িং আউট বলে। 

মার্কিংঃ ফেব্রিকেশন কাজে অব তৈরির জন্য শিট বা বস্তুর উপর লেরিং আউট অনুযায়ী দাগ দিয়ে বা করে চিহ্নিতকরণ কৌশলকে মার্কিং বলে। 

Content added By

ফেব্রিকেশন লেরিং আউট টুলস শনাতকরণ (Identification of Fabrication Laying Out Tools) (৫.২)

157
157

নিন্মে লেয়িং আউট টুলসের নাম শনাক্ত করা হলো ।  

১। মার্কিং গেজ (Marking Gauge) 

২। পেন্সিল (Pencil)

Content added || updated By

ফেব্রিকেশন লেয়িং আউট টুলের ব্যবহার (Uses of Fabrication Laying Out Tools) (৫.৩)

168
168

লেয়িং আউট ও মার্কিং টুলসের ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

১. সারফেস প্লেট যেখানে খুবই সূক্ষ্ম ও সঠিক আকারের পে-স্পাউট করতে হয় ঐসব স্কুলে এই সারফেস প্লেট ব্যবহার করা হয়। লে-আউট করার কাজে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বস্ত্র।

২. বেঞ্চ প্লেট এটি সাধারণ কাজে যেখানে সূক্ষ্মতা ও আকারের বিশেষ সঠিকতার দরকার হয় না, সেসব ক্ষেত্রে বেঞ্চ প্লেট ব্যবহার করা হয় । 

৩. অ্যাঙ্গেল প্লেট একে সমতল পাতের উপর রেখে যন্ত্রাংশের সমকোণ পরীক্ষা করা হয়। সময় সময় মেশিনের মুখ পাতের সঙ্গে আটকিয়ে বিভিন্ন রকমের কাজ করা হয় ।

৪. প্যারালাল বার এটি সেপার, ড্রিল, বোরিং মিলিং মেশিনে ভাইস যন্ত্রাংশ বাঁধার সময় ব্যবহার করা হয়। 

৫. কম্বিনেশন সেট এটা দ্বারা কোনো জবের সন্নিহিত দুটি সমতল একই সমকোণ আছে কি না তা : পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়। 

৬. ট্রাইস্কয়ার : এটা দ্বারা কোনো জবের সন্নিহিত দুটি সমতল একই সমকোণে আছে কি না তা পরীক্ষা করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

৭. সারফেস গেজ : বিভিন্ন যন্ত্রাংশের সমান্তরাল ও সমানত্ব পরীক্ষা করার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়

৮. স্ট্রেইট গেজ : বড় বড় যন্ত্রাংশের সমতলের সমানত্ব পরীক্ষা ও সমান্তরাল সরলরেখা অঙ্কনে ব্যবহার করা হয় ।

৯. পাঞ্চ জবের উপর বৃত্ত অঙ্কন করার পূর্বে কেন্দ্রে এটি দ্বারা চিহ্ন করা হয় এবং রেখার উপর চিহ্ন অঙ্কন করার কাজেও পাঞ্চ ব্যবহার করা হয় ।

১০. ওয়েল স্টোন : চিজেলের ধার ভোঁতা হয়ে গেলে এর উপর ঘষে ধার করা হয় ।

১১. ডি ব্লক : এই ব্লক দ্বারা গোলাকার জবকে নিরাপদ ও শক্তভাবে ভি-খাঁজের উপর বেঁধে অঙ্কন, কেন্দ্রবিন্দু নির্ধারণ ও ছিদ্র করা হয়ে থাকে।

Content added By

ফেব্রিকেশন লেয়িং আউট টুলসের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ (Care and Maintenance of Fabrication Laying Out Tools) (৫.৪)

156
156

ফেব্রিকেশন লেয়িং আউট টুলসের যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কে নিম্নে উল্লেখ করা হলো : 

১. ফেব্রিকেশন লেয়িং আউট টুল ব্যবহারের পর সঠিক নিয়মে নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে হবে ।

২. টুলস ব্যবহার করার পর ভালোভাবে পরিষ্কার করে রাখতে হবে । 

৩. টুলস ব্যবহারের নিয়মকানুন জেনে ব্যবহার করতে হবে।

৪. টুলস যত্রতত্র নিক্ষেপ করা উচিত নয়। এতে টুলস ভেঙে যেতে পারে অথবা টুলসের আঘাতে কেউ আহত হতে পারে এবং টুলস-এর কাটিং এজ নষ্ট হতে পারে।

৫. ফেব্রিকেশন লেয়িং আউট টুলসকে মরিচা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় স্থানে রং, গ্রিজ ইত্যাদির প্রলেপ দিতে হবে ।

৬. কাজ শেষে লেয়িং আউট টুলস-এর জন্য নির্দিষ্ট কাঠের বাক্সে সংরক্ষণ করতে হবে ।

Content added By

প্রশ্নমালা-৫

130
130

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. ফেব্রিকেশন কাজে লে-আউট কী?

২. ফেব্রিকেশন কাজে মার্কিং কী ?

৩. ৩টি লে-আউট টুলসের নাম লেখ।

৪. ৩টি মার্কিং টুলসের টুলসের নাম লেখ ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. ফেব্রিকেশন কাজে লেয়িং আউট বলতে কী বোঝায়?

২. ফেব্রিকেশন কাজে মার্কিং বলতে কী বোঝায় ?

৩. ৫টি লেয়িং-আউট অ্যান্ড মার্কিং টুলসের ব্যবহার লেখ। 

৪. লেয়িং-আউট অ্যান্ড মার্কিং টুলসের শ্রেণিবিন্যাস কর।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি :

১. লেয়িং-আউট ও মার্কিং প্রক্রিয়ার বর্ণনা দাও।

২. ফেব্রিকেশনে লেয়িং-আউট টুলসের ব্যবহার লেখ। 

৩. লেয়িং-আউট অ্যান্ড মার্কিং টুলসের শ্রেণিবিন্যাস দেখাও ।

Content added By

ম্যানুয়াল মেটাল কাটিং (ষষ্ঠ অধ্যায়)

318
318
Please, contribute by adding content to ম্যানুয়াল মেটাল কাটিং.
Content

ম্যানুয়াল মেটাল কাটিং-এ ব্যবহৃত টুলস শনাক্তকরণ (Identification of Manual Metal Cutting Tools) (৬.১)

185
185

হাতে ব্যবহার করা যায় এমন যে সকল টুলস ব্যবহার করে ধাতব বস্তু (মেটাল) কর্তন, অপসারণ, ছিদ্রকরণ ইত্যাদি কাজ সমাধা করে তাকে ম্যানুয়াল মেটাল কাটিং টুলস বলে । ম্যানুয়াল মেটাল কাটিং-এ যে সকল টুলস ব্যবহৃত হয় তাদেরকে নিয়ে শনাক্ত করা হলো :

(ক) ফাইল (File)

(খ) চিজেল (Chisel) 

(গ) স্লিপ (Snip)

(ঘ) কোপার (Scraper)

(ঙ) হ্যাকস (Hacksaw)

(চ) ড্রিল বিট (Drill Bit)

Content added By

ডিজেলের সাহায্যে মেটাল কাটিং পদ্ধতি (Procedure of Metal Cutting by Chisel) (৬.২)

143
143

ডিজেল দ্বারা কোনো মেটাল কাটার সময় বেঞ্চ ভাইদের মধ্যে কার্যবস্তুকে ভালোভাবে আটকাতে হবে। এরপর মেটালের মার্কিং অনুযায়ী চিজেল দ্বারা কাটতে হবে। কাটিং করার সময় চিজেলের কাটিং এজ-এর কোণ ৬০ হতে ৭০" অ্যাঙ্গেলে রেখে ব্যবহার করতে হবে।

 

Content added By

হ্যান্ড হ্যাক সয়িং পদ্ধতি (Procedure of Hand Hack-Sawing) (৬.৩)

246
246

কোনো ধাতব কার্যবস্তুকে হাতের পেশিশক্তি প্রয়োগ করে কাটার জন্য হ্যাকস ব্যবহার করা হয়। প্রথমে 'জবকে সঠিকভাবে মার্কিং করে পাঞ্চ করে নিতে হবে। এরপর ভালোভাবে বেঞ্চ ভাইসে বেঁধে নিতে হবে। প্রয়োজনবোধে হ্যামার নিয়ে টাইট দিতে হবে। হ্যাকস ফ্রেমের সাথে ব্লেড ভালোভাবে টাইট দিয়ে নিতে হবে । ব্লেডটির যদি কাটিং ক্ষমতা কম থাকে বা কাটিং ক্ষমতা না থাকে, তখন ব্লেডটি পাল্টিয়ে নিতে হবে। হ্যাকস দিয়ে কাটিং করার সময় ফ্রেমে খুব জোরে চাপ দেওয়া উচিত নয়। বেশি জোরে চাপ দিলে ব্লেড ভেঙে যেতে পারে এবং হাত জখম হতে পারে। ধাতু কাটার সময় লক্ষ রাখতে হবে যেন হ্যাক-স চিহ্নিত দাগ বরাবর হয়। প্রান্তগুলো খাড়া ও কোণগুলো যেন ৯০" হয়।

Content added By

স্লিপের সাহায্যে মেটাল কাটার পদ্ধতি (Procedure of Metal Cutting By Snip ) (৬.৪)

165
165

স্লিপ হলো একটি কাটিং টুলস্ । এই টুলস্-এর মাধ্যমে ধাতব শিট কাটা যায় । প্রথমে কোনো জবকে কাটার 'আগে ড্রয়িং অনুযায়ী মার্কিং করে নিতে হবে। মার্কিং করার পর স্লিপ এমনভাবে চালনা করতে হবে যাতে 'স্লিপ সব সময় মার্কিং-এর উপর দিয়ে চলে। স্লিপ দিয়ে কাজ করার সময় সব সময় সাবধানতার সাথে মেটাল কাটতে হবে । সাবধানতার সাথে কাজ না করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

 

Content added By

পাইপ কাটারের সাহায্যে পাইপ কাটিং পদ্ধতি (Procedure of Pipe Cutting by Pipe cutter) (৬.৫)

211
211

সরু পাইপ বা নল (tube)-কে হ্যাস-স ( Hack Saw) দিয়ে দ্বিখণ্ড করা যায়। কিন্তু পাইপ যদি বড় ব্যাসের হয় তা হলে হ্যাক-স উপযোগী হয় না। এর জন্য 'পাইপ কাটার' নামে এক বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়ে থাকে। এ দ্বারা পাইপকে অতি শিঘ্র, কম পরিশ্রমে দ্বিখণ্ড করা যায়। নিচে সচরাচর ব্যবহৃত একটি 'পাইপ কাটার দেখানো হলো। এর বিভিন্ন অংশের বর্ণনা দেওয়া হলো-

A- ফ্রেম -এর প্রান্তে 'গাইড রোলার' (D) অবস্থিত।

B- স্লাইড-এর উপরের দিকে 'কাটার' (E) যুক্ত করা।

C- হাতল একে ডান বা বাম দিকে ঘুরান যায় । ঘুরালে স্লাইড' (B) এবং 'কাটার' (E) উভয়ই সরে।

D- গাইড রোলার সংখ্যায় এটি দুটি। 'কাটার হুইল' দিয়ে যখন পাইপের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয়, তখন এটা পাইপকে যথাস্থানে ধরে রাখে ।

E- কাটার হুইল -এর সাহায্যে পাইপ দ্বিখণ্ডিত হয়। এর মুখ 'ভি' (V) আকারের। শক্ত কাটিং টুল ম্যাটেরিয়াল দ্বারা এটি তৈরি এবং 'টেম্পার' দেওয়া

F- সেট ফ্লু-একে ভেতরের দিকে প্রবেশ করালে হাতল আর ঘুরতে পারে না ।

নিচের চিত্রে যে প্রকার 'পাইপ কাটার' দেখানো আছে এটি দুটি 'গাইড রোলার' বিশিষ্ট। চারটি গাইড রোলার'সহ ‘পাইপ কাটার'-ও কোনো কোনো স্থানে ব্যবহৃত হয়ে থাকে ।

ব্যবহার প্রণালি :

যে পাইপটিকে দ্বিখণ্ড করতে হবে প্রথমে তাকে 'পাইপ ভাইস'-এ দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ করতে হবে। এরপর সেট ক্রু'টিকে ঢিলা করে ‘পাইপ কাটার'টিকে পাইপের উপর এভাবে স্থাপন করা হয় যাতে যে রেখাসূত্রে দ্বিখণ্ড করা প্রয়োজন এর সাথে 'কাটার হুইল'-এর মুখটি ঠিক মিলে এবং 'গাইড রোলার' সামান্য চিলাভাবে অবস্থান করে। পরে হাতলটিকে ডানদিকে ঘুরিয়ে রোলারগুলোকে পাইপের উপর সামান্য চাপ দিতে হবে । এখন সেট-ক্রুকে ভেতরে প্রবেশ করে নিয়ে হাতলের সাহায্যে সমগ্র ফ্রেমটিকে একবার সম্মুখ দিকে এবং একবার পশ্চাৎ দিকে এই প্রকারে ধীরে ধীরে পাইপের উপর দিয়ে দুই-এক পাক ঘুরাতে হবে ।

পাইপটিকে 'পাইপ ভাইস-এ কিছুক্ষণ অন্তর ঘুরিয়ে আবদ্ধ করে নিয়ে এই পাক দেওয়ার পক্ষে সুবিধা হবে । ফ্রেমটিকে এই প্রকার ঘুরাবার ফলে 'কাটার' পাইপটিকে কাটবে এবং ফলে এটা সামান্য ঢিলাবোধ হবে। 'কাটার হুইল'-এর পূর্ব চাপ বজায় রাখার জন্য সেট-স্কুকে ঢিলা করে নিয়ে হাতলটিকে ডানদিকে সামান্য একটু ঘুরাতে হবে এবং সেট-ক্রুকে পুনরায় ভেতরে প্রবেশ করাতে হবে ।

পূর্বের ন্যায় ফ্রেমটিকে সম্মুখ এবং পশ্চাৎ দিকে দুই-এক পাক ঘুরাতে হবে। এভাবে 'কাটার হুইল'কে কয়েকবার নিয়ন্ত্রণ করে ফ্রেম ঘুরিয়ে পাইপ দ্বিখণ্ড করা যাবে ।

Content added || updated By

পাওয়ার- মেশিন (Power-Saw Machine) (৬.৬)

372
372

পাওয়ার-স ধাতু কাটার এমন একটি মেশিন যা বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে একটি 'স' বা করাকে সা এবং পিছনের দিকে চালনা করে ধাতু কর্তন করে না কাটে। এই মেশিনের সাহায্যে ধাতু কাটাকে পাওয়ার হ্যাক সরি বলা হয়।

চিত্রঃ পাওয়ায়-স মেশিন

হাতে চালিত হ্যাক'স দিয়ে মোটা বা বড় কোনো আর কাটতে গেলে অনেক সময় পর এই সকল ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যা করা হয়। পেক্ষাকৃত বেশি ব্যাসের পাইপ, ভরায় ৰায়, মোটা ধাতব প্লেট, মোটা শ্যাফট, বড় ওয়েভিং মোড়া ইত্যাদি কাটার জন্য এটা অত্যন্ত উপযুক্ত। একটি বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। যে কয় কাটা হচ্ছে তার শত্রুতা রেচেনা শতকার চেয়ে অবশ্যই কম হতে হবে।

চিত্রঃপাইপ ও ধাতব প্লেট কাটিং অংশ

পাওয়ার ব্যাক'স-এর প্রধান অংশসমূহ  

১. মোটর (Motor) 

২. বেস (Base)

৩. 'স' ফ্রেম (Saw Frame)

8. ভাইস (Vice)

৫. কুল্যান্ট পাম্প (Coolmnt pump)  

৬. ব্লেড (Blade)

৭. কানেকটিং রড (Connecting rod)  

৮. ক্র্যাঙ্ক ডিস্ক  (Crank Disk) 

পাওয়ার হ্যাক স-এর প্রধান প্রধান কন্ট্রোলসমূহের নাম :

১. মেশিন সুইচ (Machine Switch)

২. স্পিড চেঞ্জ লিভার (Speed Change Lever) 

৩. ব্লেড টেনশনিং নাট (Blade Tensioning Nut)

৪. প্রেসার কন্ট্রোল লিভার (Pressure Control Lever

সেটিংসমূহের নাম 

১. ব্লেড সেটিং (Blade Setting)

২. জব বা ম্যাটেরিয়াল সেটিং (Job or Material Setting)

৩. কুল্যান্ট সেটিং (Coolant Setting)

৪. স্পিড সেটিং (Speed Setting)

Content added By

ফাইল ও ফাইলিং (File and Filing) (৬.৭)

700
700

ফাইল (File) : ফাইলকে চলতি ভাষায় উথা বা রেডি বলে। কোনো বস্তুর উপবিভাগে বা ছিদ্রের ভেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত অল্প পরিমাণ ধাতু থাকলে ফাইল দিয়ে ঘষে ক্ষয় করে ধাতু অপসারণ করা হয়।
ফাইলের প্রধান অংশগুলো হলো-

১. ট্যাং (Tang)

২. হিল  (Heel)

৩. এজ (Edge)

৪. ফেস (Face) এবং

৫. পয়েন্ট (Point)

ফাইল কাস্ট স্টিল দিয়ে তৈরি হয় এবং বিভিন্ন আকার ( Shape ), স্তর (Grade) এবং দৈর্ঘ্য মাপের হয়ে থাকে। ফাইলের দৈর্ঘ্য ৫০ মিমি হতে ৪৫০ মিমি পর্যন্ত হয়। ফাইলের আকার ফ্লাট, স্কয়ার, রাউন্ড, হাফ-রাউন্ড, ট্রাপ্সুলার (Traingular), নাইফ (Knife) হয়ে থাকে। ফাইলের স্তর (Grade), রাফ (Rough), বাস্টার্ড (Bastard), সেকেন্ড কাট (Second cut), ম্মুখ (Smooth), এবং (Dead Smooth) হয়ে থাকে ।

ফাইলিং (Filing) 

কোনো বস্তুর উপরিভাগকে ফাইল দিয়ে ক্ষয় করার প্রণালিকে 'ফাইলিং' করা বলে। 'ফাইলিং'-এর নীতি মূলত *চিপিং'-এর অনুরূপ । ফাইলের ক্ষেত্রে এর প্রত্যেকটি দাঁত চিজেলের 'কাটিং এজ'-এর ন্যায় কাজ করে থাকে । কোনো প্রশস্ত স্থানকে ক্ষয় করতে হলে, চিত্রোলের স্থলে যেমন প্রথমে এর 'কাটিং এজ' দিয়ে কতকগুলো নালি তৈরি করে পরে অবশিষ্ট উঁচু স্থানগুলোকে আড়ভাবে কাটা বা ক্ষয় করা হয়, ফাইলের হলেও কার্যত এটাই করা হয়ে থাকে । ফাইল চালনা করলে, এই উভয় ক্রিয়া যথাক্রমে একই সময়ে সম্পন্ন হয় ।

চিত্র: ৬.১১ ফাইল ধরার কৌশল

অগ্রসর হওয়ার সময় ফাইলের সম্মুখের দাঁতগুলো ধাতুর মধ্যে প্রবেশ করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নালি তৈরি করে চলে এবং এর ঠিক পেছনের দাঁতগুলো (কৌণিকভাবে কাটা থাকায়) অবশিষ্ট উচ্চ শিরগুলোকে আড়ভাবে কেটে ক্ষয় করে। ফলে, স্থানটি সমতল হয়ে যায় । 

চিত্র: ৬.১২ ফাইলিং করার কৌশল

Content added By

প্রশ্নমালা-৬

195
195

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. 'ফাইলিং'-এর নীতি কী?

২. ম্যানুয়াল মেটাল কাটিং কাকে বলে?

৩. পাওয়ার-স মেশিন কী ?

৪. ফাইলিং কী?

৫. ফাইলকে চলতি ভাষায় কী বলে?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. ফাইলের প্রধান অংশগুলো কী কী?

২. স্লিপ দিয়ে কীভাবে শিট মেটাল কাটতে হবে ? 

৩. পাওয়ার-স মেশিন কীভাবে মেটাল কাটে?

৪. ফাইলিং বলতে কী বোঝায়?

৫. ম্যানুয়াল মেটাল কাটিং টুলসগুলোর নাম লেখ ।

রনামূলক প্রশ্নাবলি :

১. পাওয়ার হ্যাকস এর প্রধান অংশগুলো কী কী ? 

২. পাওয়ার হ্যাক'স এর প্রধান প্রধান কন্ট্রোলসমূহের নাম লেখ ।

৩. পাইপ কাটিং পদ্ধতি বর্ণনা কর ।

৪. হ্যান্ড হ্যাক সয়িং পদ্ধতির বর্ণনা দাও।

৫. পাঁচটি ম্যানুয়াল মেটাল কাটিং টুলস-এর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা লেখ । 

Content added By

শিরজিং মেশিনে মেটাল কাটিং (সপ্তম অধ্যায়)

171
171
Please, contribute by adding content to শিরজিং মেশিনে মেটাল কাটিং.
Content

ধাতব খঞ্চের বিভিন্ন ধরনের সেকশন শনাক্তকরণ (Identification of Different Types of Metal) (৭.১)

161
161

ধাতব খণ্ডের বিভিন্ন ধরনের লেকশন নিয়ে সমাপ্ত করা হলো। যথা-

Content added By

রাউন্ড বার পিয়ারিং প্রক্রিয়া (Round Bar Shearing Process) (৭.২)

184
184

রাউন্ড বার শিয়ারিং প্রক্রিয়া হাইড্রোলিক বা হ্যান্ড শিয়ায় মেশিনের মাধ্যমে করা হয়। এখানে হ্যান্ড শিয়ার মেশিনের বর্ণনা দেওয়া হলো।  

চিত্র: ৭.৮ হ্যান্ড শিল্পারের সাহায্যে মেটাল শিয়ারিং 

(ক) হ্যান্ড পিয়ার একটি হস্তচালিত মেশিন। এতে দুটি ব্লেড থাকে। একটি ব্লেড স্থির থাকে এবং অন্য ব্লেডটি চলমান। রাউন্ড বারকে শিয়ার মেশিনের মধ্যে রেখে হাতলটিকে চেপে নিচের দিকে নামালে চলমান ব্লেডটি নেমে এসে রাউন্ড বারকে কেটে ফেলে। এটি পুরাতন পদ্ধতি। তবে, রাউন্ড বার কাটার (Shearing) জন্য বর্তমানে সহজ ও উন্নতমানের মেশিন ব্যবহৃত হচ্ছে, যার নাম রড কাটিং মেশিন (Rod Cutting Machine) 

(খ) আর এক প্রকার হ্যান্ড শিয়ার মেশিন ও আছে এ মেশিনকে কাট অফ মেশিন (Cut off Machine) বলে। এটি বিদ্যুতে চলে। এটি পাতলা Cutting Disk এর ঘর্ষণ প্রক্রিয়ায় রাউন্ড বারকে কেটে ফেলে।

চিত্র : ৭.৯ 

Content added By

ফ্লাট বার শিয়ারিং কৌশল (Flat Bar Shearing Technique) (৭.৩)

157
157

ফ্লাট বার শিয়ারিং প্রক্রিয়া হাইড্রোলিক বা হ্যান্ড শিয়ার মেশিনের মাধ্যমে করা হয়। হ্যান্ড শিয়ার লিভার ব্যবস্থায় একটি হস্তচালিত মেশিন। এই হ্যান্ড শিয়ার মেশিনে ২টি ব্লেড থাকে যার নিচের ব্লেডটি স্থির এবং উপরের ব্লেডটি চলনশীল। ফ্লাট বার পুরুত্ব অনুযায়ী ব্লেড দুটিকে বারকে ফাঁকা করে নিতে হয়। এর পর হাতলটিকে নিচের দিকে নামালে, চলনশীল ব্লেডটি এর সাহায্যে বেশি পুরুত্বের ফ্লাট বারকে সোজা বা সরল রেখা সূত্রে, কম পরিশ্রমে এবং স্বল্প সময়ে দ্বিখণ্ডিত করা যায় ।

Content added By

অ্যালেন যার শিরারিং কৌশল ব্যাখ্যাকরণ (Angle Bar Shearing Technique) (৭.৪)

187
187

অ্যাঙ্গেল বার শিয়ারিং কৌশল বিভিন্ন ধরনের শিয়ার মেশিনের মাধ্যমে হতে পারে। এখানে হাইড্রোইলেকট্রিক শিয়ায় মেশিনের মাধ্যমে অ্যালেন বার পিয়ারিং কৌশল আলোচনা করা হলো ।

চিত্র : ৬-১০ অ্যাঙ্গেল বার শিয়ারিং মেশিনের সাহায্যে ধাতব  শিয়ারিং কৌশল 

এই শিয়ার মেশিনেও দুটি কাটিং ব্লেড থাকে, যা একটি স্থির থাকে এবং অপরটি চলমান। এটি বিদ্যুতে চলে। এছাড়া এই মেশিনের চলমান রেডটি হাইড্রোলিক র‍্যামের মাধ্যমে উঠানামা করে। যখন হাতে বা পায়ের লিভারকে চাপ দেওয়া হয় তখন চলমান ব্লেডটি নেমে অ্যাঙ্গেল বার ফেটে ফেলে । 

Content added By

শিট মেটাল শিয়ারিং কৌশল (Sheet Metal Shearing Technique) (৭.৫)

164
164

স্কয়ার শিয়ার মেশিনের মাধ্যমে শিট মেটাল শিয়ারিং কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো- 

ফুট ট্রেডল, দুটি কাটিং ব্রেড, ফ্রন্ট পেজ, ব্যাক গেজ এবং দুটি সাইড গেজ নিয়ে গঠিত। ব্লেডের সম্মুখে পরিমাপের জন্য একটি স্কেল আছে, যার প্রতি ইঞ্চি ১৬ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। উষ্ণ তেল দিয়ে শিট কাটার পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। ব্লেডের প্রত্যেক পার্শ্ব দিয়ে পিটের প্রাপ্ত স্থাপন করে মেশিনের কাটিং এজ- এর সমান্তরাল কাটা যায়।

আয়তাকার ফ্রন্ট পেজ যার বিড বরাবর উঠানামা করতে পারে। উক্ত বার প্রয়োজনে ব্রেডের যে কোনো দূরত্ব সেট করা যাবে । অধিক লম্বা শিট কাটাতে মেশিনের সম্মুখভাগে এক্সটেনশন আর্মে খাঁজ কাটা থাকায় এ গেজকে যে কোনো দূরত্বে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফ্রন্ট গেজের মাধ্যমে একই সাইজের এবং মাপের পিট কাটা যায়। 

Content added By

প্রশ্নমালা-৭

185
185

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. শিট মেটাল শিয়ারিং কৌশল কী?

২. ফ্লাট বার শিয়ারিং কৌশল কী?

৩. অ্যাংগুলার শিয়ারিং কৌশল কী?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. শিট মেটাল শিয়ারিং কৌশল বলতে কী বোঝায়?

২. রাউন্ড বার ও শিট মেটাল শিয়ারিং-এর মধ্যে পার্থক্য লেখ।

৩. রাউন্ড বার শিয়ারিং কোন প্রক্রিয়ায় করা হয় লেখ।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি

১. শিট মেটাল শিয়ারিং পদ্ধতির বর্ণনা দাও।

২. অ্যাংগুলার শিয়ারিং পদ্ধতি আলোচনা কর।

৩. দশ প্রকার ধাতব খণ্ডের সেকশন চিত্রের সাহায্যে দেখাও। 

Content added By

ড্রিলিং প্রক্রিয়া (অষ্টম অধ্যায়)

435
435
Please, contribute by adding content to ড্রিলিং প্রক্রিয়া.
Content

ড্রিলিং এর সংজ্ঞা (Definition of Drilling) (৮.১)

259
259

সে কোনো ভার্কশপে গ্রিল মেশিন (Drill Machine) অতিপ্রয়োজনীয় একটি যন্ত্র। এর সাহায্যে পদার্থের উপর গোল ছিন্ন বা গর্ত তৈরি করা যায়। ছিল-এর সাহায্যে কোনো পদার্থের উপর বিত্র তৈরি করার কাজকে জিলিং বলা হয় ।

চিত্রঃ ড্রিলিং 

Content added By

ড্রিলিং-এর প্রয়োগ (Application of Drilling) (৮.২)

163
163

অধিকাংশ নির্মাণ কার্বে ড্রিলিং একটি অতিপ্রয়োজনীয় কাজ। ধাতুর উপর গর্ত তৈরি করতে ড্রিলিং করা প্রয়োজন। একটি অংশের ভিতরে আর একটি অংশ প্রবেশ করিরে সেখানে দৃঢ়ভাবে ওয়েল্ডিং করার জন্য অনেক সময় ড্রিল করার প্রয়োজন হয়। ওয়েল্ডিং শপের প্রতিটি কর্মীকে এই কাজ আনতে হয়। কারণ যে কোনো যন্ত্র নির্মাণ করতে হলে ড্রিলিং অতি প্রয়োজনীয়। একজন ওয়েল্ডার -এর কথা ধরা যাক। ইস্পাতের সামগ্রী নিয়ে ঘরের দরজা-জানালা তৈরি করছে সেখানেও অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে ড্রিল কারাতে হয়। হালকা কাজ ছাড়াও জাহাজ নির্মাণের মতো ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠানেও ড্রিলিং -এর ব্যাপক প্রয়োগ রয়েছে। 

Content added By

ড্রিল মেশিনের শ্রেণিবিন্যাস (Classification of Drill Machine) (৮.৩)

770
770

ড্রিলিং কাজ যে মেশিনে করা হয় তাকে ড্রিল মেশিন বলে। ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে বিভিন্ন ধরনের ছিল মেশিন আছে। ওয়ার্কশপের সকল বেশির ড্রিল মেশিনকে সাধারণত দুই শ্রেণিতে ভাগ করা যায় : 

(১) হ্যান্ড ড্রিল মেশিন (Hand Drill Machine)

(২) শক্তিচালিত ড্রিল মেশিন (Power Drill Machine) 

হ্যান্ড ড্রিল মেশিন (Hand Drill Machine) :
এই শ্রেণির ড্রিল মেশিনগুলো হাতের শক্তিতেই চলে এবং খুব সহজে এক স্থান হতে অন্য স্থানে বহন করা যায়। পাতলা শিট মেটাল-এর কাজ বা নরম পদার্থে যেমন কাঠের উপর কাজ করার জন্য হ্যান্ড ড্রিলগুলো অধিক উপযুক্ত ।

(ক) ছোট হ্যান্ড ড্রিল মেশিনঃ এই শ্রেণির ড্রিল মেশিন অত্যন্ত হালকা কাজে ব্যবহৃত হয়, কাঠমিস্ত্রিরা এই ধরনের ড্রিল মেশিন বেশি ব্যবহার করে।

(খ) ব্রেস্ট ড্রিল মেশিন (Breast Drill Machine) : এটা ছোট হ্যান্ড ড্রিলের অনুরূপ শুধু পার্থক্য এখানে বুকের চাপ দেওয়ার জন্য হাতল ছাড়াও একটি ইস্পাতের পাতলা হাত লাগানো থাকে যা ড্রিল করার সময় কর্মী বুকের উপর চেপে ধরে ফলে জবের উপর বেশি চাপ প্রয়োগ করা যায়। ছোট হ্যান্ড ড্রিলের চেয়ে কিছুটা ভারী কাজে এই ধরনের ড্রিল ব্যবহৃত হয়।

(গ) ইলেকট্রিক হ্যান্ড ড্রিল (Electric Hand Drill Machine) : এই শ্রেণির ড্রিলও কর্মী হাতে ধরে থাকেন, শুধু পার্থক্য এখানে ড্রিল বিটটি কর্মীর পেশির শক্তিতে না ঘুরে ছোট ইলেকট্রিক মোটরের সাহায্যে ঘোরে। মোটরটি গিয়ার বা দাঁত চাকার সাহায্যে ড্রিল চাকার সাথে যুক্ত থাকে । ছোট একটি ট্রিগার এর সাহায্যে মোটরটি চালু এবং বন্ধ করা যায়। কর্মী যতক্ষণ ট্রিগারটির উপর আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে থাকেন ততক্ষণ পর্যন্ত ড্রিলটি ঘুরতে থাকে। আঙুলের চাপ দেওয়া বন্ধ করলে ড্রিলটির ঘূর্ণয়ন বন্ধ হয়। ইলেকট্রিক মিস্ত্রিরা হাউস ওয়্যারিং-এর কাজে এই শ্রেণির ড্রিল বেশি ব্যবহার করে ।

(ঘ) নিউম্যাটিক হ্যান্ড ড্রিলঃ বাতাস এবং বাষ্প দিয়ে চালিত মেশিনগুলো নিউম্যাটিক মেশিন, নাম হতে বোঝা যায় এই ধরনের হ্যান্ড ড্রিল বাতাসের বা বাষ্পের সাহয্যে চলে। এই ধরনের কাজে কম্প্রেসার নামক একটি যন্ত্রের সাহায্যে একটি পাত্রে অধিক চাপে বায়ু সংগ্রহ করা হয়। পরে বায়ুকে নলের সাহায্যে এরূপ হ্যান্ড ড্রিল মেশিনে নেওয়া হয় । উক্ত সংকুচিত বাতাস একটি মোটরকে ঘুরায় এবং সেই মোটরটি ড্রিলকে ঘুরায়। কারখানায় ব্রিভেটিং কাজে এর ব্যাপক ব্যবহার । যে স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই সেখানে কম্প্রেসরকে নিয়ে গিয়ে এই ধরনের হ্যান্ড ড্রিল দিয়ে কাজ করা যায়।

শক্তিচালিত মেশিনগুলোকে প্রধানত নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা যায়

(ক) ভার্টিক্যাল স্পিন্ডল (Vertical Spindle)

 (খ) মালটি স্পিন্ডল (Multi Spindle)

(গ) রেডিয়াল (Radial)

চিত্রঃ শক্তিশালী ড্রিল মেশিন 

(ক) ভার্টিক্যাল স্পিন্ডল ড্রিল মেশিনসমূহকে মোটামুটি তিন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। 

(১) প্লেইন ভার্টিক্যাল স্পিন্ডল ড্রিলিং মেশিন (Plain Vertical Drill Machine) এই ধরনের মেশিন একটি বেসে বা ভিত্তির উপর খাড়া কলামকে ধারণ করে যার সাথে কার্যবস্তু বা জবকে (Job) ধারণ করার জন্য একটি টেবিল থাকে। এই টেবিলকে মেশিন কলামের চারদিকে ৯০° বরাবর ঘুরতে পারে এবং উপর ও নিচে উঠানামা করতে পারে। এই শ্রেণির ড্রিলিং মেশিন ওয়ার্কশপে সাধারণ কাজে, কাউন্টার সিংকিং, ট্যাপিং ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয়।

(২) সেনসেটিভ ড্রিল মেশিন (Sensetive Drill Machine ): এই ধরনের ড্রিল মেশিন একটি বেসের উপরে একটি কলাম আটকানো থাকে এবং উক্ত কলামই কার্যবস্তু ধারণ করার টেবিল বহন করে। টেবিলকে কলামের চারদিকে ঘুরানো যায় এবং নিচে নামানো যায় । এই শ্রেণির মেশিন খুব হালকা কাজের জন্য ব্যবহৃত হয়।

(৩) হেভি ডিউটি ড্রিল মেশিন (Heavy Duty Drill Machine) : অনেক বড় ধরনের ছিদ্র করার জন্য এই ধরনের মেশিন অধিক উপযুক্ত। 

চিত্রঃ হেভি ডিউটি ড্রিল মেশিন

(খ) মাল্টি স্পিন্ডল বা গ্যাং ড্রিল মেশিন (Multi Spindle or Gang Drill Machine) মাল্টি অর্থ বহু এবং প্যাং অর্থ দল সুতরাং নাম হতে বোঝা যায় যে, এই ধরনের মেশিনে একাধিক স্পিন্ডল থাকে এবং পৃথক পৃথক মোটর দিয়ে ঐ স্পিন্ডলগুলো চালিত হয়। এই ধরনের মেশিন তখন বেশি উপযুক্ত যখন কোনো কাজের উপর পর্যায়ক্রমে কয়েকটি অপারেশন করা দরকার।

চিত্রঃ সেনসিটিভ ড্রিলিং মেশিন

চিত্রঃ মাল্টি স্পিড ড্রিল মেশিন 

(গ) রেডিয়াল ড্রিল মেশিন (Radial Drill Machine) : এই শ্রেণির ড্রিল মেশিনের সুবিধা হলো, বড় কোনো জবের যে কোনো স্থানে ড্রিল মেশিনের হেডকে স্থাপন করা যায় এবং সে স্থানেই ছিল সম্পন্ন করা যায়। 

চিত্র : রেডিয়াল ড্রিলিং মেশিন

Content added By

ড্রিলিং স্পিড ও বিড নির্ধারণ (৮.৪)

170
170

ড্রিল মেশিনে কাজ করতে হলে এবং ভালো কাজ পেতে হলে গ্রিলের কাটিং স্পিড এবং ফিড সম্পর্কে জানা অতি প্রয়োজন। প্রথমেই আলোচনা করা যাক কাটিং স্পিড সম্পর্কে (Cutting speed) কাটিং স্পিড বুঝতে হলে আরপিএম (RPM) এবং পরিধির সরল গতি বা পেরিফেরাল স্পিষ্ট বুঝতে হবে । ধরা যাক একটি রিকশার চাকা মিনিটে ২০ (কুড়ি) বার ঘুরছে তাহলে রিকশার চাকার আরপিএম হুল ২০ আরপিএম এর পূর্ণ অর্থ হলো রেভিউলেশন পার মিনিট (Ruvolution per minute)। এখন এক মিনিটে ২০ বার ঘুরে ঐ ঢাকা যত দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ঢাকার পেরিফেরাল স্পিন্ড বলে। ড্রিল বিট একটি গোলাকার দত্ত যা প্রতি একক সময়ে অর্থাৎ ১ মিনিটে বা ১ সেকেন্ডে এর পরিধি বরাবর যতখানি কাটে ততখানি এর কাটিং স্পিড অর্থাৎ যদি চিপসগুলো না ভারত বা না বাঁকা হতো, সোজা অবস্থায় থাকত করে তাহলে একক সময়ে টিপসের দৈর্ঘ্যই হলো ছিলের কাটিং স্পিড । 

ফিড : ড্রিল বিটটি ঘুরতে ঘুরতে অগ্রসর হয়। প্রতি এক ঘূর্ণয়নে ড্রিল বিটটি যতটুকু অগ্রসর হয় তাকে ফিড বলা হয়। কাটিং স্পিড সম্পর্কে প্রাথমিক আলোচনায় বোঝা গেল যে বড় ড্রিল বিট বা বেশি ডায়ামেটারের ড্রিল বিটকে ধীরে ধীরে ঘুরাতে হবে এবং ছোট ড্রিল বিটকে দ্রুত ঘুরাতে হবে। আবার শক্ত ধাতুর ক্ষেত্রে ফিড কম দিতে হবে তা না হলে ড্রিলের মাথা ভোতা হয়ে যাবে। আবার ড্রিল বিটটি কোন পদার্থের তৈরি তার উপর ভিত্তি করেও ফিড দিতে হবে। বেশি শক্ত পদার্থের তৈরি ড্রিল বিটের ক্ষেত্রে বেশি ফিড দেওয়া যাবে।

কাটিং স্পিড ও ফিড নির্ধারণ
বিভিন্ন পদার্থের জন্য কাটিং স্পিড এবং ফিডের তালিকা নিম্নে দেওয়া হলো। এই তালিকা হতে বিভিন্ন পদার্থের জন্য কাটিং স্পিড এবং ফিড নির্ধারণ করা যাবে। 

 

Content added By

ড্রিলিং এর সতর্কতা (৮.৫)

180
180

ড্রিল বিট একটি ধারালো কাটার যন্ত্র। সুতরাং এটা যখন ঘুরতে থাকে তখন বিপদের আশঙ্কা বেশি থাকে। তবে সতর্কতার সাথে কাজ করলে ভয়ের কোনো কারণ নাই। দুর্ঘটনা এড়িয়ে কাজ করতে হলে নিচের সতর্কতাগুলো মেনে চলা উচিত :

১) যে বস্তু বা জবের উপর ড্রিল করতে হবে, সেটি শক্তভাবে টেবিল ভাইসে আটকানো উচিত অন্যথায় মারাত্মক দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

২) গলার মাফলার বা গায়ের চাদরের মতো ঢিলা কাপড় পরে ড্রিলিং-এর কাজ করা উচিত নয়, কারণ ঐরূপ ঢিলা কাপড় ঘূর্ণায়মান ড্রিলের সাথে পেঁচিয়ে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে।

চিত্রঃ এই পোশাকগুলো নিরাপদ নয়

৩) মাথার চুল লম্বা হলে হ্যাট পরা উচিত অন্যথায় লম্বা চুল ড্রিলে পেঁচিয়ে দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে । 

৪) ঘূর্ণায়মান ছিল বিটের কাছে হাতের আঙুল নিয়ে যাওয়া উচিত নয় ।

৫) ড্রিল চাকে যাতে ড্রিল বিটটি শক্ত এবং সুন্দরভাবে আটকানো থাকে সেই দিকে খেয়াল রাখা উচিত।

৬) ড্রিল মেশিনের টেবিল হতে কোনো ভারী বস্তু পায়ের উপর পড়ে যেন আঘাত বা প্রথম না করে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং শক্ত চামড়ার জুতা পরতে হবে ।


চিত্র : ভুল পদ্ধতি

৭) ড্রিলিং-এর সময় যে চিপস (Chips) তৈরি হয় সেগুলো ধারালো এবং অত্যন্ত গরম থাকে। সুতরাং ঐগুলো হাতে স্পর্শ না করে ব্রাশের সাহায্য সরাতে হবে।

৮) যে সমস্ত ধাতব পদার্থ ভঙ্গুর গুণসম্পন্ন তাদের ড্রিল করার সময় চিপগুলো ছোট ছোট টুকরায় পরিণত হরে ছিটকে পড়ে। এক্ষেত্রে চোখ ও পোশাক রক্ষার জন্য সেফটি গগলস ও অ্যাপ্রোন পরতে হবে।

Content added By

প্রশ্নমালা-৮

155
155

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১) ড্রিলিং বলতে কী বোঝায় ?

২) ড্রিলিং স্পিড কী?

৩) ড্রিলিং ফিড কাকে বলে ?

৪) শক্ত ধাতুর ক্ষেত্রে কীরূপ ফিড দিতে হয়?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি 

১) কাটিং স্পিড নির্ণয়ের সমীকরণটি লেখ।

২) ড্রিল-এর প্রয়োগ ক্ষেত্র উল্লেখ কর।

৩) ড্রিল মেশিনের শ্রেণিবিন্যাস কর।

৪) রেডিয়াল ড্রিল মেশিনের সুবিধা লেখ।

৫) ড্রিল মেশিনে কাজ করতে হলে কী কী বিষয় জানা প্রয়োজন?

রচনামূলক প্রশ্নাবলি 

১) মাল্টি স্পিন্ডল ও রেডিয়াল ড্রিল মেশিনের ব্যবহারের বর্ণনা কর।

২) ইলেকট্রিক হ্যান্ড ড্রিল-এর ব্যবহার বিবৃত কর।

৩) ড্রিলিং-এর সতর্কতা বর্ণনা কর ।

৪) একটা ড্রিল মেশিন অঙ্কন করে প্রধান অংশগুলো চিহ্নিত কর।

৫) গ্রে কাস্ট আয়রন-এর তৈরি জবের উপর ২৫ মিলিমিটার ব্যাসের ছিদ্র করতে হবে, যদি কাটিং স্পিড ২০ মিটার/মিনিট হয়, তবে ড্রিলের প্রতি মিনিটের ঘূর্ণায়ন (RPM) কত হবে? 

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (নবম অধ্যায়)

205
205
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদ প্রতিরোধ ব্যবস্থা.
Content

গ্যাস ওয়েন্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদসমূহ (Possible Danger in Gas Welding) (৯.১)

153
153

গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর সময় অগ্নিশিখা, চাপযুক্ত গ্যাস এবং উত্তপ্ত ধাতুখণ্ড নিয়ে একজন কর্মী কাজ করেন । সুতরাং গ্যাস ওয়েল্ডিং হতে নিম্নলিখিত বিপদসমূহের আশঙ্কা থাকে:

১. অগ্নিশিখার তীব্র আলোক রশ্মি। 

২. জলন্ত অগ্নিশিখা। 

৩. সিলিন্ডার হতে গ্যাস লিক হওয়ার কারণে যে কোনো সময় আগুন লেগে যেতে পারে । 

৪. তেল বা গ্রিজ জাতীয় কোনো পদার্থ রোপাইপ, রেগুলেটর বা হোজ পাইপে লেগে থাকা অবস্থায় ওয়েল্ডিং করা।

৫. গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ।

৬. ওয়েল্ডিং কালীন অতিরিক্ত ধোঁয়া বা কালির নিঃসরন।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদের কারণসমূহ (Causes of Possible Danger in Gas Welding) (৯.২)

140
140

১. অগ্নিশিখার তীব্র আলোক রশ্মি ওয়েল্ডারের চোখে ক্ষতিসাধন করে, এবং প্রচণ্ড উত্তাপ তার দেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে বিবেচিত হয়।

২. অসতর্ক মুহূর্তে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা ওয়েল্ডারের দেহের কোনো অংশে লেগে পুড়ে যেতে পারে। (Flame ) কাজের বিরতির সময় অগ্নিশিখা নিভিয়ে না রাখলে তা দাহ্য কোনো বস্তুর স্পর্শে এসে অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে পারে ।

৩. তেল বা গ্রিজ জাতীয় পদার্থ রোপাইপ, রেগুলেটর বা হোজ পাইপে লেগে থাকলে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে ।

৪. অগ্নিশিখার অতি নিকটে গ্যাস সিলিন্ডার রাখলে সিলিন্ডারগুলোকে মাঝে মাঝে গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের নিকট হতে চেক না করালে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মতো ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। 

৫. ওয়েল্ডিং-এর সময় সৃষ্ট ধোঁয়া এবং কালি বের হয়ে যাওয়ার রাস্তা না থাকলে ওয়েল্ডারের দেহে তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে । 

Content added By

গ্যাস ওয়েন্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা (Preventive Measures of Possible Danger in Gas Welding) (৯.৩)

149
149

১. অগ্নিশিখার তীব্র আলোক রশ্মি হতে ওয়েল্ডারের চোখ রক্ষার জন্য ওয়েল্ডিং পপুলস পরতে হবে।

চিত্রঃ গগলস 

২. প্রচণ্ড উত্তাপ হতে হাত বা দেহকে রক্ষার জন্য চামড়ার অ্যাপ্রোন পায়ে নিতে হবে এবং হাতে হ্যান্ড গ্লোভস পরতে হবে ।

৩. কাজের বিরতির সময় অগ্নিশিখাকে নিভিয়ে রাখতে হবে। তেল বা গ্রিজ জাতীয় কোনো পদার্থ রোপাইল রেগুলেটর বা হুজ পাইপে লাগলে তা অত্যন্ত যত্নের সাথে পরিষ্কার করতে হবে।

৪. সিলিন্ডারগুলোর সেফটি ভাব ঠিক আছে কিনা তা গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চেক করে নিতে হবে।

৫. সিলিন্ডারগুলোকে টর্চের কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।

৬. সিলিন্ডারের গ্যাস লিক করছে বলে মনে হলে সাবান পানির ফেনা দিয়ে তা পরীক্ষা করতে হবে। আগুন জ্বালিয়ে গ্যাস লিক পরীক্ষা করা সমূহ বিপদের কারণ ।

চিত্রঃ সাবান পানি দিয়ে গ্যাস লিক পরীক্ষা 

৭. টর্চ জ্বালানোর জন্য সব সময় গ্রিকসন লাইটার ব্যবহার করতে হবে, দিয়াশলাই-এর কাঠি ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এতে হাতে আগুন লাগার আশঙ্কা থাকে।

চিত্রঃ ফিকশন লাইট

৮. গরম জব কখনও হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করার চেষ্টা করা উচিত নয়, সব সময় এ কাজে টংস ব্যবহার করতে হবে।

Content added By

গ্যাল ওয়েন্ডিং যন্ত্রপাতির সতর্কতামূলক ব্যবস্থাসমূহ ( Preventive Measures of Gas Welding Machine) (৯.৪)

192
192

১. গ্যাস সিলিন্ডারকে অগ্নিশিখা হতে দূরে রাখতে হবে।

২. কাজ শেষে যন্ত্রপাতি সঠিক স্থানে ও অবস্থানে রাখতে হবে। 

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিং যন্ত্রপাতিতে ভেল, মবিল, গ্রিজ ইত্যাদি লেগে থাকলে তা ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।

৪. হোজ পাইপের সংযোগস্থলে দিয়ে যাতে গ্যাস বের হতে না পারে এরূপভাবে সংযোগ নিতে হবে ।

৫. অতি উচ্চচাপে গ্যাস সিলিন্ডারে গ্যাস ভর্তি না করা।

৬. গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটারগুলো ঠিকমতো কাজ না করলে তা পাল্টিয়ে নতুন রেগুলেটর লাগাতে হবে।

৭. গ্যাস সিলিন্ডারের শোয়ানো অবস্থায় না রাখা।

৮. নিরাপত্তামূলক পোষাক ও সরঞ্জামাদির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৯. চিত্রে দেখানো অবস্থায় ট্রলিতে চেইন দিয়ে আটকিয়ে রাখতে হবে ।

চিত্রঃ ট্রলিতে গ্যাস সিলিন্ডার 

Content added By

প্রশ্নমালা-৯

216
216

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. অগ্নিশিখার তীব্র আলোক রশ্মি ওয়েল্ডারের কী ক্ষতি করতে পারে? 

২. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ম্যাচ বা দিয়াশলাই ব্যবহার করা উচিত নয় কেন?

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে বিপদ প্রতিরোধ ব্যবস্থা বলতে কী বোঝায়?

৪. গ্যাস সিলিন্ডারকে অগ্নিশিখা হতে কোথায় রাখতে হবে?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. টংস এর ব্যবহার উল্লেখ কর।

২. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদের পাঁচটি কারণ লেখ।

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদের ৫টি প্রতিরোধ ব্যবস্থা কী?

৪. সিলিন্ডারের গ্যাস লিক কীভাবে পরীক্ষা করতে হয়?

রচনামূলক প্রশ্নাবলি :

১. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদের প্রতিরোধ ব্যবস্থাদি উল্লেখ কর

২. গ্যাস ওয়েল্ডিং যন্ত্রপাতির সতর্কতামূলক ব্যবস্থাসমূহ বর্ণনা কর ।

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সম্ভাব্য বিপদসমূহ আলোচনা কর ।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জমাদির প্রয়োগ (দশম অধ্যায়)

189
189
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জমাদির প্রয়োগ.
Content

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ব্যবহার্য ব্যক্তিগত সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জামাদির নাম (Name of Safety Dress and Protective Deviecs for Gas Welding) (১০.১)

154
154

১. কটন জাতীয় মোটা কাপড়ের পোশাক (Cotton Dress)

২. ওয়েল্ডিং গগলস (Welding Goggles)

৩. হ্যান্ড গ্লাভস (Hand Gloves) 

৪. লেদার অ্যাপ্রোন ( Leather Apron ) 

৫. সেফটি সুজ (Safety Shoes)

৬. স্কাল ক্যাপ (Skull Cap)

Content added || updated By

গ্যাস ওয়েল্ডিং কালে ব্যবহার্য ব্যক্তিগত সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জামাদির ব্যবহার (Uses of Safety Dress and Protective Devices for Gas Welding) (১০.২)

168
168

১. পোশাক ওয়েল্ডিং করার সময় ওয়েল্ডারের কটন জাতীয় মোটা কাপড়ের পোশাক পরিধান করতে হবে । কারণ কটন জাতীয় কাপড়ে সহজে আগুন ধরে না । 

২. সেফটি গগলস : অগ্নিশিখার তীব্র আলোকরশ্মি হতে চোখকে রক্ষা করার জন্য গগলস ব্যবহার করতে হবে।

৩. হ্যান্ড গ্লাভস : অগ্নিশিখার তীব্র উত্তাপ থেকে হাতকে রক্ষা করার জন্য হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করা হয় ।

৪. অ্যাপ্রোন প্রচণ্ড উত্তাপের হাত থেকে দেহকে রক্ষা করার জন্য অ্যাপ্রোন ব্যবহার করা হয়।

৫. সেফটি সুজ পা রক্ষা করার জন্য সেফটি সুজ ব্যবহার করা হয় ।

৬. স্কাল ক্যাপ : ওভারহেড ওয়েল্ডিং করার সময় মাথার চুলকে রক্ষা করার জন্য এটি ব্যবহৃত হয়।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ব্যবহার্য ব্যক্তিগত সতর্কমূলক পোশাক ও সরঞ্জামাদির যত্ন ও রক্ষণাবেক্ষণ (Care and Maintenance of Safety Dress and Protective Devices for Gas Welding) (১০.৩)

162
162

১. ওয়েল্ডিং করার পর শরীর খুব ঘামে, সেজন্য পোশাককে প্রতিদিন পরিষ্কার করে নিতে হয় ।

২. গগলসকে নিক্ষেপ করা যাবে না ।

৩. কাজ শেষে গগলসকে নির্দিষ্ট স্থানে রাখতে হবে ।

৪. লেদার গ্লাভসে যাতে তেল বা গ্রিজ না লাগে সেটা খেয়াল করতে হবে ।

 ৫. গ্লাভস পানিতে ভিজানো যাবে না, তাহলে গ্লাভস সহজেই নষ্ট হয়ে যাবে ।

৬. কাজ শেষে অ্যাপ্রোন খুলে কর্মস্থলে নির্দিষ্ট স্থানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে। অ্যাপ্রোন অপরিষ্কার বা নোংরা হলে ডিটারজেন্ট বা সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে ।

Content added By

প্রশ্নমালা-১০

129
129

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. ওয়েল্ডিং করার সময় ওয়েল্ডারের কী জাতীয় পোশাক পরিধান করতে হয়?

২. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সতর্কতামূলক ৩টি পোশাক ও সরঞ্জামাদির নাম লেখ । 

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ব্যক্তিগত সতর্কতামূলক একটি সরঞ্জামাদির ব্যবহার লেখ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি 

১. হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার দেখাও।

২. সেফটি গগলস কীভাবে গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর সময় সতর্কতামূলক কাজ করে ?

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ব্যবহার্য দুটি ব্যক্তিগত পোশাকের ব্যবহার দেখাও ।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি 

১. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ব্যবহার্য ব্যক্তিগত সতর্কতামূলক পোশাক ও সরঞ্জামাদির নাম লেখ। 

২. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে ব্যবহার্য সতর্কতামূলক সরঞ্জামাদির রক্ষণাবেক্ষণ বর্ণনা দাও।

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিংকালে সতর্কতামূলক পোশাক ও সঞ্জামাদির ব্যবহার লেখ।

Content added By

গ্যাস সিলিন্ডার ও সরঞ্জমাদি (একাদশ অধ্যায়)

441
441
Please, contribute by adding content to গ্যাস সিলিন্ডার ও সরঞ্জমাদি.
Content

গ্যাস সিলিন্ডারের প্রকারভেদ (Type of Gas Cylinder) (১১.১)

205
205

গ্যাস ও ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

১. অক্সিজেন সিলিন্ডার (Oxygen Cylinder) ও 

২. অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার (Acetylene Cylinder)

Content added By

বিভিন্ন প্রকার গ্যাস সিলিন্ডার শনাক্তকরণ (Identification of Different Gas Cylinder) (১১.২)

265
265

নিম্নে বিভিন্ন প্রকার গ্যাস সিলিন্ডার শনাক্ত করার উপায়গুলো বর্ণনা করা হলো :

চিত্র: ১১.১ অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার

অক্সিজেন সিলিন্ডার শনাক্ত করার উপায়সমূহ

১. অক্সিজেন সিলিন্ডার কালো হয়ে থাকে।

২. এটি অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারের চেয়ে চিকন ও লম্বা হয়। 

৩. এতে ডান হাতি প্যাচযুক্ত গ্যাস রেগুলেটর সিলিন্ডারের মাথায় আটকানো থাকে ।

৪. গ্যাস রেগুলেটরের গেজের রং সবুজ নীল রং-এর হয় এবং চাপ পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।

৫. গেজ পাইপের রং দাগাঙ্কিত থাকে।

 

অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার শনাক্ত করার উপায়সমূহ 

১. সিলিন্ডার-এর রঙ খয়েরি লাল বা মেরুন ।

২. এটি অক্সিজেন সিলিন্ডার-এর চেয়ে বেশি মোটা ও খাটো হয়ে থাকে।

৩. এতে বাম হাতি প্যাচযুক্ত রেগুলেটর থাকে।

Content added By

গ্যাস সিলিন্ডারের মাউন্টিং, নজেল, রেগুলেটর ও হোজ পাইপ সংযোগ পদ্ধতি (Connection Method of Mounting, Nozzel, Regulator and Hose Pipe of Gas Cylinder) (১১.৩)

389
389

চিত্র: ১১.২ অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন গ্যাস সিলিন্ডারের মাউন্টিং রেগুলেটর ও হোজ পাইপ সংযোগ

অক্সিজেন সিলিন্ডার ও অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারের মাথায় যে প্রেসার গেজ ও সরঞ্জাম থাকে তাকে মাউন্টিং বলে। অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন উভয় সিলিন্ডারে Valve থাকে। Valve বন্ধ করলে সিলিন্ডার থেকে গ্যাস নির্গমন বন্ধ হয়ে যায় ।

সিলিন্ডার প্রেসার গেজ দিয়ে সিলিন্ডারের গ্যাসের পরিমাপ করা হয় এবং আউটলেট প্রেসার গেজ দিয়ে কত চাপে গ্যাস বের হয় তা জানা যায়। রেগুলেটর দিয়ে ব্লো-পাইপে সরবরাহ গ্যাসের চাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায় । দুইটি রাবারের হোজ পাইপ দুটি গ্যাস সিলিন্ডার রেগুলেটরের সাথে সংযুক্ত করা হয়। অক্সিজেন সিলিন্ডারের হোজ পাইপ কাল রংঙের এবং অ্যাসিটিলিট সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সাথে সংযুক্ত হোজ পাইপ লাল রঙের হয় । হোজ পাইপ দুটির মুক্ত প্রান্তদ্বয়কে রো-পাইপের দুটি ছিদ্রের সাথে বায়ুরোধী করে সংযুক্ত করা হয়। সিলিন্ডার দুটি হতে প্যাস ছাড়লে ব্রো-পাইপের Mixing Chambr-এ মিশ্রিত হয়। Blow পাইপের নব (Knob) ঘুরিয়ে মিশ্রিত গ্যাসকে নজেলের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত করা হয়। নজেলের মুখে অগ্নিশিখা জ্বালালে মিশ্রিত গ্যাস জ্বলতে থাকে।

Content added By

গ্যাস সিলিন্ডার হ্যান্ডলিং পদ্ধতি (Handling Process of Gas Cylinder) (১১.৪)

169
169
  • গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার খুবই ভারী, তাই এটিকে ট্রলির সাহায্যে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা নেওয়া করা উচিত । সিলিন্ডার যাতে ট্রলি থেকে গড়িয়ে না পড়তে পারে সেজন্য চেইন বা তার (Chain or Wire) দ্বারা ট্রলির সাপোর্টের সাথে আটকিয়ে রাখতে হবে ।
  • গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার ভারী হওয়ায় দুইজনে নড়াচড়া করানো উচিত ।
  • গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার কখনও ওপর থেকে বা পড়িয়ে নেওয়া উচিত নয়।
  •  বেশি উঁচু কোনো স্থানে সিলিন্ডার স্থাপন করা উচিত নয় । 
  • গ্যাস সিলিন্ডার অগ্নিশিখা হতে দূরে রেখে ওয়েল্ডিং করতে হবে।
  • কাজ শেষে এবং স্থানান্তরের সময় সিলিন্ডার ভালভ ভালোভাবে বন্ধ রাখতে হবে ।

চিত্র : ১১.৩ গ্যাস সিলিন্ডার সেটকে ট্রলিতে স্থাপন 

Content added || updated By

গ্যাস সিলিন্ডারের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা (Maintenance Process of Gas Cylinder) (১১.৫)

208
208

১. সিলিন্ডারকে শোয়ানো অবস্থায় রাখা উচিত নয়।

২. সিলিন্ডার সর্বদা ধুলাবালিমুক্ত রাখতে হবে।

৩. সিলিন্ডারে কখনও তেল বা গ্রিজ জাতীয় পদার্থ লাগানো যাবে না। 

৪. সিলিন্ডারের স্পিন্ডল ভালভে লিক দেখা দিলে সঠিক মাপের স্প্যানার দিয়ে গ্ল্যান্ড নাট টাইট দিতে হবে।

৫. সিলিন্ডারের গ্যাস লিক করে কি না তা সাবান পানির ফেনা দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে ।

৬. আগুন বা জ্বলন্ত ওয়েল্ডিং টর্চের নিকট সিলিন্ডার উন্মুক্ত করা উচিত নয় । 

৭. স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো বস্তু দিয়ে সিলিন্ডারের পায়ে আঘাত করা উচিত নয় ।

৮. সিলিন্ডার স্থানান্তরের সময় সিলিন্ডারের ভালভ ভালোভাবে বন্ধ করতে হবে । 

৯. খালি সিলিন্ডারের ভালভ বন্ধ করে মাথায় সেফটি ক্যাপ লাগিয়ে রাখতে হবে ।

১০. খালি সিলিন্ডারের গায়ে খালি কথাটি লিখে আলাদা রাখতে হবে ।

১১. ইলেকট্রিক স্পার্ক হয় এমন স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা উচিত নয় । 

১২. সিলিন্ডার রাখার জায়গা শুকনা ও প্রচুর আলো-বাতাসযুক্ত হতে হবে।

Content added By

প্রশ্নমালা-১১

178
178

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. অক্সিজেন সিলিন্ডার কী রঙের হয়?

২. অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার কী রঙের হয়?

৩. সিলিন্ডারকে কোন অবস্থায় রাখা উচিত নয়?

৪. সিলিন্ডারের মাউটিং বলতে কী বোঝায়?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. গ্যাস ও ওয়েন্ডিং-এ ব্যবহৃত গ্যাস সিলিন্ডার কত প্রকার ও কী কী ?

২. গ্যাস সিলিন্ডার ট্রলির মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে আনা নেওয়া করা উচিত কেন?

৩. অক্সিজেন গ্যাস সিলিন্ডার চেনার উপায় লেখ।

৪. অ্যাসিটিলিন গ্যাস সিলিন্ডার চেনার উপায় লেখ ।

৫. সিলিন্ডারে রেগুলেটর ও হোজ পাইপ সংযোগ পদ্ধতি লেখ ।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি 

১. গ্যাস সিলিন্ডার হ্যান্ডলিং (Handling) পদ্ধতি বর্ণনা দাও।

২. গ্যাস সিলিন্ডার রক্ষণাবেক্ষণের বর্ণনা দাও।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত গ্যাস সমূহের বৈশিষ্ট্য (দ্বাদশ অধ্যায়)

431
431
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত গ্যাস সমূহের বৈশিষ্ট্য.
Content

গ্যাস ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত বিভিন্ন গ্যাসের রাসায়নিক প্রতীকসহ নাম (The Name including Chemical Symbol of Different Gases uses in Gas Welding) (১২.১)

284
284
রাসায়নিক নামপ্রতীকরাসায়নিক নামপ্রতীক
অ্যাসিটিলিনc2H2বুটেনC4H10
হাইড্রোজেনH2প্রোপেনC3H4
অক্সিজেনO2মিথেনCH4
আরগনA2কোল গ্যাস 
হিলিয়ামH4কার্বন ডাই-অক্সাইডCO2
প্রাকৃতিক গ্যাস   
Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত গ্যাসসমূহের ওয়েন্ডিং সংশ্লিষ্ট গুণাগুণ (The Characteristics of Different Gases uses in Gas Welding) (১২.২)

176
176

অক্সিজেন গ্যাসের গুণাগুণ : অক্সিজেন একটি বর্ণহীন, গন্ধহীন ও স্বাদহীন গ্যাস। এটি নিজে জ্বলে না, কিন্তু অন্যকে জ্বলতে সাহায্য করে। পানিতে এটি দ্রবণীয়। তাই পানির ভেতর মাছ ও অন্যান্য প্রাণী বেঁচে থাকতে পারে। ধাতুর সাথে বিক্রিয়া করে একটি অক্সাইড তৈরি করে। লোহার উপরে যে মরিচা পড়ে তা লোহা ও অক্সিজেনের বিক্রিয়ায় তৈরি হয়। গরম ধাতুতে এটি দ্রুত বিক্রিয়া করে অক্সাইড তৈরি করে। এই গ্যাস অধিক চাপে সিলিন্ডারের ভেতরে রাখা যায় ।

অ্যাসিটিলিন গ্যাসের গুণাগুণ : অ্যাসিটিলিন গ্যাস বর্ণহীন, গন্ধযুক্ত গ্যাস। এই গ্যাস নিজে জ্বলে, তবে অক্সিজেনের সংস্পর্শে এটি আরও ভালোভাবে জ্বলে। এটিকে অক্সিজেনের মতো অধিক চাপে রাখা যায় না ।

Content added By

সিলিন্ডারে গ্যাস সংরক্ষণ ব্যবস্থা (Preserving Method of Gases into the Cylinder) (১২.৩)

208
208
  • অক্সিজেন সিলিন্ডারের তাপমাত্রা 21.115° সে এবং ১৩৭.৮৫ হতে ১৭২.৩৫ বার (Bar) চাপে গ্যাস সংরক্ষণ থাকে । অপর দিকে অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারে ১৫.৫১ হতে ১৭.২৫ বার চাপে গ্যাস থাকে । 
  • অ্যাসিটিলিন উচ্চ দহনশীল পদার্থ। তাই এটিকে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা স্থানে রাখতে হবে।
  •  উন্মুক্ত অগ্নির সংস্পর্শ হতে দূরে রাখতে হবে।
  • অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারের ভালভ ১/২ প্যাচের বেশি খোলা উচিত নয়
  • অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারকে সবসময় Up Right অবস্থানে রাখতে হবে
  • এই সিলিন্ডারের নিকট বা রুমে দাহ্য পদার্থ রাখা উচিত নয় ।
  •  অ্যাসিটিলিন চেম্বারের ধারণ ক্ষমতা ১.৬৯ হতে ৮.৫ ঘনমিটার পর্যন্ত পক্ষান্তরে অক্সিজেনের ৩.৩৮ হতে ৭.০০ ঘনমিটার পর্যন্ত ।
  •  যখন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহৃত হবে না তখন একটি সিলিন্ডারের মাথায় একটি ধাতব টুপি (Cap) পরাতে হবে।
  • গ্যাস সিলিন্ডার যাতে পড়ে না যায় তার জন্য শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে।
  • গ্যাস সিলিন্ডারগুলো যাতে একটি অপরটিকে জোরে আঘাত করতে না পারে সেভাবে রাখা উচিত ।
  •  গ্যাস সিলেন্ডার ফ্লোরের সাথে জোরে আঘাত না পায় সেটা করা উচিত ।
  •  গ্যাস সিলিন্ডার গড়িয়ে নেওয়া ঠিক নয় এবং কোনো ভারী লোডের সাপোর্ট হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না । 
  • গ্যাস সিলিন্ডার শুকনো ও পর্যাপ্ত আলো-বাতাস এবং দাহ্য পদার্থমুক্ত গুদামে রাখতে হবে।
  • যে স্থানে গ্যাস সিলিন্ডার রাখা হবে সেখানে আগুন জ্বালানো বা ধূমপান করা উচিত নয় । 
  •  অ্যাসিটিলিন ও অক্সিজেন সিলিন্ডারকে দূরের আলাদা-আলাদা স্টোরে গুদামজাত করতে হবে। কখনই একই গুদামে রাখা উচিত নয় ।
  •  গাড়িতে পরিবহনের ক্ষেত্রে গ্যাস সিলিন্ডার ঝুলন্ত অবস্থায় বা পড়ে যেতে পারে এ অবস্থায় বহন করা উচিত নয় ।
  •  স্টোরে সংরক্ষণের সময় সিলিন্ডারের গায়ে গ্যাসের পূর্ণ নাম লিখে রাখতে হবে ।
  •  পানি, তেল, গ্রিজ ও অন্যান্য দাহ্য জাতীয় পদার্থ কখনোই সিলিন্ডারের ভালভের বা হোজ পাইপের ও
  • রেগুলেটরের সংস্পর্শে না আসে এভাবে রাখতে হবে।
  •  শূন্য গ্যাস সিলিন্ডারের ভালব অবশ্যই বন্ধ করে গুদামজাত করতে হবে ।
  • ত্রুটিযুক্ত চাবি দিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার খোলা ও বন্ধ করা উচিত নয় ।
Content added By

প্রশ্নমালা-১২

139
139

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি 

১. অ্যাসিটিলিন গ্যাসের রাসায়নিক প্রতীক কী?

২. সিলিন্ডারে গ্যাস সংরক্ষণ বলতে কী বোঝায় ?

৩. হিলিয়াম গ্যাসের রাসায়নিক প্রতীক কী?

৪. বুটেন গ্যাসের রাসায়নিক প্রতীক কী?

৫. গ্যাস ওয়েল্ডিংয়ে কী কী গ্যাস ব্যবহৃত হয়?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি 

১. অক্সিজেন গ্যাসের গুণাগুণ লেখ।

২. অ্যাসিটিলিন গ্যাসের গুণাগুণ লেখ।

৩. অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন গ্যাসের পার্থক্য লেখ।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি 

১. গ্যাস ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত গ্যাসগুলোর গুণাগুণ লেখ ।

২. সিলিন্ডারে গ্যাস সংরক্ষণ ব্যবস্থার বর্ণনা দাও।

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত গ্যাসসমূহের রাসায়নিক প্রতীকসহ গুণাগুণ বর্ণনা কর ।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেমের বৈশিষ্ট্য (ত্রয়োদশ অধ্যায়)

311
311
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেমের বৈশিষ্ট্য.
Content

গ্যাস ওয়েন্ডিং ফ্রেমের প্রকারভেদ (Types of Gas welding Flame) (১৩.১)

159
159

অক্সি-অ্যাসিটিলিন গ্যাস প্রয়োগ ফ্লেম ও প্রকার যথা- 

(১) কার্বোরাইজিং ফ্লেম (Carburizing Flame )

(২) অক্সিডাইজিং ফ্লেম (Oxidizing Flame ) 

(৩) নিউট্রাল ফ্রেম (Neutral Flame )

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেমের প্রকৃতি তাপমাত্রাসহ ব্যাখ্যাকরণ (Nature of Welding Including Temperature) (১৩.২)

130
130

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (অক্সিজেন বিশুদ্ধভেদে) ৩২০০° সেন্টিগ্রেড থেকে ৩৫০০° সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন জ্বালানিভেদে ফ্রেমের তাপমাত্রাও বিভিন্ন হয়ে তাকে। যেমন -

  •  অক্সি-অ্যাসিটিলিন ফ্লেমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩১০০° সেঃ গ্রেড থেকে ৩২০০° সেঃ গ্রেড । 
  • অক্সি-হাইড্রোজেন ফ্লেমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৩০০° সেঃ গ্রেড থেকে ২৪০০° সেঃগ্রেড ।
  •  অক্সি-বুটেন ফ্রেমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৯০০° সেঃ গ্রেড । 
  • অক্সি-প্রপেন ফ্লেমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৬০০° সেঃ গ্রেড। 
  • অক্সি-প্রকৃতিক গ্যাস ফ্লেমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২৭৮৮° সেঃ গ্রেড।
  • অক্সি-এলপিজি ফ্লেমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ২২৭০° সেঃ গ্রেড ।

Content added By

বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ওরেন্ডিং ফ্রেম শনাক্তকরণ (Identification of Gas welding Flame) (১৩.৩)

152
152

১. কাৰোরাইজিং ফ্লেম 

কার্বোরাইজিং ফ্রেম সৃষ্টির জন্য নির্দিষ্ট অ্যাসিটিলিন গ্যাস দহনের জন্য যতটুকু অক্সিজেন গ্যাসের প্রয়োজন, তার চেয়ে কম দেওয়া হয়। এই শিখা প্রজ্জ্বলিত হলে খুবই উজ্জ্বল সাদাটে এবং হলুদ বর্ণের হয় এবং অগ্নিশিখার আয়তন অনেকটা কমে যায়। এই শিখার তাপমাত্রা ৩০৬৫° সে. এর কাছাকাছি।

২. অক্সিডাইজিং ক্লেম 

এই শিখার অ্যাসিটিলিন গ্যাস সহনের প্রয়োজনের তুলনায় বেশি পরিমাণ অক্সিজেন গ্যাস থাকে। এই শিখা অন্য দুই শিখার চেয়ে লম্বায় একটু ছোট এবং অভ্যন্তরীণ শিখার অংশ একটু ছোট এবং কিঞ্চিৎ বেগুনি রঙের হয়ে থাকে ।

৩. নিউট্রাল ফ্রেম

 নির্দিষ্ট পরিমাণ অ্যাসিটিলিন গ্যাস দহনের জন্য যতটুকু অক্সিজেন গ্যাস প্রয়োজন, ঠিক ততটুকু অক্সিজেন গ্যাস প্রয়োগ করে যে শিখা উৎপন্ন হয়, তাকে নিউট্রাল ফ্রেম বলে। সাধারণত অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন গ্যাস সমপরিমাণ ব্যবহারে এই ফ্রেম উৎপন্ন হয়। এই শিখার রং সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে। যথা- 

(ক) অতি উজ্জ্বল নীলাভ শ্বেত ফ্রেম,

(খ) ক্ষীণ ফ্যাকাশে নীল বর্ণ ফ্রেম

(গ) স্বচ্ছ নীলাভ ফ্রেম ও

(ঘ) সবুজ ফ্রেম

এই ফ্রেমের তাপমাত্রা ৩২৩২° সে এর কাছাকাছি। এই শিখার অভ্যন্তরীণ কোণ (Inner Conc) মসৃণ হয় এবং জ্বলার সময় সুন্দর হালকা আওয়াজ (Pleasing soft sound) হয়। এই শিখা দ্বারা ওয়েল্ডিংকালে মূল ধাতুর সাথে কোনো প্রকার রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটে না। 

 

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেমের ব্যবহার (Uses of Gas welding Flame) (১৩.৪)

150
150

১. কার্বোরাইজিং ফ্লেম

নিম্ন গলনাঙ্কের ধাতুর ওয়েল্ডিং, লো-কার্বন স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, নিকেল, মোনেলমেটাল ইত্যাদি ওয়েল্ডিং, (শক্ত ঝালাই) (Hard soldring), ব্রেজিং, হার্ড ফেসিং, ডিপোজিটিং ইত্যাদি কাজে এই ফ্রেম ব্যবহার করা যায়।

২. অক্সি-ডাইজিং ফ্লেম 

পিতল, ব্রোঞ্জ জাতীয় ধাতুর ওয়েল্ডিং করতে এই ফ্রেম ব্যবহার করা হয়, অথবা মেটালিক শিট ও প্লেট কাটার ব্যাপারেও ব্যবহার করা হয়। এই ফ্রেমের তাপমাত্রা ৩৩১৫° সে-এর কাছাকাছি। এই শিখা জ্বলার সময় এক ধরনের হিসিং শব্দ (Hissing Sound) হয়।

৩. নিউট্রাল ফ্রেম 

এই ফ্লেম ব্যবহার করা হয় কাস্ট আয়রন, মাইন্ড স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম, কপার ইত্যাদিতে ওয়েল্ডিং করতে।

Content added By

প্রশ্নমালা-১৩

159
159

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. অক্সিডাইজিং ফ্রেম বলতে কী বোঝায়?

২. নিউট্রাল ফ্রেম বলতে কী বোঝায় ?

৩. কার্বোরাইজিং ফ্রেম বলতে কী বোঝায়?

৪. অক্সি-অ্যাসিটিলিন ফ্রেমের স্বাভাবিক তাপমাত্রা কত?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. অক্সিডাইজিং ও কার্বোরাইজিং ফ্লেমের তফাৎ কী ?

২. গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেম কত প্রকার ও কী কী ?

৩. নিউট্রাল শিখার রং সাধারণত কী কী ধরনের হয়ে থাকে। 

৪. অক্সিডাইজিং ও কার্বোরাইজিং ফ্লেমের ব্যবহার লেখ।

রচনামূলক প্রশ্নাবলি :

১. গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেমগুলোর চিত্রসহ ব্যবহার বর্ণনা কর ।

২. গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেমের প্রকৃতি তাপমাত্রাসহ ব্যাখ্যা কর ।

৩. বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেম শনাক্তকরণ কৌশল বিবৃত কর ।

Content added || updated By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটালের বৈশিষ্ট্য (চতুর্দশ অধ্যায়)

502
502
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটালের বৈশিষ্ট্য.
Content

বিভিন্ন ধরনের গ্যাস ওয়েন্ডিং ফিলার মেটাল (Different Types of Gas Welding Filler Metals) (১৪.১)

136
136

গ্যাস ওয়েল্ডিং জোড়ার ফাঁকা স্থান পূরণ করার জন্য যে পূরক ধাতু/ মেটাল ব্যবহার করা হয়, তাকে ফিলার মেটাল বলে । সাধারণত ফিলার মেটাল রড বা তারের আকৃতিতে পাওয়া যায়। রড আকৃতির ফিলার মেটালকে ফিলার রড বলে।

ফিলার রড দুই প্রকার। যথা-

(ক) আবৃত (Coated) ফিলার রড ও 

(খ) অনাবৃত (Bare) ফিলার রড ।

তিনটি আবৃত বা কোটেড ফিলার রডের নাম যথাক্রমে- 

১. মাইন্ড স্টিল কপার কোটেড ফিলার রড ।

২. মিডিয়াম কার্বন স্টিল কোটেড ফিলার রড

৩. লো-কার্বন স্টিল কোটেড ফিলার রড ।

উপরে উল্লিখিত ফিলার মেটালগুলি কেবল লৌহজাত ধাতু বা ফেরাস মেটালের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। অলৌহজাত বা ননফেরাস বা সংকর (Alloy) ধাতু ওয়েল্ডিং-এর ক্ষেত্রে এ ধরনের ফিলার রড ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

এছাড়া সুপার সিলিকন ও ফেরোসিলিকন নামে ফিলার মেটাল ব্যবহৃত হয়। 

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটালের আকার (Size of Gas Welding Filler Metals) (১৪.২)

131
131

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটাল সাধারণত দুই ধরনের হয় । যেমন-

১. আবৃত্ত ফিলার মেটাল এবং

২. অনাবৃত ফিলার মেটাল ।

ফিলার মেটাল দণ্ডাকৃতি, জড়ানো তারের আকৃতি, তারের কুণ্ডলী এবং ধাতুর সরু ফালির মতো হয়ে থাকে । ফিলার মেটাল সাধারণত ১৬ মিমি হতে ৯৫ মিমি ব্যাসের এবং ১০০ সেমি লম্বা হয়। অনেক সময় ফিলার রডের ব্যাস মূল ধাতুর পুরুত্বের সমান নেওয়া হয় ।

Content added By

গ্যাস ওয়েন্ডিং ফিলার মেটালের গুণাগুণ (Characteristics of Gas Welding Filler Metals) (১৪.৩)

157
157

সাধারণত ফিলার মেটালের উপাদনসমূহ ও গুণাবলি মূল ধাতুর ন্যায় হওয়া বাঞ্ছনীয়। এ সমস্ত ফিলার রডের ধাতু যাতে অতিসহজে ওয়েল্ডিং স্থানে প্রবাহিত হতে পারে সেই ভাবে বিভিন্ন উপাদানসহ ফিলার রড তৈরি করা হয় । বিশেষ ধরনের মূল ধাতুর জন্য উপযোগী ফিলার মেটাল পাওয়া না গেলে মূল ধাতুর টুকরা ফিলার রড হিসাবে ব্যবহার করা হয় ।
অ্যালুমিনিয়ামের জন্য ফিলার রঙ নির্ধারণ : বিভিন্ন পরিমাণ সিলিকন মিশ্রিত ওয়েন্ডিং রড ব্যবহৃত হয়। সিলিকন, রডের গলনাঙ্ক কমায় এবং তারল্যতা বাড়ায়। যত বেশি সিলিকন থাকবে তত গলনাঙ্ক হ্রাস পাবে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ওয়েন্ডিং রডের বিকল্প হিসাবে অ্যালুমিনিয়াম শিট হতে কাটা ছোট টুকরা ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্টেইনলেস স্টিলের জন্য ফিলার রড নির্ধারণ স্টেইনলেস স্টিলকে সন্তোষজনকভাবে ওয়েল্ডিং করার জন্য বিশেষভাবে তৈরি 'কলামবিয়াম ১৮-৮' ফিলার রড প্রয়োজন। যদি বিশেষ ধরনের রড না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে মূল ধাতুর টুকরা কেটে রড হিসেবে ব্যবহার করা ভালো ।

কপার-এর জন্য ফিলার রড নির্বাচন : কপারের জন্য ফিলার রড সাধারণত ডি-অক্সিডাইজড ধরনের ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে এমন কতকগুলো অ্যালয় রড ডি অক্সিডাইজারস এবং অন্যান্য উপাদান থাকে যথা সিলভার যা গলিত ধাতুর তারল্যতা বাড়ায় এবং এতে ভালো ফল পাওয়া যায় ।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটাল নির্বাচনে বিবেচ্য বিষয়সমূহ (Terms & Condition for Selection of Gas Welding Filler Metals) (১৪.৪)

157
157

১. যে মেটালকে ওয়েল্ডিং করা হবে, ফিলার মেটাল সেই একই জাতীয় হতে হবে।

২. ফিলার মেটাল গলনাঙ্ক বেস মেটাল হতে কম হবে।

৩. ফিলার মেটালের অভ্যন্তরীণ গঠন সুষম হতে হবে।

৪. ফিলার মেটাল প্রবাহিত হওয়ার সময় যথেষ্ট তারল্য ধর্ম থাকতে হবে। 

৫. ফিলার মেটাল তাড়াতাড়ি জমে জোড়া গঠনের ক্ষমতা থাকতে হবে।

৬. ফিলার মেটাল ভেতরে কোনো প্রকার বিষাক্ত উপাদান থাকবে না এবং যান্ত্রিক গুণাবলির (Mechanical Properties) অধিকারী হতে হবে ।

Content added By

প্রশ্নমালা-১৪

164
164

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. স্টেইনলেস স্টিলকে সন্তোষজনকভাবে ওয়েল্ডিং করার জন্য কীরূপ ফিলার রঙ অত্যাবশ্যক ?

২. গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটাল বলতে কী বোঝায় ? 

৩. সিলিকন অ্যালয়েড অ্যালুমিনিয়াম রড কোন ধাতু ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত হয়?

৪. বিশেষ ধরনের মূল ধাতুর জন্য উপযোগী ফিলার মেটাল পাওয়া না গেলে ফিলার রড হিসাবে কী ব্যবহৃত হয়?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

১. ফিলার মেটাল কত প্রকার ও কী কী ?

২. ওয়েল্ডিং জোড়ার ফাঁকা স্থান পূরণ করার জন্য কী কী ব্যবহার করা হয়?

৩. সিলিকন ম্যাঙ্গানিজ অ্যালয়েড অয়্যার ফিলার মেটালের মিশ্রণের শতকরা হার কত? 

৪. সাধারণত ফিলার মেটালের উপাদনসমূহ ও গুণাবলি কেমন হওয়া উচিত?

রচনামূলক প্রশ্নাবলি :

১. গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটালের গুণাগুণ বর্ণনা কর ।

২. গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটালের আকার বর্ণনা কর ।

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিং ফিলার মেটাল নির্বাচনের বিবেচ্য বিষয়াদি লেখ।

৪. ইলেকট্রোড ও ফিলার রডের পার্থক্য দেখাও ।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্লাক্স (পঞ্চদশ অধ্যায়)

349
349
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্লাক্স.
Content

ওয়েল্ডিং ফ্লাক্সের প্রয়োজনীয়তা (Necessity of Gas Welding Flux) (১৫.১)

197
197

গ্যাস ওয়েল্ডিং করার সময় উত্তপ্ত ধাতুর সঙ্গে বাতাসের অক্সিজেনের বিক্রিয়া হয়ে অক্সাইড গঠন করে। এ বিক্রিয়াকে অক্সিডেশন বলে। অক্সিডেশনের ফলে জোড়া স্থানে কখনও কখনও ফোসকার মতো, কখনও বা ছিদ্র তৈরি হয়। ফলে জোড়া স্থান দুর্বল হয়। ফ্লাক্স হলো এক প্রকার রাসায়নিক যৌগ, যা ওয়েল্ডিং-এর সময় অক্সিডেশন এবং অন্যান্য অনাকাঙ্ক্ষিত রা সায়নিক বিক্রিয়া প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। ফ্লাক্স ওয়েল্ডিং পদ্ধতি সহজতর করতে সাহায্য করে এবং ত্রুটিমুক্ত ওয়েল্ড তৈরি নিশ্চিত করে । ওয়েল্ডিং-এর সময় জোড় স্থানে এসিড প্রয়োগ করতে হয়। কখনো বা উত্তপ্ত ফিলার রড ফ্লাক্সে ডুবিয়ে নেওয়া হয়। ফ্লাক্স সাধারণত সিলিকন, লোহা, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি ধাতুর অক্সাইড ও সেলুলোজ (Cellulose) এর সংমিশ্রণে গঠিত হয় ।

ফ্লাক্সের কার্যকারিতা নিম্নে প্রদত্ত হলো :

(ক) ওয়েল্ড তল হতে ময়লা দূরীভূত করে ।

(খ) নতুন অক্সাইড তৈরিতে বাধা দেয় । 

(গ) গলিত ফিলার মেটালের সারফেস টেনশন কমিয়ে এর প্রবাহ নিশ্চিত করে । 

(ঘ) গলিত ফিলার মেটালকে সঠিক স্থানে পৌঁছে দেয় । 

(ঙ) অন্য যে কোনো অপদ্রব্য দূরীভূতকরণে সাহায্য করে ।

(চ) ওয়েন্ডিং প্রক্রিয়াকে সহজতর করে।

(ছ) ওয়েল্ডকে অধিক শক্তিশালী ও নমনীয় করে ।
 

মৌলিকভাবে ফ্লাক্সকে তিনভাবে ভাগ করা যায়। যথা:

(১) হাইলি করোসিভ ফ্লাক্স (Highly corrosive flux)

(২) ইন্টারমিডিয়েট করোসিভ ফ্লাক্স (Intermediate corrosive flux) 

(৩) নন-করোসিভ ফ্লাক্স (Non corrosive flux)

করোসিভ ফ্লাক্স না জ্বলিয়ে অথবা লাল বর্ণ ধারণ না করেও উচ্চ তাপ সহ্য করতে পারে, যা অন্য সব ফ্লাক্সের ক্ষেত্রে সম্ভব হয় না। গ্যাস ওয়েল্ডিং উচ্চ তাপের প্রয়োজন হয় বলে হাইলি করোসিভ ফ্লাক্স গ্যাস ওয়েল্ডিং এ ব্যবহারের জন্য উপযোগী। এই ফ্লাক্সে অজৈব এসিড বা লবণ থাকে যা অক্সাইডের সাথে বিক্রিয়া করে। এই বিক্রিয়া অনেক সময় স্বাভাবিকভাবেও ঘটে থাকে। আবার এই ফ্লাক্সের বিক্রিয়া কোনো কোনো সময় তাপ প্রয়োগের পর শুরু হয়। সাধারণত ফ্লাক্স পাউডার পেস্টের মতো হয় ।

Content added By

ফ্লাক্সের উপাদানসমূহ (Compos-ion of Gas Welding Flux) (১৫.২)

182
182

ফ্লাক্সের উপাদান হিসাবে রাসায়নিক দ্রব্যসমূহ হলো- সোডিয়াম, পটাশিয়াম, লিথিয়াম, বোরাক্স, বোরিক অ্যাসিড, বোরেটস ও অ্যালকালি । সাধারণত ফ্লাক্স কঠিন, তরল, পেস্ট ও পাউডার আকারে প্রয়োগ করা হয় । 

Content added By

বিভিন্ন কাজে ফ্লাক্সের নাম (Function of Gas Welding Flux) (১৫.৩)

235
235
ধাতুর নামফ্রান্সের নাম
ব্রাশ ও ব্রোঞ্জবোরাক্স শ্রেণিভুক্ত। এতে সোডিয়াম বোরেটের সাথে অন্যান্য উপাদান থাকে ।
তামাফ্লাক্স ছাড়াও ওয়েন্ডিং করা যায় তবে অক্সিজেন রোধের জন্য বোরাক্স ব্যবহার করা হয় ।
অ্যালুমিনিয়াম ও  অ্যালুমিনিয়াম অ্যালয়লিথিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম বাই সালফেট, পটাশিয়াম ক্লোরাইড ।
কাস্ট আয়রনসোডিয়াম, পটাশিয়াম বা অ্যালকালিন, বোরেট, কার্বোনেটস, বাইকার্বোনেটস এবং স্লাগ তৈরির উপাদানসমূহ ।
স্টেইনলেস স্টিল কম্পাউন্ড অব বোরাক্স, বরিক অ্যাসিড, ফ্লোরস্পার।
ম্যাগনেসিয়াম ও অ্যালয়সমূহসোডিয়াম ফ্লোরাইড, পটাশিয়াম ফ্লোরাইড, ম্যাগনেসিয়াম ক্লোরাইড, বেরিয়াম ক্লোরাইড ।
নিকেল ও অ্যালয়সমূহবিশুদ্ধ নিকেলের জন্য ফ্লাক্সের প্রয়োজন নেই ।
মাইন্ড স্টিলবোরাক্স

কয়েকটি সাধারণ ফ্লাক্সের বিবরণ দেওয়া হলো : 

কাস্ট আয়রন ফ্লাক্স :

এটা গুঁড়া জাতীয়, দেখতে অনেকটা লালচে রঙের। প্রধানত আয়রন অক্সাইড, সোডিয়াম কার্বোনেট ও বাই কার্বোনেট সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয় ।

অ্যালুমিনিয়াম ফ্লাক্স :

অ্যালুমিনিয়াম ও এর সংকর ধাতু ওয়েল্ডিং বা ব্রেজিং-এর জন্য নির্দিষ্ট ফ্লাক্স ব্যবহার অপরিহার্য। এই ফ্লাক্স সাধারণত সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট, লিথিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড এবং ব্রায়োনাইট সংমিশ্রণে প্রস্তুত করা হয়।

ব্রেজিং ফ্লাক্সঃ

যে ধরনের ধাতু ব্রেজিং করতে হবে তার ওপর নির্ভর করে ফ্লাক্স নির্বাচন করা হয়। সাধারণত পরিশোধিত এবং বিশুদ্ধ বোরাক্স এবং ধাতুর ক্লোরাইড সংমিশ্রণে এই ফ্লাক্স প্রস্তুত করা হয় ।

তামা বা তামা জাতীয় ধাতুর ফ্লাক্স :

এই জাতীয় যে সকল ফ্লাক্স বাজারে দেখা যায়, তার বেশির ভাগই কিউপ্রাস অক্সাইড হতে তৈরি ।

স্টেইনলেস স্টিলের ফ্লাক্স :

জোড় সুন্দর, মজবুত এবং গলিত ধাতুর উত্তম নিয়ন্ত্রণের জন্য ফ্লাক্স হিসেবে বোরাক্স, বোরিক অ্যাসিড ও ফ্লোরোস্পার ব্যবহার।

ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সংকর ধাতুর ওয়েন্ডিং-এর জন্য ফ্লাক্স : সোডিয়াম ক্লোরাইড, পটাশিয়াম ক্লোরাইড, বেরিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি ফ্লাক্স হিসাবে ব্যবহার করা হয়। যেহেতু উক্ত ধাতুতে ব্যবহৃত ফ্লাক্স খুবই করোসিভ সেজন্য ওয়েল্ডিং-এর কাজ সমাপ্ত হওয়ার পরপরই চিপিং করে ওপরের ধাতুমল সরিয়ে ফেলতে হয় এবং পরে ওয়্যার ব্রাশ দিয়ে ভালো করে জোড় পরিষ্কার করতে হয়।

নিকেল ও নিকেল সংকর ধাতুর ফ্লাক্স :

বিশুদ্ধ নিকেলের জন্য কোন ফ্লাক্সের দরকার হয় না। কিন্তু নিকেল অ্যালয় যেমন ইনকনেল (Inconel ) এবং মোনেল মেটাল-এর জন্য ফ্লাক্স-এর দরকার হয়।

ইনকনেল সংকর ধাতুর জন্য ব্যবহৃত ফ্লাক্স :

এতে ৮০% নিকেল, ১৫% ক্রোমিয়াম এবং ৫% আয়রন থাকে। ক্যালসিয়াম হাইড্রোক্সাইড Ca(OH)2. বোরিক অ্যানহাইড্রাইড (B2O3) ইত্যাদি ফ্লাক্স এতে ব্যবহৃত হয় ।

মোনেল মেটাল-এর জন্য ফ্লাক্স :

৬৬.৫% নিকেল, ৩১.৫% কপার যুক্ত মোনেল মেটালের জন্য ব্যবহৃত ক্যালসিয়াম ফেরাইট (CaFeO2) বেরিয়াম ফেরাইট (BaFe2O4) এবং গাম অ্যারাবিক ইত্যাদি ফ্লাক্স ব্যবহৃত হয় ।

Content added By

প্রশ্নমালা-১৫

106
106

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

(১) ফ্লাক্স বলতে কী বোঝায় ?

(২) করোসিভ ফ্লাক্সের ব্যবহারের ক্ষেত্রে আলাদা বিশেষত্ব কী?

(৩) ফ্লাক্সের উপাদানের নাম লেখ ।

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি :

(১) ফ্লাক্স কত প্রকার ও কী কী?

(২) ফ্লাক্স সাধারণত কী কী ধাতুর সংমিশ্রণে গঠিত হয়।

(৩) ওয়েল্ডিং ফ্লাক্সে কী কী উপাদান থাকে ?

রচনামূলক প্রশ্নাবলি :

(১) বিভিন্ন প্রকার ধাতু ওয়েল্ডিং-এ ব্যবহৃত ফ্লাক্সের নাম লেখ । 

(২) গ্যাস ওয়েল্ডিং-এ ফ্লাক্সের প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা কর । 

Content added By

স্পট ওয়েল্ডিং (ষোড়শ অধ্যায়)

456
456
Please, contribute by adding content to স্পট ওয়েল্ডিং.
Content

স্পট ওয়েন্ডিং (Spot Welding) (১৬.১)

191
191

রেজিস্ট্যান্স ওয়েল্ডিং-এর যে পদ্ধতিতে কাজের উপর দুইটি পয়েন্টেড (Pointed) বা ডোমড (Domed) ইলেকট্রোড কর্তৃক প্রদত্ত চাপের পর বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালনার ফলে সৃষ্ট রেজিস্ট্যান্স হতে তাপের সাহায্যে ওয়েল্ড বা কোলেসিন (Coalascene) তৈরি করে ওয়েল্ডিং করা হয় তাকে স্পর্ট ওয়েন্ডিং বলে। এটি রেজিস্ট্যান্স ওয়েল্ডিং-এর একটি শাখা।

সাধারণত ০.২৫ মিমি - ১৩ মিমি পুরু ধাতব পাতকে ল্যাপ জয়েন্ট করতে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৬ মিমি পুরু পাতের ক্ষেত্রে ইহা বেশি ব্যবহৃত হয় এবং সর্বোচ্চ ৭৬ মিমি পুরু পাতকে ওয়েল্ডিং করা যায় । তামার পাতের ক্ষেত্রে অবশ্য ১ মিমি এর কম পুরু পাতকে এই পদ্ধতিতে ওয়েল্ডিং করা কষ্টকর।

স্পট ওয়েল্ডিং প্রধানত দুই প্রকার। যথা-

১। সিঙ্গেল স্পট ওয়েল্ডিং (Single Spot Welding) 

২। মালটিপল স্পট ওয়েল্ডিং (Multiple Spot Welding)

প্রথমোক্ত পদ্ধতিতে একবার বিদ্যুৎ প্রবাহে কাজের এক স্থানে একটি মাত্র স্পট তৈরি হবে। শেষোক্ত পদ্ধতিতে একই সময়ে দুই বা ততোধিক স্পট তৈরির মাধ্যমে জোড়া দেওয়া হয় ।
স্পট ওয়েল্ডিং-এর সুবিধা হলো-

১। খরচ কম। 

২। বহুল নির্ভরশীলতা।

৩। ওয়েন্ডিং স্পিড বেশি। 

৪। কম দক্ষ অপারেটর প্রয়োজন।

৫। ডিটরশন কম হয়।

৬। কোনো কিলার রঙ দরকার হয় না।

স্পট ওয়েল্ডিং-এর অসুবিধা হলো-

১। সিম ওয়েল্ডিং-এর চেয়ে ওভার ল্যাপ বেশি।

২। প্রাথমিক খরচ বেশি ।

৩। বেশি পুরু পাতকে জোড়া দেওয়া যায় না । 

Content added By

স্পট ওয়েন্ডিং মেশিন (১৬.২)

136
136

যে ওয়েল্ডিং মেশিনে স্পর্ট ওয়েল্ডিং করা হয় তাকে স্পট ওয়েল্ডিং মেশিন বলা হয়। স্পট ওয়েল্ডিং মেশিন প্রধানত দুই প্রকার । যথা-

১। সিঙ্গেল স্পট ওয়েল্ডিং মেশিন (Single Spot Welding Machine)

 ২। মালটিপল স্পর্ট ওয়েল্ডিং মেশিন (Multiple Spot Welding Machine)

স্পট ওয়েল্ডিং মেশিনে ব্যবহৃত ইলেকট্রোড নন-কনজুম্যাবল। অধিকাংশ ইলেকট্রোড লো রেজিস্ট্যান্স কপার অ্যালয় দিয়ে তৈরি। তবে কোনো কোনো সময় অন্যান্য উচ্চ ভাগ প্রতিরোধক ধাতুও ব্যবহৃত হয়। ইলেকট্রোডকে ঠান্ডা রাখার জন্য প্রতিটি ইলেকট্রোডকে ফাঁপা করে তৈরি করা হয়। ওয়েল্ড এরিয়া হতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাপ পরিহারের জন্য শীতলীকরণ ব্যবস্থা জরুরি। কাজের আকার অনুযায়ী ইলেকট্রোড-এর মুখের আকার নির্ধারিত হয়।

ইলেকট্রোডের মুখের আকার ডোম, ফ্লাট, একসেন্ট্রিক, ট্রাংকেটেড বা রেডিয়াস ধরনের হতে পারে। 

Content added By

স্পর্ট ওয়েল্ডিং মেশিন চালনার কৌশল (১৬.৩)

172
172

স্পট ওয়েল্ডিং-এ সাধারণত পয়েন্টেড (চোখা) ইলেকট্রোড (কনডাক্টর) ব্যবহার করা হয়। কার্যবস্তুকে দুটি ইলেকট্রোডের মাঝে স্থাপন করে ইলেকট্রোডদ্বয়ের সাহায্যে চাপ দিয়ে ধরার পর কম ভোল্টের উচ্চ বিদ্যুৎ প্রবাহ চালনা করা হয় । এতে এক ইলেকট্রোড হতে অপর ইলেকট্রোডে বিদ্যুৎ প্রবাহের ফলে প্রয়োজনীয় তাপ ও চাপের সৃষ্টি হয় । ফলে নির্দিষ্ট সময়ে কার্যবস্তুর দুই পাশে (উপরে ও নিচে) যে স্থলে ইলেকট্রোডদ্বয়ের মাথা মুখোমুখি অবস্থানে আছে, উক্ত প্রান্ত বরাবর মেটালে গলন ধরে এবং ইলেকট্রোডদ্বয়ের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগে স্পটের আকারে ধাতু গলে জোড়া তৈরি হয়। 

সময় ও কার্যবস্তুর বিবেচনায় স্পর্ট ওয়েন্ডিং প্রক্রিয়া তিনটি স্তরে সম্পন্ন হয়। যেমন-

১। স্কুইজ টাইম (Squeeze Time ) 

২। ওয়েল্ড টাইম (Weld Time)

৩। হোল্ড টাইম (Hold Time)

এই তিনটি স্তরে সম্পন্ন অপারেশন-এর পূর্বে অবশ্যই ওয়ার্কপিসের মরিচা, অপদ্রব্য বা কেমিক্যালসহ অন্যান্য তেল মুক্ত করে নিতে হয়

১। স্কুইজ টাইম (Squeeze Time ) : বিদ্যুৎ সরবরাহের পূর্বে ইলেকট্রোডকে ওয়ার্কপিসের সংস্পর্শে আনার সময়কে স্কুইজ টাইম বলে ।

২। ওয়েল্ড টাইম (Weld Time ) : বিদ্যুৎ সরবরাহের সময়কে ওয়েল্ড টাইম (Weld Time) বলে ।
৩। হোল্ড টাইম (Hold Time) যে সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে অথচ ওয়ার্কপিসের উপর চাপ প্রদান অব্যাহত থাকে তাকে হোল্ড টাইম (Hold Time) বলে।

Content added By

স্পট ওয়েল্ডিং মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ (১৬.৪)

171
171

১। স্পট ওয়েল্ডিং মেশিনকে দ্রুত ঠান্ডা করার জন্য ইলেকট্রোডের অভ্যন্তরের পানির লাইন অবশ্যই পরিষ্কার রাখতে হবে ।

২। কার্যবস্তুর আলোকে সঠিক মাত্রায় কারেন্ট ও ভোল্টেজ সেট করতে হবে ।

৩। কার্য শেষে মেশিন বা যন্ত্রপাতি পরিষ্কার ও যথাস্থানে সাজিয়ে রাখতে হবে।

Content added By

প্রশ্নমালা-১৬

140
140

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি 

১। স্পট ওয়েল্ডিং-এ কীরূপ ইলেকট্রোড ব্যবহার করা হয়?

২। স্পট ওয়েল্ডিং কোন ওয়েল্ডিং-এর একটি শাখা?

৩। ওয়েল্ড টাইম কাকে বলে?

৪। স্কুইজ টাইম কাকে বলে?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১। স্পট ওয়েল্ডিং বলতে কী বোঝায় ?

২। স্পট ওয়েল্ডিং-এর ব্যবহারিক ক্ষেত্র লিখ।

৩। স্পট ওয়েল্ডিং মেশিন বলতে কী বোঝায় ?

৪। স্পট ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়া কী কী স্তরে বিভক্ত হয়?

রচনামূলক প্রশ্নাবলি 

১। স্পট ওয়েল্ডিং কত প্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকারের বর্ণনা দাও।

২। স্পট ওয়েল্ডিং মেশিন সম্পর্কে যা জান লিখ।

৩। স্পট ওয়েল্ডিং মেশিন চালনার কৌশল বিবৃত কর।

৪। স্পর্ট ওয়েল্ডিং মেশিনের রক্ষণাবেক্ষণ আলোচনা কর।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং জোড়ের সম্ভাব্য ত্রুটি ও প্রতিকার (সপ্তদশ অধ্যায়)

320
320
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং জোড়ের সম্ভাব্য ত্রুটি ও প্রতিকার.
Content

গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটিসমূহ (১৭.১)

502
502

প্যাস ওয়েল্ডিং-এর সময় অপ্রত্যাশিত যে ত্রুটিগুলো দেখা যায় সেগুলো নিম্নরূপ :

ক) বিকৃতি (Distortion) 

ওয়েল্ডিং-এর সময় মূল ধাতু অসমভাবে উত্তপ্ত হওয়ার ফলে এবং পরবর্তীতে ঠান্ডা হওয়ার সময় সংকোচন ও প্রসারণজনিত কারণে বেঁকে, মুড়িয়ে কিংবা কুচকিয়ে যাওয়াকে বিকৃতি বলে। এর ফলে ওয়েল্ড কাজের অনুপযোগী হয়ে যায় এবং এই কারণে বিকৃতি রোধ অত্যাবশ্যক ।

বিকৃতি তিন প্রকার। যথা-

১. কৌপিক বিকৃতি (Angular Distortion)

২. লম্বালম্বি বিকৃতি (Longitudinal Distortion) 

৩. আড়াআড়ি বিকৃতি (Transverse Distortion)

খ) ধাতুমল অন্তর্ভূক্তি (Slag Inclusion)

 ওয়েল্ড ধাতু জমাট বাঁধার সমর এর অভ্যন্তরে ধাতুমল আটকিয়ে পড়াকেই ধাতুমল অন্তর্ভূক্তি বলে। এতে জোড় দুর্বল হয় ।

 

গ) আভার কার্ট (Underent) 

ওয়েল্ডিং করার সময় মাত্রাতিরিক্ত উত্তাপ এবং ত্রুটিপূর্ণ ওয়েল্ড গতির ফলে মূল ধাতুর পার্শ্বদেশ কিংবা ওয়েভ ধাতু কেটে অসম কর্তন রেখার সৃষ্টি করে, এটাই আন্ডার কাট।

ঘ) কম বা অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন (Poor Penetration) 

 মূল ধাতুর অভ্যন্তরে মেটালের অপর্যাপ্ত কম অনুপ্রবেশই কম বা অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন নামে পরিচিত। এতে জোড় দুর্বল হয় এবং জোড় দিক প্রুফ (Leak Proof) নাও হতে পারে ।

ঙ) মাত্রতিরিক্ত পেনিট্রেশন (Excess Penetration)

 জোড়ের রুটে মাত্রাতিরিক্ত ধাতু জমানোই অতিরিক্ত পেনিট্রেশনের লক্ষণ। মাত্রাতিরিক্ত পেনিট্রেশনে জোড়-এর বিকৃতি বেশি হয়, খরচ বেশি হয় এবং পাইপ ওয়েন্ডিং-এ ভেতরের ব্যাস হ্রাস পায় ।

চ) স্প্যার্টার (Spatter) 

কার্যবস্তু অথবা ওয়েল্ডিং অত্যধিক তাপের তারতম্যতাহেতু গলিত ধাতু পুরোপুরিভাবে নির্দিষ্ট স্থানে না জমা হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে জোড়ার চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, এটাই স্প্যাটার।

ছ) কম গান (Lack of Fusion) 

মূল ধাতু ওয়েন্ড মেটালের সঙ্গে পুরোপুরিভাবে মিশ্রণের অভাবকেই কম গলন বলা হয়। জোড়ে ওয়েল্ড মেটাল এবং মূল ধাতুর মধ্যে কিংবা ওয়েল্ড মেটালের সঙ্গে ওয়েন্ড মেটালের কম বা অসম্পূর্ণ গলনের ফলে জোড় দুর্বল হওয়ায় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।

(জ) ব্লো-হোল (Blow hole)

ওয়েল্ড মেটাল তরল অবস্থা হতে কঠিন অবস্থায় রূপান্তরিত হওয়ার সময় গ্যাস আটকিয়ে গর্তের সৃষ্টি করে যার ব্যাস ২-৩ মিমি হয়ে থাকে। এটাই ব্লো-হোল। এটা ওয়েল্ড তলের উপরে বা অভ্যন্তরে হতে পারে। এটা ওয়েল্ড মেটালের শক্তি বা গুণাগুণের মান হ্রাস করে।

ঝ) পুড়ে ছেদ হওয়া (Burn Through) 

 অত্যধিক পেনিট্রেশনের দরুন জোড়া স্থানে গর্ত হয়ে যায় ফলে গণিত ৰাজু জোড়া স্থানে জমা না হয়ে পড়ে যায়।

ঞ) ওভার ল্যাপ (Over lap) 

 বেসমেটাল পুরাপুরি না গলে মাত্রাতিরিক্ত ওয়েল্ড ধাতু এর উপর জমে থাকলে ওভার ল্যাপের সৃষ্টি হয়। জোড়া স্থান কাঙ্ক্ষিত শক্তি সম্পন্ন হয় না ।

ট) মাত্রাতিরিক্ত অবতল কিংবা উত্তল আকৃতি (Excess Convexity and Concavity) 

জোড়ে অনেক সময় প্রয়োজনের অধিক (চিত্রে দেখানো হয়েছে) ওয়েল্ড মেটাল জমা হয়। এটা মাত্রাতিরিক্ত উত্তল। ওয়েল্ডিং-এর গতি অত্যধিক মন্থর কিংবা ওয়েল্ডিং কোণ যথাযথভাবে বজায় না রাখার দরুন এইরূপ ত্রুটি সংঘটিত হয়ে থাকে । অনুরূপভাবে জোড়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম ধাতু (যা দেখতে অনেকটা ইংরেজি 'সি' অক্ষরের মতো) জমা হয় ।
ঠ) ফাটল (Crack) 

ফিলার মেটাল এবং মূল ধাতুর গুণাগুণের মধ্যে পার্থক্যজনিত কারণে ওয়েল্ডিং করার পর ওয়েল্ড মেটাল কিংবা তাপ প্রবাহিত জোনে অথবা উভয় অংশেই ফাটল হতে পারে। এই ফাটল যা খালি চোখে দেখা যায় তাকে ম্যাক্রো ক্র্যাকিং বলে। আর যা খালি চোখে দেখা যায় না অর্থাৎ এমন ফাটলকে মাইক্রোসকোপের সাহায্যে দেখতে হয় তাকে মাইক্রো ক্র্যাকিং বলে ।

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ত্রুটির কারনসমূহ (১৭.৩)

157
157
ত্রুটিকারণ
বিকৃতিধাতুর অসম প্রসারণ ও সংকোচন
স্লাগ ইনকুশানঅপরিষ্কার ধাতু, ইলেকট্রোড চালনা সঠিক নয়, কারেন্টের মান খুব বেশি কিংবা খুব কম। ইলেকট্রোড নির্বাচন সঠিক নয়, পূর্ববর্তী রানের স্লাগ যথাযথভাবে পরিষ্কার করা হয়নি।
আন্ডার কাট

ওয়েল্ডিং কোণ সঠিক নয়

জোড়ের তুলনায় ইলেকট্রোড খুব বেশি বড় জোড়ের কিনারায় স্বল্প বিরতি

এটি চালনার গতি অত্যধিক বেশি

অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশন

জোড়ের প্রস্তুতি সঠিক নয় রুট ফাঁক খুব কম

এটি কোণ সঠিক নয়

ওয়েল্ডিং খুব বেশি দীর্ঘ

গভীর পেনিট্রেশন

জোড়ের প্রস্তুতি সঠিক নয়

রুট ফাঁক বেশি

জোড়ের তুলনায় ফিলার রডের সাইজ খুব ছোট

এটি চালনার গতি খুব মন্থর

স্প্যাটার

দীর্ঘ ফ্লেম 

আর্কের দৈর্ঘ্য খুব বেশি

 আদ্র ইলেকট্রোড

কম গলন

কার্যবস্তুর পুরুত্বের তুলনায় ইলেকট্রোড ব্যাস খুব ছোট

গ্যাস প্রবাহ কম

ইলেকট্রোড কোণ সঠিক নয়

ইলেকট্রোড চালনার গতি সঠিক নয়

ময়লা কিংবা মিলক্ষেল জোড়ের তলদেশে থাকায় 

একাধিক রানের ওয়েন্ডের পর্যায়ক্রমে কিংবা ধাপসমূহ সঠিক নয়

ব্লো-হোল

অতিদীর্ঘ আর্ক

আদ্র ইলেকট্রোড

পুড়ে ছেদ হওয়া

অতি দীর্ঘ আর্ক

অত্যধিক কারেন্ট

 অতি মন্থর গতি

ওভার ল্যাপ 
মাত্রাতিরিক্ত উত্তল কিংবা
অবতল আকৃতি
অবতল

গ্যাস প্রবাহ বেশি

এটি চালনার কোণ সঠিক নয়।

 ফিলার রডের সাইজ সঠিক নয়।

উত্তল 

গ্যাসের প্রবাহ কম

ইলেকট্রোড চালনার কোণ সঠিক নয়

 ইলেকট্রোড সাইজ কার্যবস্তুর পুরুত্বের তুলনায় খুব বেশি

ফাটল

সঠিক ধরনের ফিলার রড ব্যবহার না করলে 

ওয়েল্ডিং -এর পর্যায়ক্রম সঠিক না হলে

ওয়েল্ডিং তাপমাত্রা অত্যধিক হলে 

 

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং ত্রুটিসমূহের প্রভাব (১৭.৪)

151
151
ত্রুটিসমূহপ্রভাব
বিকৃতি (Distortion)এর ফলে বেঁকে, মুড়িয়ে, কিংবা কুচকিয়ে যায়, ওয়েল্ড কাজের অনুপযোগী হয়ে যায়।
 স্লাগ ইনকুশান এতে জোড় দুর্বল হয়।
আন্ডার কাটমূল ধাতুর পার্শ্বদেশ কিংবা ওয়েল্ড ধাতু কেটে অসম কর্তন রেখার সৃষ্টি করে
অসম্পূর্ণ পেনিট্রেশনএতে জোড় দুর্বল হয় এবং জোড় লিক প্রুফ (Leak Proof) নাও হতে পারে
গভীর পেনিট্রেশনএর ফলে জোড়-এর বিকৃতি বেশি হয়, খরচ বেশি হয় এবং পাইপ ওয়েল্ডিং এ ভেতরের ব্যাস হ্রাস পায়।
স্প্যাটারওয়েল্ডিং অত্যধিক তাপের তারতম্যতাহেতু গলিত ধাতু পুরোপুরিভাবে নির্দিষ্ট স্থানে না জমা হয়ে বিক্ষিপ্তভাবে জোড়ার চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে
কম গলনজোড়ে ওয়েল্ড মেটাল এবং মূল ধাতুর মধ্যে কিংবা ওয়েল্ড মেটালের সঙ্গে ওয়েল্ড মেটালের কম বা অসম্পূর্ণ গলনের ফলে জোড় দুর্বল হয় ।
ব্লো-হোলএটা ওয়েল্ড মেটালের শক্তি বা গুণাগুণের মান হ্রাস করে।
পুড়ে ছেদ হওয়াঅত্যধিক পেনিট্রেশনের দরুন জোড়া স্থানে গর্ত হয়ে যায় ফলে গলিত ধাতু জোড়া স্থানে জমা না হয়ে পড়ে যায়।
ওভার ল্যাপবেসমেটাল পুরোপুরি না পলে মাত্রাতিরিক্ত ওয়েল্ড ধাতু এর উপর জমে থাকলে ওভার ল্যাপের সৃষ্টি হয় । জোড়া স্থান কাঙ্ক্ষিত শক্তি সম্পন্ন হয় না ।
মাত্রাতিরিক্ত উত্তল কিংবা অবতল আকৃতি অবতলওয়েল্ডিং-এর গতি অত্যধিক মন্থর, জোড়ে প্রয়োজনের তুলনায় কম ধাতু জমা হয়।
উত্তলগ্যাসের প্রবাহ কম যার ফলে ইলেকট্রোড চালনার কোণ সঠিক হয় না।
ফাটলফিলার মেটাল এবং মূল ধাতুর গুণাগুণের মধ্যে পার্থক্যজনিত কারণে ওয়েল্ডিং করার পর ওয়েল্ড মেটাল কিংবা তাপ প্রবাহিত জোনে অথবা উভয় অংশেই ফাটল হতে পারে।

 

Content added || updated By

গ্যাস ওয়েন্ডিং ত্রুটিসমূহ নিরসনের উপায় (১৭.৫)

167
167

Content added By

প্রশ্নমালা-১৭

137
137

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি 

১. গ্যাস ওয়েন্ডিং ত্রুটি বলতে কী বোঝায়?

২. আন্ডার কাট বলতে কী বোঝায় ?

৩. ব্লো হোল কী?

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলি

১. গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর তিনটি ত্রুটি বর্ণনা দাও।

২. স্পের্টারিং ও কমপেনিট্রেশন কেন হয়?

রচনামূলক প্রশ্নাবলি 

১. গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটিসমূহ নিরসনের উপায় বর্ণনা কর ।

২. গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর ত্রুটিসমূহের কারণ বর্ণনা কর।

Content added || updated By

প্রথম পত্র, ব্যবহারিক

275
275
Please, contribute by adding content to প্রথম পত্র, ব্যবহারিক.
Content

ওপেন এন্ডেড রেঞ্জ তৈরি (ব্যবহারিক-১)

243
243

বি: দ্র: বাজারে যে সব ওপেন এন্ডেড বেজ পাওয়া যায় তার সবগুলিই ফোমিং পদ্ধতিতে তৈরী। বানিজ্যিক ভিত্তিতে কখনই এভাবে রেখ তৈরী হয় না। কেবল মাত্র কয়েকটি কাটিং অপারেশন শেখানোর জন্য এই ক্লাসটি নেওয়া হচ্ছে। 

Content added By

লে-আউট কাজে ব্যবহৃত টুলস (১.১)

306
306

১. স্টিল রুল (Steel Rule)

২. প্রিক পাঞ্চ (Prick Panch)

৩. স্ক্রাইবার (Scriber)

৪. হ্যামার ( Hammer)

৫. ডিভাইডার (Divider)

৬. ক্যালিপার্স (Calipers)

৭. ট্রাইস্কয়ার (Try square) 

৮. হারমাফ্রোডাইট ক্যালিপার্স (Hermaphrodite Callipers)

৯. কম্বিনেশন সেট (Combination Set)

১০. সারফেস প্লেট (Surface Plate )

১১. টুল মেকার্স ভাইস (Tool Makers Vice)

Content added By

কাঁটামাল (১.২)

161
161

150xmmx35mmx5mm এম.এস. প্লেট 

Content added By

লে-আউট (১.৩)

123
123

১. স্টিল রুল দিয়ে মাপন (Measuring with Steel Rule) স্টিন রুল দিয়ে মান গ্রহণের সময় কার্যবস্তুর উপরিতলে স্টিল রুপ এমনভাবে ধরতে হবে যেন, রুদের রেগাগুলো কার্যবস্তুকে স্পর্শ করে। যাগ নেওয়ার সময় ১০ মিমি মার্ক থেকে নিতে হবে, কারণ রুলের শেষ প্রান্ত ভাঙা থাকতে পারে। চিত্রে একটি স্টিল ফলের ব্যবহার দেখানো হলো। 

চিত্রঃ ব্যব: ১.১ স্টিল রুলের সাহায্যে মাপ গ্রহণ 

বান। ১/১

২. ড্রাইবার দিয়ে লাইন টানা (Lines) মেটালের পৃষ্ঠদেশ (চক দ্বারা) কালার করার পর এটা লে-আউট করার উপযোগী হয়। সরল রেখা টানার জন্য টিল ফুল, ক্ষরার অথবা বেতেল প্রোট্রেটরকে যথাস্থানে রেখে শক্ত করে বাম হাতে ধরে রাখতে হবে। ডান হাতে ফাইবার ধরে সাপ টানতে হবে। এতে সরল রেখা উৎপন্ন হবে। ডিভাইডার দিয়ে বৃত্তাকার অংশটি চিত্র মোতাবেক দাগ টানতে হবে। 

Content added || updated By

লে আউটের পর মার্কিং (১.৪)

135
135

পাঞ্চিং (Prick Punching) 

কালারিং (Colouring) এবং ফ্লাইং লাইন (Scribe Line) অনেক সদর হাতের সবার মুছে যেতে বা নষ্ট হতে পারে। অধিক স্থায়িত্বের লক্ষ্যে কি পার্কিং করা হয়। গ্রিক পাশের সেন্টারটি অবশ্যই সঠিকভাবে লাইনের উপর রেখে হাতুড়ি দিয়ে হালকাভাবে আঘাত দিতে হবে। গ্রিক পাঞ্চের মার্কটি ২ মি.মি. দূরে দূরে হবে। নিচের চিত্রে গ্রিক পাঞ্চিং-এর মাধ্যমে একটা লাইন মার্কিং করা দেখানো হলো।

চিত্ৰঃ ব্যব ১/২ (খ) পাঞ্চিং এর পর

Content added By

লে-আউট ওয়ার্কপিস আটকানো (১.৫)

137
137
  •  জবটির গুরুত্ব বিবেচনা করে ভাইসের হাতল ঘুরিয়ে ভাইসের চলনশীল 'জ' (Jaw) ফাঁক করতে হবে। 
  •  উক্ত কাকের মধ্যে অৰ সমতলভাবে রেখে ভাইসের হাতলে চাপ নিয়ে জব শক্তভাবে আটকাতে হবে।
  •  ভাইদের হাতলের সাথে অতিরিক্ত পাইপ লাগিয়ে বেশি চাপ দিতে চেষ্টা করা উচিত নয়, এতে ভাইস নষ্ট হতে পারে।

এভাবে সঠিকভাবে লে-আউট প্রস্তত করা হলো।

Content added By

হ্যাক-ল ফ্রেম ও ব্লেড নির্বাচন (১.৬)

122
122
  • হ্যাক-স ব্রেড নির্বাচন করতে হলে লক্ষ্য করতে হবে, যে স্থান কাটা হচ্ছে সে স্থানের উপর কমপক্ষে হ্যাক-স ব্লেডের তিনটি দাঁত বেন অবস্থান করতে পারে, নতুবা ব্রেড ভাঙার আশঙ্কা খুব বেশি থাকে।
  • কী ধাতু কাটা হচ্ছে ব্রেড নির্বাচনের সময় তা বিবেচনা করতে হবে। ব্রেন অনুযায়ী ব্যাকস ব্রেড ও ফ্রেম নির্বাচন করতে হবে। যেমন: 
ধাতুর নাম/মনের নামব্রেডের তে পিচ (মিলিমিটার)এতি ইঞ্চিতে দাঁত সংখ্যা 
মাইন্ড স্টিল, কাল্ট আয়রন ইত্যাদি১.৮ ১৪ 
টুল টিপ, হাই কার্বনটিস, হাইস্পিড স্টিল ইত্যাদি১.৮ ১৮ 
ব্রাশ, কপার, রট আয়রন ইত্যাদি১.০০ ২৪ 
কচুইট এবং পাতলা পাইপ, পাতলা পিট ইতানি০.৪ ৩২ 

 

Content added By

লে-আউটকৃত ওয়ার্কপিস আটকানো (১.৭)

115
115
  • জবের আকৃতি অনুসারে জবকে তাইলে আটকাতে হবে।
  • নিচের চিত্রগুলোতে বিভিন্ন আকৃতির অবকে তাইলে আটকানোর কৌশল দেখানো হলো-

চিত্র: ব্যব ১/৩ জনের আকৃতি অনুসারে ডাইসে আটকানো পদ্ধতি

  • পাইপে টাইট দিতে হবে। 
  • হাতুড়ি দিয়ে পাইপ টাইট দেওয়া উচিত নয়, হাতের টাইটই যথেষ্ট। 

চিত্ৰ: ব্যব ১/৪ হাতুড়ি দ্বারা আঘাত করে কার্যবস্তু আটকানো নিষিদ্ধ 

Content added By

ওয়ার্কপিস কাটিং সম্পন্নকরণ (১.৮)

123
123
  • বাম হাতের বুড়া আঙুল সাপের পার্শ্বে রেখে গ্রিক পাঞ্চ দিয়ে লাইন বরাবর মার্কিং করা অংশ সামান্য পরিমাণ কাটতে হবে
  • ব্লেড চিনা মনে হলে উইং নাটে টাইট দিতে হবে।
  •  ব্লেড ধার নেই এমন মনে হলে পূর্বাচ্চন ব্লেড খুলে নতুন ব্লেড লাগাতে হবে।
  •  ডান হাতে হ্যাকস এর হ্যান্ডেল এবং বাম হাতে ফ্রেমের অগ্রভাগ ধরে শাক মার্কিং ল্যাবের ধাতু কটিতে শুরু করতে হবে।
  • দেহের অবস্থান সোজা হবে তবে হ্যাকস এর ডালে ডালে দেহের সামনের অংশ সামান্য গোলাতে হবে।
  •  হ্যাক-স সামনের দিকে যাওয়ার সময় কাটে কিন্তু পিছনের দিকে আসার সময় কাটে না। তাই সামনের  দিকে যাওয়ার সময় মৃদু চাপ নিতে হবে এবং পিছনের দিকে আসার সময় হ্যাকস এর মাথাকে সামান্য উঁচু করে টেনে নিতে হবে। 
  • ধাতু কাটার সময় হ্যাকস ফ্রেমে খুব জোরে চাপ দেওয়া যাবে না। বেশি চাপ দিলে ব্লেড ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। 
  • পুরাতন ব্লেড নিয়ে খানিক দুর কাটার পর নতুন ব্লেড ব্যবহার না করা ভালো, কারণ এতে ব্লেড ভাঙার আশঙ্কা খুব বেশি এবং ব্লেড ভাঙার সময় অনেক ক্ষেত্রে হাত জখম হয়। সুতরাং কর্তনের মধ্যবর্তী সময়ে ব্লেড বদলানোর চেষ্টা করা উচিত নয়।
  • চিহ্নিত অংশ টুকু যথাক্রমে হ্যাক - চিজেল ও ফাইল ব্যবহার করে কেটে অপসারণ করতে হবে। 
Content added By

কাটার সময় ও কাটার পরে পরীক্ষা (১.৯)

175
175
  • কাটার সময় লক্ষ্য করতে হবে যে, চিহ্নিত রেখা বরাবর কাটা হচ্ছে কিনা।
  • কর্তনের পর দেখতে হবে কাটা গ্রামগুলি খাড়া কিনা?
  •  সন্নিহিত তলের কোণগুলি ৯০° হয়েছে কিনা? ট্রাইস্কয়ার দিয়ে তা পরীক্ষা করতে হবে।

চিত্র : ব্যব ১/৫ স্ট্রাইস্কয়ারের সাহায্যে দুটি তল ৯০° অবস্থানে আছে কিনা তা পরীক্ষা করা হচ্ছে 

Content added By

ফাইলিং যন্ত্রপাতি নির্বাচন (১.১০)

158
158

ফাইল নির্বাচনের সময় নিচের বিষয়গুলি বিবেচনা করতে হবে-

১) কতখানি ধাতু ক্ষয় করতে হবে?

২) জবের আকৃতি কেমন হবে? 

৩) জবের ফিনিসিং কেমন হবে?

  • এই কাজের জন্য ভাবল কটি ফ্লাট ফাইল ব্যবহার করতে হবে।
  • ফাইলিং-এর জন্য যে সকল যন্ত্রপাতির প্রয়োজন। ফাইল, স্টিল রুল, ফাইবার, টেবিল ভাইস, ওয়ার ব্রাশ।
Content added By

লে-আউটকৃত ওয়ার্কপিস আটকানো (১.১১)

142
142
  • জবটির পুরুত্ব বিবেচনা করে ভাইসের হাতল ঘুরিয়ে ভাইসের চলনশীল 'জ' (Jaw) ফাঁক করতে হবে।
  •  উক্ত ফাঁকের মধ্যে জব সমতলভাবে রেখে ভাইসের হাতলে চাপ নিয়ে জব শক্তভাবে আটকাতে হবে।
  • ভাইসের হাতলের সাথে অতিরিক্ত পাইপ লাগিয়ে বেশি চাপ নিতে চেষ্টা করা উচিত নয়, এতে ভাইস নষ্ট হতে পারে।
Content added By

ফাইলিং সম্পন্ন (১.১২)

159
159
  • ওয়ার্কিং বেঞ্চ হতে ৪৫° কোণ করে দাঁড়াতে হবে।
  • ফাইল ব্যবহারের পূর্বে টেবিলে এর বাটটি ধাক্কা দিয়ে নিতে হবে। 
  • যাতে বাটটি ফাইলে শক্তভাবে আটকে থাকে।
  •  ডান হাতে ফাইল হাতল ধরে এবং বাম হাত ফাইলের মাথায় রাখতে হবে ।
  • ধাতু ফাইলিং সম্পন্ন করা  চিত্র : ১.২ (খ) এর ফার্ম লাইন (-) বরাবর ফাইলিং করে গোল অংশ সৃষ্টি করতে হবে।

চিত্রঃ ব্যব ১/৬ ফাইলিং করার পদ্ধতি 

Content added || updated By

কী পরিমাণ ধাতু ক্ষয় করতে হবে তার উপর ফাইলিং করার কৌশল নির্ভর করে (১.১৩)

124
124
  • সাধারণ কাজ করার জন্য ফাইলিং কর ।
  • কাজ শেষে ফিনিসিং দেওয়ার জন্য ফাইলিং কর ।
  •  দীর্ঘ উপরিভাগের উপর হতে কম ধাতু ক্ষয় করার জন্য ফাইলিং কর।
  • জব যেভাবে মার্কিং করা আছে সেই অনুসারে ফাইলিং সম্পন্ন কর ।
Content added By

ফাইলিং এর সময় ও পরে নিরীক্ষা (১.১৪)

157
157

চিত্র : ব্যব ১/৭ ডাবল ‘ভি’ 

  • তোমার তৈরি অব প্রদত্ত চিত্রের মতো কিনা? এবং ফাইলিংকৃত তল মসৃণ কিনা।
  • দুই খান সমান হয়েছে কিনা?
  • উচ্চতা ৬ মিলিমিটার আছে কিনা ?

ধাতু ফাইলিং করে নির্দিষ্ট মাপের 'ভি' তৈরি করতে যে বিষয়গুলো নিরীক্ষণ করতে হবে । জব মার্কিং করার সময় ক্রাইবার দাগ যেন সরল রেখা হয়। সেন্টার পাঞ্চকে হাতুড়ি দিয়ে সাবধানে আঘাত করতে হবে। জনটি তাইসে আটকানোর সময় হাতুড়ি ব্যবহার না করে হাত নিয়ে ভালোমতো টাইট নিতে হবে। কারণ ভাইসের হাতলে হাতড়ি দিয়ে বেশি আঘাত করলে ভাইস নষ্ট হতে পারে। মার্কিং অনুসারে সাবধানে ফাইল করতে হবে।

Content added By

অনুশীলনী-১

151
151

১) লে-আউট টুলস বলতে কী বোঝায়?

২) কম্বিনেশন স্কয়ার দ্বারা কী কাজ করা হয়?

৩) ডিভাইডার ও ক্যালিপার্সের কাজের বিভেদ উল্লেখ কর ।

৪) হ্যাকস এর বিভিন্ন অংশের নাম দেখ ।

৫) হ্যাকস ব্লেডের টিপিআই বলতে কী বোঝায়?

৬) কী কী কারণে হ্যাকস ব্লেড ভেঙে যায়?

৭) ফাইলিং বলতে কী বোঝায়?

৮) কয়েক প্রকার ফাইলের নাম লেখ।

৯) ফাইল নির্বাচন পদ্ধতি লেখ ।

Content added By

পোর্টেবল ড্রিলের সাহায্যে ড্রিলিং (ব্যবহারিক-২ (ক))

124
124
Please, contribute by adding content to পোর্টেবল ড্রিলের সাহায্যে ড্রিলিং.
Content

ড্রিলিং যন্ত্রপাতি নির্বাচন (২.১)

138
138

১) পোর্টেবল ড্রিল,

২) ভাইস,

৩) ড্রিল বিট,

৪) সেন্টার পাঞ্চ,

৫) হ্যামার,

৬) স্টিল রুল,

৭) স্ক্রাইবার । 

Content added By

ওয়ার্কপিস প্রস্তুতকরণ (২.২)

133
133
  • ওয়ার্কপিস লে-আউট করার সাজ-সরঞ্জাম ক্রাইবার, সেন্টার পাঞ্চ, স্টিল রুল ও হাতুড়ি নিতে হবে।
  •  লে-আউট করতে প্রথমে স্টিল রুল দিয়ে মাপ নিয়ে ক্রাইবারের দাগ দিতে হবে ।
  •  ড্রয়িং অনুসারে সেন্টার পাঞ্চ দিয়ে সঠিকভাবে পাঞ্চিং করতে হবে । 
Content added By

ওয়ার্কপিস আটকানো (২.৩)

127
127

হ্যান্ড ডিলিং-এর জন্য সুবিধাজনক মাউন্টিং ডিভাইস নির্বাচন করে ওয়ার্কপিস স্থাপন ও আবদ্ধ করতে হবে । সাধারণত বহনযোগ্য মাউন্টিং যেমন- সি – ক্ল্যাম্প, হ্যান্ড ভাইস অথবা অন্য কোনো নির্ভরযোগ্য উপায়ে দৃঢ়ভাবে ওয়ার্কপিস অবশ্যই আবদ্ধ করতে হবে । 

Content added By

ড্রিল বিট সেটকরণ (২.৪)

138
138
  • ছিল বিটের আকার সাধারণত তার শ্যাস্ত্রে চিহ্নিত থাকে। তবে অতি ছোট ব্যাসের ছিল বিটের আকার চিহ্নিত থাকে না । 
  •  অতি ছোট ব্যাসের আকার চিহ্নিত থাকে না বলে এটির আকার মেপে বের করতে হয়।
  •  ছিল বিটের আকার মাপার জন্য প্রধানত ছিল গেজ ব্যবহৃত হয়।
  •  ড্রিল বিটকে ড্রিলের চাক (Chuck) ঘুরিয়ে মেশিনে সেট করতে হবে।
  •  ঢাক মুরানো জন্য ডাক কি (Chuck key) ব্যবহার করতে হবে।

চিত্রঃ ব্যব ২/১ ড্রিলপেজ 

Content added || updated By

ড্রিলিং সম্পন্নকরণ (২.৫)

157
157
  • যে স্থানে ড্রিল করতে হবে সেখানে সেন্টার পাঞ্চ দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে ।
  • রেস্ট-এর উপর বা হাত দিয়ে চাপ নিতে হবে।
  • ডান হাত নিয়ে হ্যাভেল সুরাতে হবে।
  •  আস্তে আস্তে চাপ দিতে হবে।
  • থেমে থেমে ড্রিল করে কাজ শেষ করতে হবে।

চিত্রঃ ব্যব ২/২ পোর্টেবল ড্রিল মেশিন 

  •  হ্যান্ড ড্রিলিং খাড়াভাবে এবং অনুভূমিক অবস্থায় করা যায়।
  • যে সমস্ত কাজে সুবিধাজনকভাবে স্ট্যান্ডার্ড ড্রিলিং মেশিনে ড্রিল করা যায় না ডা ড্রিল করতে পোর্টেবল ড্রিলিং মেশিন ব্যবহৃত হয়।
  • এ মেশিন ১২.৭ মিমি পর্যন্ত ছিল বিট ধারণ করতে সক্ষম। হ্যান্ড ফিডিং এবং সাম্যাবস্থা বজার রেখে ড্রিলিং সম্পন্ন করতে হবে।

চিত্র : ব্যব ২/৩ অনুভূমিক অবস্থানে কার্যবস্তুর ওপর ড্রিল করা 

Content added By

ড্রিলিং এর সময় ও পরে পরীক্ষাকরণ (২.৬)

129
129

১) ড্রিলিং মেশিনের সেফটি ডিভাইসগুলোর যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। 

  •  ড্রিলিং শুরু করার পূর্বে একটি কেন্দ্রে অবশ্যই পাঞ্চ দিয়ে মার্ক করে নিতে হবে।
  • সাধারণত ত্রুটিপূর্ণভাবে গ্রাইন্ডিং করা সরু ড্রিলগুলো কেন্দ্রের বাইরে চলে যায়, কাজেই ড্রিল বিট সঠিকভাবে গ্রাইন্ডিং করে নিতে হবে।
  • ড্রিল বিট সঠিকভাবে গ্রাইন্ডিং করতে ছিল শ্যাপেনিং ডিভাইস ব্যবহার করা উচিত। ড্রিল বিট ধার দিতে এবং দুর্ঘটনা এড়াতে একে অবশ্যই ক্যাম্পিং করে নিতে হবে।
Content added By

ত্রুটিপূর্ণভাবে গ্রাইন্ডিং এর কারণে - (২.৭)

136
136
  •  পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল অসমান হবে।
  • একটি লিপ অপরটি অপেক্ষা বৃহত্তম হবে।
  •  ড্রিল করা গর্ভের ব্যাস বড় হবে।
  • পয়েন্ট অ্যাঙ্গেল অবশ্যই পরেন্ট অ্যাঙ্গেল গেজ নিয়ে পরীক্ষা করতে হবে।
  • যদি গর্ত কেন্দ্র হতে সরে যায় তবে প্রথমেই একে সংশোধন করে নিতে হবে। এতে গতটিকে যে দিকে সারাতে হবে সে দিকে একটি এড কেটে নেওয়া হয় ।
  • প্রয়োজনে বড় ড্রিল গর্ভ করার পূর্বে ছোট ড্রিল করে নিতে হয় ।
  • লম্বা চুল ঢিলা পোশাক সম্পর্কে অপারেটরকে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে ।
  • ড্রিল বিটটি যাতে নষ্ট না হয় সে জন্য সঠিক ছিদ্রসম্পন্ন কাঠের ব্লকে সংরক্ষণ রাখা উচিত।

চিত্র : ব্যব ২/৪ কাঠের ব্লকের ছিদ্রের মধ্যে ড্রিল বিট রাখার কৌশল

Content added By

প্রশ্নমালা-২(ক)

145
145

১) পোর্টেবল ড্রিল বলতে কী বোঝায় ?

২) ড্রিল বিটের আকার বা সাইজ কোথায় লেখা থাকে?

৩) ড্রিল গেজ দিয়ে কী মাপা হয় ?

Content added By

পোর্টেবল ড্রিলের সাহায্যে ড্রিলিং (ব্যবহারিক-২ (খ))

215
215
Please, contribute by adding content to পোর্টেবল ড্রিলের সাহায্যে ড্রিলিং.
Content

পেডেস্টাল ড্রিলিং যন্ত্রপাতি নির্বাচন (২.১)

142
142

১) পেডেস্টাল ড্রিল (Pedestal Drill)

২) ওয়ার্ক পিস ক্যাম্পিং ভাইস (Vice)

৩) ড্রিল বিট (টুইস্ট ড্রিল) (Drill Bit)

৪) ড্রিল চাক (Drill chuck )

৫) চাক কি (Chuck key) 

৬) স্লিভ (Sleeve)

৭) ড্রিল ড্রিফ্ট (Drill Drift)

৮) অয়েল ক্যান (Oil Can

৯) সেন্টার পাঞ্চ (Center Punch)

১০) হ্যামার (Hammer ) 

১১) স্ক্রাইবার (Scriber)

১২) ট্রাইস্কয়ার (Trysquare)

Content added By

ওয়ার্কপিস প্রস্তুতকরণ (২.২)

153
153
  • লে-আউট করার জন্য ওয়ার্ক সারফেস হিসাবে ব্যবহার করতে সারফেস প্লেট প্রয়োজন। কার্যবস্তু সারফেস প্লেটের উপর বসাতে হবে ।
  • কার্যবস্তুর তলে সোজা কিনারার সাথে সমকোণে মার্কিং লাইন টানতে, তার তল সমতল ও পার্শ্ব বর্গাকার কি না তা পরীক্ষা করতে ট্রাইস্কয়ার প্রয়োজন । 
  • ক্রাইবারের সাহায্যে লেয়িং আউট বা মার্কিং কাজের জন্য লাইন টানতে হয় ।
  • লে-আউট বা মার্কিং করা লাইনের উপর যে স্থানে ড্রিল করতে হবে উক্ত স্থানে পাঞ্চের সাহায্যে ক্ষুদ্র গর্ত করতে হয়।
Content added By

ওয়ার্কপিস আটকানো (২.৩)

129
129
  •  ড্রিল ভাইসে ক্ল্যাম্পিং ব্যতিরেকে ড্রিলিং করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ওয়ার্কপিস ও ড্রিল নষ্ট হতে পারে ।

চিত্রঃ ব্যব ২/৫ ওয়ার্কপিস আটকানো পদ্ধতি  

Content added By

ড্রিল বিট সেটকরণ (২.৪)

145
145

১) ড্রিল চাকের ‘অ’ ও শ্যাঙ্ক এবং মেশিন স্পিডল বোর ডিপমুক্ত করতে হবে। 

২) ছোট সাইজের স্ট্রেইট শ্যাঙ্ক ড্রিল বিটকে সরাসরি ড্রিল চাকে(Chuck) সেট করা হয়। 

৩) ছোট সাইজের টেপার প্যাঙ্ক ছিল হলে একাধিক স্পিড ব্যবহার করা হয় । 

৪) বড় সাইজের টেপার শ্যাঙ্ক ছিল বলে সরাসরি মেশিন স্পিডলে সেট করা হয় 

৫) ড্রিল বিট অপসারণের জন্য ড্রিল ক্লিফট ব্যবহার করা হয়।

চিত্রঃ ব্যব ২/৬ ড্রিল চেক ড্রিল বিট আটকানোর পদ্ধতি  

Content added By

কাটিং স্পিড ও ফিড সেটকরণ (২.৫)

179
179

• বিভিন্ন সাইজের ড্রিল বিটের জন্য বিভিন্ন স্পিন্ডল ব্যবহার অত্যাবশ্যক। স্পিন্ডল স্পিড নির্বাচন করতে ওয়ার্কপিস ম্যাটেরিয়াল ও ড্রিলের ব্যাস বিবেচনা করা হয়। অতঃপর নিচের সূত্রের সাহায্যে মেশিন স্পিন্ডল স্পিড নির্ণয় করা হয়। স্পিন্ডল নির্বাচন করতে ওয়ার্কসপে সংরক্ষিত চার্টও ব্যবহার করা হয়।

ড্রিলিং-এর জন্য কাটিং স্পিড চার্ট :

ওয়ার্কপিস ম্যাটেরিয়াল

কাটিং স্পিড মিটার/মিনিট

হাইস্পিড স্টিলসিমেন্টাইড কার্বাইড
লো কার্বন স্টিল২৫-৫০
মিডিয়াম কার্বন স্টিল২০-৩০
হাই কার্বন স্টিল১৫-২৫ ২০-৩০ 
কাস্ট আয়রন (নরম)২৫-৪০ ৫০-১০০ 
কাস্ট আয়রন (শক্ত)২০-৩০ ৪০-৮০ 
কাস্ট স্টিল২০-৩০ ৩০-৮০ 
ব্রাশ (শক্ত)৭০-১২০ ১০০-১৫০ 
ব্রাশ (নরম), বোঞ্জ৩০-৫০ ৫০-৮০ 
কপার, অ্যালুমিনিয়াম৭০-১১৫ 

 

বিভিন্ন আকারের ড্রিল বিটের জন্য নির্বাচিত ফিড :

ড্রিল বিটের ব্যাস

ফিড/ড্রিল বিটের প্রতি ঘূর্ণনে

৩ মিলিমিটার নিচে০.০২৫ থেকে ০.০৫ মিমি 
৩ থেকে ৬ মিমি০.০৫ থেকে ০.১০ মিমি
৬ থেকে ১২ মিমি০.১০ থেকে ০.১৮ মিমি
১২ থেকে ২৫ মিমি০.১৮ থেকে ০.৩৮ মিমি
২৫ মিমি হতে ঊর্ধ্বে০.৩৮ থেকে ০.৬৩ মিমি

 

Content added By

ড্রিলিং সম্পন্নকরণ (২.৬)

117
117

১) ড্রিলিং-এর সময় নিরাপত্তার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়।

২) ড্রিল মেশিনটি কার্য উপযোগী কিনা পরীক্ষা করতে হবে ।

৩) মেশিন চালু করতে হবে ।

৪) হ্যান্ড হুইনের হাতল ঘুরিয়ে ফিড দিতে হবে।

৫) কুল্যান্ট পদ্ধতি চালু করতে হবে।

৬) মাঝে মাঝে ড্রিল বিট উঠিয়ে চিপ অপসারণ করতে হবে।

৭) পর্যায়ক্রমে ড্রিলিং সম্পন্ন করতে হবে ।

৮) ড্রিলিং পরীক্ষা করতে হবে ।

 

ড্রিলিং-এর সময় কুল্যান্ট ব্যবহার :

  • ড্রিলিং করতে ফ্রিকশনের ফলে ড্রিল বিট গরম হয়ে যায়। ফলে ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল ও কাটিং এজ (EDGE) নষ্ট ও বিট ভেঙে যেতে পারে। তাপ উৎপাদনের ফলে কার্যবস্তুর গুণের পরিবর্তন হয়ে যায়। ড্রিল বিট এবং কার্যবস্তু ঠান্ডা রাখতে কুল্যান্ট একান্ত প্রয়োজন। এ কারণে ড্রিলিং মেশিনে কুল্যান্ট পদ্ধতি সেট করে নেওয়া হয় । 
Content added By

ড্রিলিং-এর সময় ও পরে পরীক্ষা করা (২.৭)

177
177

ড্রিলিং-এর সময় সঠিকভাবে ড্রিলিং হচ্ছে কি না পরীক্ষা করা দরকার। ফ্রিকশনের করণে বিটের কাটিং এজ পুড়ে যায় । এতে ড্রিলের আকার পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই ড্রিলিং করার এবং পরে ড্রিল বিটের কাটিং এজ এবং ড্রিলের সাইজ পরীক্ষা করে দেখতে হবে।

Content added By

প্রশ্নমালা -২ (খ)

145
145

১) ড্রিল চাকের কাজ কী?

২) ড্রিল-ড্রিফট (DRILL DRIFT)-এর কাজ কী?

৩) ড্রিলিং-এর সময় কুল্যান্ট ব্যবহার করা হয় কেন?

Content added By

পোর্টেবল/বেঞ্জ গ্রাইন্ডারের সাহায্যে মেটাল গ্রাইন্ডিং (ব্যবহারিক-৩)

150
150
Please, contribute by adding content to পোর্টেবল/বেঞ্জ গ্রাইন্ডারের সাহায্যে মেটাল গ্রাইন্ডিং.
Content

গ্রাইন্ডিং হুইল নির্বাচন (৩.১)

216
216

১) মেটালের প্রকারের উপর ভিত্তি করে গ্রাইন্ডিং হুইল নির্বাচন করতে হবে।

২) যে মেশিনে গ্রাইন্ডিং হবে তা কোন ধরনের । 

৩) গ্রাইন্ডিং হুইলের আকার অর্থাৎ পরিধির পরিমাণ কতটুকু ।

৪) মেটাল ক্ষয়ের হার ও মসৃণতার আলোকে প্রাইন্ডিং হুইল নির্বাচন কর। 

Content added By

ওয়ার্কপিস প্রস্তুতি (৩.২)

133
133
  • গ্রাইন্ডিং মেশিনের গ্রাইন্ডিং হুইলের মধ্যে ওয়ার্কপিসটি ঠিকভাবে ধরে গ্রাইন্ডিং করতে পারে, সেভাবে ওয়ার্কপিস প্রস্তুত কর।
  • ওয়ার্কপিসটি গ্রাইন্ডিং করে ক্ষয় করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল অনুযায়ী লে-আউটসহ মার্কিং কর ।
  • নিচে গ্রাইন্ডিং-এর জন্য লেদ টুল বিটের জন্য নির্ধারিত বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল টেবিল প্রদত্ত হলো :
ওয়ার্কপিস ম্যাটেরিয়ালফ্রন্ট ক্লিয়ারেন্স অ্যাঙ্গেল ডিগ্রিফ্রন্ট এজ কাটিং অ্যাঙ্গেল (ডিগ্রি)সাইড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল (ডিগ্রি)সাইড কাটিং এজ অ্যাঙ্গেল (ডিগ্রি) সাইড রেক অ্যাঙ্গেল (ডিগ্রি)টপ/ব্যাঞ্চ রেক অ্যাঙ্গেল (ডিগ্রি)
স্টিল, শক্ত৮-১৫ ১৫-৩০৬-১০ ১০-২০৬- ১৫১০-১৫
স্টিল, শক্ত৮৭-১৫ ১৫-৩০৬-১০১০-২০৬- ১৫১০-১৫
কাস্ট আয়রন, নরম৮-১৫ ১৫-৩০৬-১০১০-২০৬- ১৫৩-৬
কাস্ট আয়রন, শক্ত ৮-১৫১৫-৩০৬-১০১০-২০৬- ১৫৩-৮
ব্রাশ, ব্রোঞ্জ৮-১৫১৫-৩০৬-১০১০-২০৬- ১৫৩-১০ 
কপার ৮-১৫১৫-৩০৬-১০১০-২০৬- ১৫১০-১৫
অ্যালুমিনিয়াম৮-১৫১৫-৩০৬-১০১০-২০৬- ১৫১০-১৫

 

Content added By

ওয়ার্কপিস আটকানো (৩.৩)

137
137
  • ওয়ার্কপিস গ্রাইন্ডিং হুইল বরাবর সুবিধাজনক স্থানে আটকাতে হবে ।
  • ওয়ার্কপিসটি হাতে ধরার জন্য হ্যান্ড গ্লাভস ব্যবহার করে ধরতে হবে এবং চোখে গগলস পরতে হবে।
Content added By

গ্রাইন্ডিং সম্পন্ন (৩.৪)

131
131

গ্রাইডিং মেশিন গ্রাইন্ডিং করার পূর্বে দেখে নিতে হবে যে, তার সাথে আনুষঙ্গিক ফিটিং সংযুক্ত আছে কিনা । যেমন- টুলরেস্ট, হুইল গার্ডার, সেফটি গ্লাস গার্ডার ইত্যাদি। এগুলো না থাকলে গ্রাইন্ডিং-এর সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে । গ্রাইন্ডিং-এর সময় চোখে সেফটি গগল্স ও হাতে হ্যান্ড গ্লাভস লাগানো উচিত। যে কার্যবস্তু গ্রাইন্ডিং করতে হবে তার কাটিং অবস্থা বুঝতে হবে। এরপর মেশিন চালু করে নিতে হবে। যেহেতু গ্রাইন্ডিং হুইল-এর ঘূর্ণন গতি খুব বেশি, প্রথমে কার্যবস্তুকে টুলরেস্টের উপর স্থাপন করে ধীরে ধীরে হুইলের সংস্পর্শে আনতে হবে । প্রথমে ধীরে ধীরে গ্রাইন্ডিং করে হাতের ব্যালেন্সে ঠিক করে নিতে হবে। প্রতিটি কাজ ভালো করে সম্পন্ন করতে নিয়মিত অভ্যাসের প্রয়োজন। গ্রাইন্ডিং-এর ক্ষেত্রে যেহেতু হাতের ব্যালেন্স ক্ষয় করা হয়, সেজন্য নিয়মিত অভ্যাস প্রধান বিবেচ্য বিষয়।

চিত্রঃ ব্যব ৩/১ গ্রাইন্ডিং হুইলে জব ধরার কৌশল  

Content added || updated By

গ্রাইন্ডিং-এর সময় ও পরে পরীক্ষা (৩.৫)

171
171

গ্রাইন্ডিং-এ বেশি দুর্ঘটনা হয়, হাত হতে কার্যবস্তু ছিটকে গিয়ে বা খসে গিয়ে। তাই প্রাইন্ডিং-এর সময় অবশ্যই কার্যবস্তুকে ভালোভাবে ধরে টুলরেস্ট স্থাপনপূর্বক গ্রাইন্ডিং করা উচিত। এছাড়া জবটি সঠিকভাবে গ্রাইন্ডিং সম্পন্ন হয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে। গ্রাইন্ডিং-এর সময় মেটালের ক্ষুদ্র কণা বেগে ছিটকে আসে সেজন্য চোখ রক্ষার জন্য অবশ্যই সেফটি গগলস
পরতে হবে এবং ক্রমান্বয়ে ফিড দিতে হবে ।

Content added By

গ্রাইন্ডিং-এ সতর্কতা (৩.৬)

170
170

Grinding মেশিনে কাজ করার সময় নিম্নবর্ণিত সতর্কতাগুলি অবশ্যই পালনীয়

১. পরিশ্রান্ত অবস্থায় Grinding মেশিন চালানো উচিৎ নয়।

২. টিলা কাপড় পরিধান করে প্রাইভিং করা যাবে না।

৩. হ্যান্ড গ্লোভস পরিধান করতে হবে। 

৪. মেশিনের সেফটি ডিভাইস ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।

৫. সেফটি গগলস পরি ধান করতে হবে 

৬. লম্বা চুল থাকলে বেঁধে নিতে হবে।

৭. পোর্টেবল গ্রাইন্ডিং মেশিনের ক্ষেত্রে প্লাগ সকেটের মধ্যে প্রবেশ করানোর পূর্বেই মেশিনের সুইচ অফ করে নিতে হবে।

৮. সঠিক গ্রাইন্ডিং হইল নির্বাচন করতে হবে।

৯. গ্রাইন্ডিং হইলের সঠিক R.P.M নির্বাচন করতে হবে।

১০. ধাতু কাটার পরিমান অনুসারে গ্রাইন্ডিং হইল নির্বাচন করতে হবে। 

১১. গ্রাইন্ডিং হইল পূর্নঘূর্নন (Full Speed) শুরু হলে গ্রাইন্ডিং কাজ শুরু করতে হবে।

১২. বেঞ্চ গ্রাইন্ডিং এর ক্ষেত্রে সর্বদাই টুল রেস্টের উপর ওয়ার্কপিস রেখে কাজ করতে হবে। 

১৩. গ্রাইন্ডিং করার সময় সৃষ্ট স্ফুলিঙ্গ (Spark) যাতে বস্তুর সংস্পর্শে না আসে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

Content added By

প্রশ্নমালা-৩

120
120

১) পোর্টেবল গ্রাইন্ডার মেশিন বলতে কী বোঝায় ?

২) গ্রাইন্ডিং করা হয় কেন?

৩) প্রাইন্ডিং মেশিনের প্রধান অংশগুলোর নাম লেখ। 

Content added By

সোল্ডারিং করার দক্ষতা অর্জন (ব্যবহারিক-৪)

372
372
Please, contribute by adding content to সোল্ডারিং করার দক্ষতা অর্জন.
Content

ওয়ার্কপিস প্রস্তুত (৪.১)

149
149

ওয়ার্কপিস পুরোপুরিভাবে পরিষ্কার করা সোল্ডারিং-এর পূর্বশর্ত। ওয়ার্কপিসের উপরিভাগের যে কোনো অপ্রয়োজনীয় পদার্থ যেমন ময়লা, গ্রিজ ইত্যাদি সোল্ডারিং-এ বাধা প্রদান করে, তাই যান্ত্রিক বা রাসায়নিকভাবে উপর তল পরিষ্কার করা হয়। যেমন-

১) ফাইন গ্রেড ওয়ার ব্রাশ দিয়ে

২) ফাইল দিয়ে

৩) ওয়ার ব্রাশ বা ক্রেপার দিয়ে এবং গরম পানি দিয়ে ওয়ার্কপিস পরিষ্কার করে।

চিত্র : ব্যব: ৪/১ দিয়ে ওয়ার্কপিস পরিষ্কারকরণ 

Content added By

সোন্ডার নির্বাচন (৪.২)

155
155

সোল্ডারিং প্রণালিকে প্রধানত দুই শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় ।

১) সফট সোল্ডারিং বা নরম ঝালাই (Soft Soldering ) 

২) হার্ড সোল্ডারিং বা শক্ত ঝালাই (Hard Soldering )

সফট সোল্ডারিং ও হার্ড সোল্ডারিং-এর অন্তর্বর্তী আরেকটি শ্রেণির সোল্ডারিং-এর প্রচলন আছে, এর নাম সিলভার সোন্ডারিং বা রুপার ঝালাই (Silver Soldering )

১) সফট সোল্ডারিং (Soft Soldering ) : সাধারণত তিন ভাগ টিন (60%) এবং দুই ভাগ দস্তা (40% ) মিশিয়ে সফট সোন্ডার তৈরি করা হয় ।

২) হার্ড সোল্ডারিং (Hard Soldering) হার্ড বা শক্ত সোল্ডারকে অনেক সময় স্পেলটার (Spelter) বলে। চার ভাগ ভাষা এবং এক ভাগ দত্তা মিশিয়ে হার্ড সোল্ডার তৈরি করা হয়। এ সোল্ডারিং-এর জোড়া বা সংযোগ বেশি মজবুত এবং স্থায়ী হয় । 

Content added By

ফ্লাক্স নির্বাচন (৪.৩)

124
124

সোল্ডারিং করার সময় বিভিন্ন ধাতুতে এবং বিভিন্ন প্রণালি অনুসরণ করতে সাধারণত নিম্নলিখিত ফ্লাক্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে ।

ধাতু প্রণালিফ্লাক্স
১) সোল্ডারিং ( Soldering)রেজিন, রেজিন + অ্যালকোহল, জিঙ্ক ক্লোরাইড, অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড।
2) ব্রেজিং (Brazing)বোরাক্স (Borax) বা সোহগা
৩) আয়রন (Iron)সোহগা বা বোরাক্স
৪) টিন শিট (Tin Sheet)হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (Hydrochloric Acid) (মোম + রেজিন+জিঙ্ক+ক্লোরাইড+অ্যালকোহল)।
৫) তামা ও পিতল (Copper and Brass)রেজিন+জিঙ্ক+ক্লোরাইড ।
৬) সিসা ও টিন (Lead and Tin)রেজিন (Resin) অথবা তিষির তেল ।
৭) লিড (Lead)রেজিন (Resin) ভেসলিন (Vasline)।
৮) স্টেইনলেস স্টিল (Stainless Steel) ফসফরিক অ্যাসিড (Phosphoric Acid)
৯) অ্যালুমিনিয়াম (Aluminium)প্যারাফিন (Paraffin ) জিঙ্ক ক্লোরাইড (Zinc chloride) বোরাক্স (Borax)
১০) গ্যালভানাইজড শিট (Galvanized Sheet)হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড (Hydrochloric Acid)
১১) কপার (Copper) ও এর মিশ্র ধাতু ইস্পাত, ঢালাই লোহা, পেটা মেটাল (Wrought Iron) জিঙ্ক ক্লোরাইড (Zinc Chloride) 

 

Content added By

সোল্ডারিং শুরুর সঠিক সময় নিরূপণ (৪.৪)

124
124
  • গ্যাস এয়ার টর্চ রো পাইপ প্রজ্বালন করে সোল্ডারিং করা যায়। অ্যাসিটিলিন গ্যাস শুধু জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং ভালভ (Valve) এর সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। অনেক সময় প্রোপেন গ্যাসও জ্বালানি হিসেবে ভিন্ন ধরনের রেগুলেটর দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করে ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের ব্লো পাইপগুলো টর্চ বদল করে ব্যবহার করা যায়। 
  • স্পার্ক লাইটার দিয়ে প্রজ্বালন করে শিখা তৈরি করে সোল্ডারিং করা যায় ।

সোচ্চারিং-এর সঠিক সময় নিম্নরূপ :

  • সোল্ডারিং আয়রনের টিপ (মাথা) পরিষ্কার করতে হবে। ফাইল যা প্রম্যারি ফ্লাজ (Emery cloth ) দিয়ে পরিষ্কার করা যায়। প্রয়োজনবোধে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড নিয়ে সোল্ডারিং আয়রন পরিষ্কার করা হয়।
  • পরিষ্কার সোল্ডারিং আমরনকে উত্তপ্ত করতে হবে।
  •  সোল্ডারিং আরয়নকে উত্তপ্ত করার জন্য ব্লো টর্চ বা গ্যাসের অগ্নিশিখার উপর সোফারিং আরয়ন টিপ স্থাপন করতে হবে।
  • যদি সোল্ডারিং আয়রন বিদ্যুতাদিত হয়, তবে বৈদ্যুতিক শক্তি দিয়ে উত্তপ্ত করতে হবে।
Content added By

সোল্ডারিং সম্পন্ন (৪.৫)

144
144
  • শক্ত ও সিলভার সোল্ডারিং-এর জন্য সিলভার সোল্ডার ব্যবহার করতে হবে। 
  • জোড়া দেওয়ার স্থান এবং সোল্ডারিং আয়রনের সম্মুখভাগ রাক্স দিয়ে অল্প পরিমাণে ভিজিয়ে দিতে হবে ।
  • সোল্ডারিং আয়রন টিলের উপর সোচ্চার গলিয়ে ঘোড়ার প্রয়োগ করতে হবে।
  • সোচ্চার আয়রন ধীরে ধীরে সোল্ডারিং পরেন্ট সরিয়ে সকল স্থানে দিতে হবে যেন সোল্ডারিং পরেন্ট যাতে সোচ্চারের গলনাঙ্ক তাপমাত্রায় আসে ।

চিত্রঃ ব্যব ৪/৩ সোল্ডারিং প্রক্রিয়া 

Content added By

সোল্ডারিং-এর সময় ও পরে পরীক্ষাকরণ (৪.৬)

140
140
  • সোল্ডারিং করার পর এর বিড (Bead) চওড়া ও উচ্চতা সমান হলো কিনা দেখতে হবে ।
  • ফাটল আছে কিনা পরীক্ষা করতে হবে। প্রয়োজনে হাতুড়ি দিয়ে হালকাভাবে আঘাত করে পরীক্ষা করতে হবে।
  • শব্দ পরীক্ষা দিয়েও টেস্ট (Test) করা যেতে পারে । 
Content added By

প্রশ্নমালা-৪

136
136
  • সোল্ডারিং বলতে কী বোঝায় ?
  • হার্ড সোল্ডারে (Hard Solder) তামা ও দস্তার ভাগ কত? 
  • সোল্ডারিং আয়রনের কাজ কী?
Content added By

স্পট ওয়েন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন (ব্যবহারিক-৫ (ক))

148
148
Please, contribute by adding content to স্পট ওয়েন্ডিং করার দক্ষতা অর্জন.
Content

ওয়ার্কপিস প্রস্তুত করা (৫.১)

142
142
  • ১.৫মি মি পুরু এবং ৭০ মি মিx ২০০ মিমি দুই খণ্ড কপারশিটের ল্যাপ (lap) জোড়া তৈরি করার জন্যে নিতে হবে ।
  •  ব্রাশ ও এম্যারি পেপার দ্বারা জবটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।
Content added By

স্পট ওয়েল্ডিং যন্ত্রপাতি মেশিনের কার্যাবলি জানা (৫.২)

154
154

রেজিস্ট্যান্স ওয়েল্ডিং-এর যে পদ্ধতিতে কাজের উপর দুইটি পয়েন্টেড (Pointed) বা ডোমড (Domed) ইলেকট্রোড কর্তৃক প্রদত্ত চাপের পর বৈদ্যুতিক প্রবাহ চালনার ফলে সৃষ্ট রেজিস্ট্যান্স হতে তাপের সাহায্যে ওয়েল্ড বা কোলেসিন (Coalascene) তৈরি করে ওয়েল্ডিং করা হয় তাকে স্পর্ট ওয়েল্ডিং বলে। এটি রেজিস্ট্যান্স ওয়েল্ডিং-এর একটি শাখা।

সাধারণত ০.২৫ মিমি - ১৩ মিমি পুরু ধাতব পাতকে ল্যাপ জয়েন্ট করতে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৬ মিমি পুরু পাতের ক্ষেত্রে ইহা বেশি ব্যবহৃত হয় এবং সর্বোচ্চ ৭৬ মিমি পুরু পাতকে ওয়েল্ডিং করা যায়। তামার পাতের ক্ষেত্রে অবশ্য ১ মিমি এর কম পুরু পাতকে এই পদ্ধতিতে ওয়েন্ডিং করা কষ্টকর ।

Content added By

কারেন্ট সেটিং (৫.৩)

145
145

ইলেকট্রোডের ব্যাসের উপর নির্ভর করে কারেন্ট সেট করতে হবে।

Content added By

স্পট ওয়েল্ডিং সময় নির্ধারণ (৫.৪)

181
181

সময় ও কার্যবস্তুর বিবেচনায় স্পর্ট ওয়েন্ডিং প্রক্রিয়া তিনটি স্তরে সম্পন্ন হয় । যেমন-

১। স্কুইজ টাইম (Squeeze Time )
২। ওয়েল্ড টাইম (Weld Time )
৩। হোল্ড টাইম (Hold Time)

 এই তিনটি স্তরে সম্পন্ন অপারেশন-এর পূর্বে অবশ্যই ওয়ার্কপিসের মরিচা, অপদ্রব্য বা কেমিক্যালসহ অন্যান্য তেল মুক্ত করে নিতে হয়

১। স্কুইজ টাইম (Squeeze Time ) : বিদ্যুৎ সরবরাহের পূর্বে ইলেকট্রোডকে ওয়ার্কপিসের সংস্পর্শে আনার সময়কে স্কুইজ টাইম বলে ।

২। ওয়েল্ড টাইম (Weld Time ) : বিদ্যুৎ সরবরাহের সময়কে ওয়েল্ড টাইম (Weld Time) বলে ।

৩। হোল্ড টাইম (Hold Time ) যে সময়ের জন্য বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে অথচ ওয়ার্কপিসের উপর চাপ প্রদান অব্যাহত থাকে তাকে হোল্ড টাইম (Hold Time) বলে।

Content added || updated By

স্পট ওয়েল্ডিং সম্পন্ন করা (৫.৫)

142
142

চিত্রঃ ব্যব ৫/১ ১৬.১ স্পট ওয়েল্ডিং  

Content added By

গ্যাস ব্রেজিং (ব্যবহারিক-৫ (খ))

164
164
Please, contribute by adding content to গ্যাস ব্রেজিং.
Content

ওয়ার্কপিস প্রস্তুতকরণ (৫.৬)

171
171
  • ১.৫ মিমি পুরু এবং ৭০ মিমি x ২০০ মিমি দুই খণ্ড কপারশিটের ল্যাপ (lap) জোড়া তৈরি করার জন্যে নিতে হবে ।
  • ব্রাশ ও এম্যারি পেপার দ্বারা জবটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে ।
Content added By

নজল নির্বাচন করা (৫.৭)

285
285

ফিলার মেটাল নির্বাচন (৫.৮)

143
143

২ মিমি ব্যাস বিশিষ্ট ব্রোঞ্জ ফিলার রঙ নির্বাচন করতে হবে ।

Content added By

ফ্লাক্স নির্বাচন (৫.৯)

142
142
  • বিভিন্ন ধাতু ব্রেজিং করার জন্য ব্রেজিং ফ্লাক্স কৌটাতে পাওয়া যায়। বেছে নাও ।
  • ফ্লাক্সকে ডিস্টিল ওয়াটারের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে এবং ব্রেজিং করার পূর্বে ব্রাশ দ্বারা কার্যস্থানে লাগাতে হবে।
Content added By

গ্যাসের চাপ অ্যাডজাস্ট (৫.১০)

157
157
  • অক্সিজেন সিলিন্ডারের অ্যাডজাস্টিং হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে কার্যচাপ ২-৩ পিএসআইতে অ্যাডজাস্ট কর ।
  •  অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারের অ্যাডজাষ্টিং হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে কার্যচাপ ২-৩ পিএসআইতে অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
Content added By

সঠিক অগ্নিশিখা (Flame) তৈরি (৫.১১)

162
162

কপার ব্রেজিং করার জন্য নিয়ন্ত্রিত কার্বোরাইজিং শিখা তৈরি করতে হবে।

Content added By

ওয়ার্কপিস ট্যাক (৫.১২)

115
115

ওয়ার্কপিস ল্যাপ জোড়ের জন্য একই সমতলে ল্যাপ অবস্থায় রাখ এবং ট্যাক কর ।

Content added By

ব্রেজিং সম্পন্নকরণ (৫.১৩)

134
134
  • ব্লো-পাইপ নজলকে বৃত্তাকারে ঘুরিয়ে জোড়া স্থানে তাপ প্রয়োগ করতে হবে ।
  • ওয়ার্কপিস ঠিক ব্রেজিং টেম্পারেচারে পৌছাবার সাথে সাথে ফিলার রড প্রয়োগ করে সম্পন্ন কর । 
  • ব্রেজিং করার পর শতকরা পাঁচ ভাগ কস্টিক সোডাযুক্ত দ্রবণের মধ্যে ডুবালে, জবের ওপর থেকে লেগে থাকা ফ্রান্স সহজে দূর হয়ে যায় ।

চিত্র : ব্যব: ৫/২ ল্যাপ জোড়

Content added By

ব্রেজিং নিরীক্ষণ (৫.১৪)

137
137
  • সমবিত্ত হলো কিনা দেখতে হবে
  • জোড়টি রো-হোল ও পোরোসিটি মুক্ত কিনা দেখতে হবে ।
  • সঠিক গলন হয়েছে কিনা দেখতে হবে।
Content added By

প্রশ্নমালা-৫ (খ)

121
121

১. কপার ব্রেজিং করতে কোন প্রকার গ্যাস শিখা ব্যবহার করা হয়?

২. কপারকে ব্রেজিং করতে কি ফিলার মেটাল ব্যবহার করা হয়?

৩. ব্রেজিং এর সময় ফ্লাক্স ব্যবহার করা হয় কেন?

Content added By

গ্যাস ওয়েন্ডিং যন্ত্রপাতি সেট আপ ও ফ্রেম তৈরি (ব্যবহারিক-৬)

280
280
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েন্ডিং যন্ত্রপাতি সেট আপ ও ফ্রেম তৈরি.
Content

গ্যাস সিলিন্ডার শনাক্তকরণ (৬.১)

167
167

গ্যাস ওয়েন্ডিং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামসমূহ : অক্সিজেন সিলিন্ডার, ট্রলি, অক্সিজেন রেওরেটর, অক্সিজেন হোজ পাইপ, অ্যাসিটিলিন হোজ পাইপ, অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার পাইপ, অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার টিপ, স্লাইড রেঞ্জ, সিলিন্ডার ইত্যাদি ।

চিত্র: ব্যব ৬/১ সহজে স্থানান্তরের জন্য অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার স্থাপন

অক্সিজেন সিলিন্ডার 

  • সিলিন্ডারটির ব্যাস অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারের তুলনায় কম এবং একটু লম্বা হয়।
  • এই সিলিন্ডারটির গায়ের রং কালো অথবা সবুজ থাকে।
  • সিলিন্ডারের সংযোগগুলোতে ডানহাতি প্যাঁচ বা রাইট হ্যান্ড থ্রেড থাকে ।
  • হোজ পাইপের রং কালো/সবুজ।
  •  রেগুলেটরের চাপ অনেক বেশি, এর রং কালো/সবুজ/নীল।
  • নিশ্চিত হতে হবে, এই সিন্ডিারটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ।
     

অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার

  • অক্সিজেন সিলিন্ডারটির চেয়ে এটি মোটা ও খাটো হয়ে থাকে ।
  • সিলিন্ডারটির রং মেরুন অথবা লাল হয়ে থাকে।
  • সিলিন্ডারটির সংযোগগুলো বামহাতি বা লেফট হ্যান্ড থ্রেড থাকে ।
  • হোজ পাইপের রং লাল / মেরুন ।
  • রেগুলেটরের চাপ নির্দেশক খাঁজ কাটা অনেক কম এবং রং লাল/ মেরুন। 
  •  নিশ্চিত হতে হবে, এই সিলিন্ডারটি অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার ।
Content added || updated By

নিলিডার তালত পরিষ্কার করা (৬.২)

141
141
  • সিলিন্ডার তালুভটি কাপড় বা ছুট দিয়ে সুন্দরভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
  • সিলিন্ডার ভালভ সবর্দা তেল ও গ্রিল জাতীয় পদার্থমুক্ত রাখতে হবে।

চিত্রঃ ব্যব ৯/২ গিলিডার আলু বহু ও খোলার কৌশল

  • সিলিন্ডার ভাতটি খুব অল্প সময়ের জন্য খুলতে এবং বন্ধ করতে হবে।
Content added By

সিলিল্ডারের রেওরেটর সংযোগ (৬.৩)

140
140
  • সিলিন্ডার দুটি ট্রলির সাথে বা অন্য কিছুর সাথে শিকল বেঁধে রাখতে হবে।
  • সোজাভাবে সিলিন্ডার-এর মাথার রেডরেটর সেটটি বসাতে হয়।
  • অক্সিজেন রেফরেটর ডানহাতি প্যাঁচে এবং অ্যাসিটিলিন রেখরেটর বামহাতি প্যাচে লাগাতে হবে।
  • অক্সিজেন রেঞ্চরেটরের রং সবুজ /কালো/নীল
  •  অ্যাসিটিলিন রেওরেটরের রং লাল/মেরুন ।
  • হাত দিয়ে টাইট দিতে হবে।
  •  পরে সঠিক মাপের স্প্যানার দিয়ে টাইট দিতে হবে।


চিত্র: ব্যব ৬/৬ সিলিন্ডারের রেখরেটর সংযোগকরণ 

Content added By

রেখরেটর ও রো পাইপ শ্যাঙ্কে হোজ সংযুক্ত করা (৬.৪)

157
157
  • হোজ পাইপগুলোর রং লক্ষ্য করতে হবে ।
  • হোজ পাইপের রং কালো/সবুজ।
  • রেগুলেটরের চাপ অনেক বেশি, এর রং কালো/ সবুজ/নীল।
  • হোজ পাইপের রং লাল / মেরুন ।
  • রেগুলেটরের চাপ নির্দেশক খাঁজ কাটা অনেক কম এবং রং লাল / মেরুন ।
  •  সিলিন্ডারের সাথে মিলিয়ে এগুলোকে সংযুক্ত করতে হবে।
  • প্রথমে রেগুলেটর আউটপুটের সাথে নিপল (Nipple) টাইট করে লাগানোর পর হোজ পাইপের শাখ নিপলের মধ্যে সেট করে নিপল ক্লিপ দিয়ে আটকাতে হবে।
  • একইভাবে রো পাইপের ক্ষেত্রেও করতে হবে।
  •  মাল্টি-পারপাস সিলিন্ডার 'কি' (Key) ব্যবহার করে উত্তমরূপে টাইট দিতে হবে ।
  • ব্লো পাইপের নবগুলোর রং লক্ষ্য করতে হবে, হোজ পাইপের রং মিলিয়ে হোজ সংযোজন করতে হবে এবং টাইট দিতে হবে।

চিত্র : ব্যব: ৬/৪ ওয়েল্ডিং টর্চের সাথে অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন হোজ পাইপ সংযোগ

চিত্র : ব্যব: ৬/৫ ওয়েল্ডিং টর্চে অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন গ্যাস নিয়ন্ত্রণ কৌশল

Content added By

ব্লো পাইপ শ্যাঙ্কে নজল সংযোগ (৬.৫)

145
145
  • একে নজল বা টিপও বলা হয়।
  • প্রথমে হাতে টাইট দিতে হবে, এরপর অ্যাডজাস্টেবল রেঞ্জ-এর সাহয্যে ভালোভাবে টাইট দিতে হবে।
Content added By

গ্যাস লিকেজ পরীক্ষা করা (৬.৬)

150
150
  • একটি পাত্রে কিছু সাবান পানি নিতে হবে ।
  • একটি নরম পেইন্ট ব্রাশ নিতে হবে ।
  • রো পাইপ বা টর্চের দুটি নব বন্ধ করতে হবে।
  • অক্সিজেন সিলিন্ডার ভালভ খুলে প্রেসার গেজে ১৫ পাউন্ড / বর্গ ইঞ্চি (15 psi) চাপ সেট করতে হবে ।
  • ভালোভাবে লক্ষ্য করতে হবে।
  • যদি চাপ কমে, তবে নিশ্চিত হতে হবে লাইনে লিক আছে ।
  • চাপ কমলে বিভিন্ন সংযোগ স্থানে ব্রাশ করে সাবান পানি দিলে বুদবুদ উঠলে বোঝা যাবে লিকেজ ।
  • একই ভাবে এবার অক্সিজেন রেগুলেটরের ভালভ বন্ধ করে অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারের ক্ষেত্রেও একই টেস্ট করে লিকেজ নিশ্চিত হতে হবে।
Content added By

গ্যাস লিকেজ বন্ধকরণ (৬.৭)

130
130
  • রেগুলেটর এবং হোজের সংযোগস্থলে।
  • ব্লো পাইপের সংযোগস্থলে
  •  সিলিন্ডার ভালভ-এর গোড়ায় ।

এই সমস্ত স্থানে সাবান পানি দিয়ে লক্ষ্য করতে হবে বুদবুদ উঠে কি না। বুদবুদ উঠলে বোঝা যাবে সেখানে লিকেজ আছে। সুতরাং টাইট দিয়ে লিক বন্ধ করতে হবে। অনুরূপকভাবে অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডারের পুরো লাইন পরীক্ষা করতে হবে। 

  • সংযোগগুলো টাইট দিয়ে যদি লিক বন্ধ না হয়, তবে সংযোগ স্থানগুলো খুলে পরীক্ষা করতে হবে এবং পুনরায় নতুন করে সংযোগ দিতে হবে।  
  •  যত্নের সাতে ময়লা পরিষ্কার করে আবার পূর্বের পরীক্ষা চালিয়ে নিশ্চিত হতে হবে যে, আর কোথায় লিক নেই ।
  •  যদি সংযোগস্থল ছাড়া হোজ পাইপের বিভিন্ন স্থানে লিক থাকে তবে হোজ পাইপ পরিবর্তন করে নতুন হোজ পাইপ সংযোগ দিতে হবে।

সিলিন্ডার ভালভ্‌ খোলা 

  • ব্লো পাইপের অক্সিজেন এবং অ্যাসিটিলিন নিডল ভালভ বন্ধ রাখতে হবে।
  • আস্তে আস্তে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভালভ খুলতে হবে।
  • অনুরূপভাবে অ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার ভালভ খুলতে হবে। 

রেগুলেটর-এর আউটলেট ভালভ্‌ খোলা 

  •  ব্রেজলেটর-এর আউটলেট ভালভ খুলে কালের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে ।

ব্লো গাইল শ্যাঙ্কের ভালভ্‌ খোলা 

  •  আক্সিজেন নিভল ভালভ্‌ বন্ধ রেখে অ্যাসিটিলিন নিল প্রায় এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ বাম দিকে প্যাঁচ দিয়ে খুলতে হবে। (এই নিল ভাত-এর মাধার লাল রং করা থাকে) 
  •  এর সময় অ্যাসিটিলিন গ্যাস বেরিয়ে যেতে দিতে হবে, এতে ব্লো পাইপের ভিতর পূর্বের যে সকল গ্যাস ছিল সেগুলো বেরিয়ে যাবে এবং ব্যাক ফায়ারের আশা কমে যাবে।  
Content added By

গ্যাস সেলার এডজাস্ট করা (৬.৮)

129
129

পরিমাণমত অ্যাডজাস্টেবল নব ঘুরিয়ে চাপ নির্ধারণ করতে হবে। 

Content added By

ফ্রিকশন লাইটারের সাহায্যে প্রো পাইপ গ্যাস ঝালিয়ে নিউট্রাল শিখা তৈরী করা (৬.৯)

102
102
  • ব্লো পাইপের অ্যাসিটিলিন সামান্য পরিমাণ অ্যাসিটিলিন প্যান বের হওয়া মাত্র ফ্রিকশন লাইটার নাম হাতে ট্রিগার টিপে নজেলের মুখে শিখা তৈরি করতে হবে। 
  • কালো ধোঁয়া বের হলে অ্যাসিটিলিন নজ ঘুরিয়ে এমন অবস্থানে আনতে হবে যেন কালো ধোঁয়া বের হওয়া ন হয়। 
  • অক্সিজেন ভালভ্‌ খুলে ধীরে ধীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়াতে হবে । 
  •  শিখার হলুদ রঙের পরিবর্তন হয়ে হালকা নীল রং হবে । 
  •  সজলের ঠিক মুখে শিশার ভিতর উজ্জ্বল একটি ছোট ইনার কোশ (Inner Cone) সৃষ্টি হবে।
  • পিবার (Flame) শত পঞ্চ শব্দ দূর হয়ে মৃদু শব্দ হবে । 

  • এই শিখাটি নিউট্রাল শিথা। এর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা প্রায় ৩২৬০ নেস্টি।
  • অধিকাংশ থাকুর ওয়েন্ডিং কাজে এই শিখা ব্যবহৃত হয়, যেমন- মাইক স্টিল, রট আয়রন, অ্যালুমিনিয়াম ইত্যাদি।

  • এই শিখার তাপমাত্রা কিছুটা কম, সর্বোচ্চ মান প্রায় ৩০৩৪° সেন্টিগ্রেড ।
  • কোনো জবের উপরের পৃষ্ঠ শক্ত করার কাজ ছাড়াও অ্যালুমিনিয়াম এবং মোনেল মেটাল ওয়েল্ডিং করতে এই শিখা ব্যবহার করা যায় ।

ফ্লেম সংরক্ষণ :
প্রয়োজনীয় ফ্লেম তৈরির পর এটা সংরক্ষণ করতে হবে যতক্ষণ ওয়েল্ডিং সম্পন্ন না হয় । ফ্রেমে অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিনের অনুপাত স্থির রেখে ফ্রেম সংরক্ষণ করতে হবে।

Content added || updated By

ফ্রেম নিভানো (৬.১০)

115
115
  • প্রথমে অ্যাসিটিলিন নিডল ভালভ বন্ধ করতে হবে।
  • পরে অক্সিজেন নিডল বন্ধ করতে হবে।
  • প্রথমে অক্সিজেন নিডল ভালভ বন্ধ করলে প্রচুর কালি বা ধোঁয়া বের হবে এবং টিপ অপরিষ্কার হবে। স্বল্প সময়ের কাজের জন্য বিরতির ক্ষেত্রে এরূপভাবে ব্রো পাইপ নিভিয়ে রাখলেই চলবে, কিন্তু দীর্ঘ সময়ের জন্য হলে সিলিন্ডার ভালভ বন্ধ করে রেগুলেটরের প্রেসার রিলিজ করে রাখতে হবে।
Content added By

প্রশ্নমালা-৬

123
123

১) গ্যাস ওয়েল্ডিং যন্ত্রপাতির নাম লেখ ।

২) হোজ পাইপের কাজ লেখ।

৩) রেগুলেটরের কাজ লেখ।

৪) গ্যাস ওয়েল্ডিং ফ্রেম বলঞ্চে ক বোঝায়?

৫) তিনটি ফ্লেমের তাপমাত্রা লেখ ।

৬) ফ্রিকশন লাইটারের দ্বারা কেন গ্যাস প্রজ্জ্বলন করা হয়?

Content added By

গ্যাস ওয়েন্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে ফিলার মেটাল ছাড়া একক সোজা বিড তৈরি (ব্যবহারিক-৭)

166
166
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েন্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে ফিলার মেটাল ছাড়া একক সোজা বিড তৈরি.
Content

ওয়ার্কপিস প্রস্তুত করা (৭.১)

157
157
  • ২ মিলিমিটার পুরু এবং ৭৫ মিলিমিটার x ১৫০ মিলিমিটার মাপের আইও স্টিল শিট নিতে হবে । 
  •  ওয়ার্কপিসের উপর হতে তেল গ্রিজ জাতীয় পদার্থ তারের ব্রাশ দিয়ে খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে 
Content added By

নজল নির্বাচন করা (৭.২)

139
139
  • ধাতুর পুরুত্বের প্রতি লক্ষ্য রেখে টেবিল অনুসারে নজল নির্বাচন করতে হবে। নজল সাইজ ২ হবে । টিপের সাইজ বা আকার এর প্রান্তের সূক্ষ্ম ছিদ্রের ব্যাস দ্বারা নির্দেশ করা হয় এবং তা সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয় । 
  • ওয়েল্ডিং টর্চ দ্বারা কাজ করার সময় নিম্নবর্ণিত বিঘ্নসমূহ সৃষ্টি হতে পারে। এই সমস্ত বিঘ্ন যাতে না ঘটে তার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
  • ব্যাক ফায়ার (Back fire) ওয়েল্ডিং করার সময় হঠাৎ করে শিখা নিভে গিয়ে টিপের মাথায় তীব্রভাবে চিঁ চিঁ ও পত পত শব্দ হতে থাকে। এটাই ব্যাক ফায়ার ।
  •  ফ্লাশ ব্যাক (Flash Back) : এই অবস্থায় টিপ হতে শিখা নিভে গিয়ে টর্চের ভেতর পশ্চাৎগমন করে এবং তীব্র হিচিং বা চিঁ চিঁ শব্দসহকারে টিপ দিয়ে কালো ধোঁয়া নির্গত হতে থাকে এবং অক্সিজেন সহযোগে জ্বলতে থাকে। এই অবস্থায় প্যাসপ্রবাহ বন্ধ করে দিতে হবে।
  •  সাসটেইন ব্যাক ফায়ার (Sustain back fire) : শিখা প্রজ্জ্বলিত থেকে টর্চের নেকে (Neck) বা টর্চের ভেতরে প্রবেশ করে নজলের ছিদ্র হতে ছোট শাখা শিখা বের হয় এবং ফট ফট কিংবা চিঁ চিঁ শব্দ করে নজলের ভেতরে ছোট ছোট অনেক বিস্ফোরণ হতে থাকে। এই অবস্থাকেই সাসটেইন ব্যাক ফায়ার বলে।
Content added By

গ্যাসের প্রেসার অ্যাডজাস্ট (৭.৩)

175
175
  • টেবিল অনুসারে গ্যাসের চাপ নির্বাচন করতে হবে। অবশ্য নজল সাইজ পরিবর্তন হলে গ্যাসের চাপও পরিবর্তিত হবে। ধাতুর পুরুত্বের উপর নজল সাইজ ও গ্যাসের চাপ নির্ধারণ করতে হবে। গ্যাসের প্রেসার অ্যাডজাস্ট কর ০.১৪ কেজি / সে.মি. চাপে ।
Content added By

ব্লো-পাইপ প্রজ্জ্বল (৭.৪)

146
146
  • অক্সিজেন ও অ্যাসিটিলিন ভালভ বন্ধ রাখতে হবে।
  • অ্যাসিটিলিন ভালভ পুরো না খুলে এক-চতুর্থাংশ খুলতে হবে ।
  • অ্যাসিটিলিন গ্যাস অল্প কিছু সময় বের হয়ে যেতে দিতে হবে, এতে ব্লো-পাইপোর ভিতরের পুরাতন গ্যাস মিশ্রণ বের হয়ে যাবে এবং প্রজ্বালনের পর ব্যাক ফায়ারের আশঙ্কা কমে যাবে
  • ফ্রিকশন লাইটারের সাহায্যে অ্যাসিটিলিন গ্যাসকে জ্বালাতে হবে। - অ্যাসিটিলিন নবের সাহায্যে অ্যাসিটিলিন পরিমাণ এমনভাবে বাড়াতে হবে যেন কালো ধোঁয়া বা কালি বের না হয়।
Content added By

গ্যাস ফ্রেম অ্যাডজাস্ট (৭.৫)

135
135

অক্সিজেন ভালভ ধীরে ধীরে খুলতে হবে এবং পরিমাণ বাড়াতে হবে, যখন দেখা যাবে নজলের সামনে সুন্দর উজ্জ্বল ইনার কোণ দেখা দিয়েছে এবং শিখা হিস হিস বা পত পত শব্দ না করে নরম শব্দ করছে, তখন নাড়াচাড়া বন্ধ করতে হবে এবং নিউট্রিাল ফ্রেম তৈরি করতে হবে ।

Content added By

সোজা বিড ওয়েন্ড তৈরিকরণ (৭.৬)

127
127
  • চিত্র অনুযায়ী রো-পাইপকে জবের সাথে ৪৫° হতে ৬০° কোণে ধরতে হবে।
  • ইনার কোণ মূল ধাতু হতে ২-৩ মিলিমিটার উপরে রাখতে হবে।
  •  মূল ধাতু গলনের জন্য অল্প সময় রো-পাইপ ও ফিলার মেটার এক স্থানে রাখতে হবে । 
  • যখনই দেখা যাবে মূল ধাতুর গলন শুরু হয়েছে, তখন বুনন কৌশল টর্চকে সমগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং বিড তৈরি করতে হবে।

চিত্র : ব্যব: ৬/৯ ওয়েল্ডিং বিড তৈরিতে গলিত মেটালের বুনন কৌশল

Content added By

ওয়েল্ডিং-এর সময় ও পরে পরীক্ষা (৭.৭)

131
131
  • বিড-এ স্লাপ প্রবেশ করেছে কি না।
  •  বিডের চওড়া সকল স্থান সমান হয়েছে কিনা ।
  • বিড দেখতে সুন্দর হয়েছে কি না।
  • আন্ডারকাট মুক্ত কি না ।
  • ওভার ল্যাম্প যুক্ত কি না? বিষয়গুলো পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
Content added By

প্রশ্নমালা-৭

165
165

১. একক সোজা বিড বলতে কী বোঝায়?

২. সোজা বিড তৈরি করতে ব্লো-পাইপকে জবের সাথে কত ডিগ্রি কোণে ধরতে হবে ? 

৩. গ্যাস ওয়েল্ডিং-এর সময় শিখার ইনার কোণ জব থেকে কতটুকু উপরে রাখতে হবে?

Content added By

গ্যাস ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে ফিলার রড ছাড়া স্কয়ার বাট জোড় তৈরী (ব্যবহারিক-৮)

168
168
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে ফিলার রড ছাড়া স্কয়ার বাট জোড় তৈরী.
Content

গ্যাস ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে ফিলার মেটাল যোগে বাট জোড় তৈরী (ব্যবহারিক-৯)

129
129
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে ফিলার মেটাল যোগে বাট জোড় তৈরী.
Content

গ্যাস ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে ফিলার মেটাল যোগে ল্যাপ জোড় (ব্যবহারিক-১০)

161
161
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে ফিলার মেটাল যোগে ল্যাপ জোড়.
Content

গ্যাস ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে পিলার মেটাল যোগে টি, জোড় তৈরি (ব্যবহারিক-১১)

167
167
Please, contribute by adding content to গ্যাস ওয়েল্ডিং পদ্ধতিতে সমতল অবস্থানে পিলার মেটাল যোগে টি, জোড় তৈরি.
Content

গ্যাস কাটিং (ব্যবহারিক-১২)

124
124
Please, contribute by adding content to গ্যাস কাটিং.
Content
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion